Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Sachindra Nath Bandyopadhyay

শরৎচন্দ্র নিজের কলম উপহার দিয়েছিলেন তাঁকে

তাঁর লেখা নাটকের অভিনয় দেখে মুগ্ধ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন প্রমথেশ বড়ুয়ার সহকারীও। বহু গল্প, উপন্যাস, নাটক লিখেছেন শচীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বছর তাঁর জন্মশতবর্ষ। এক জাহাজ কোম্পানির ব্রাঞ্চ ম্যানেজার হিসেবে ওয়ালটেয়র গেলেন। এই যাত্রা বাংলা সাহিত্যে তৈরি করল নতুন পথ।

দীপঙ্কর ভট্টাচার্য
শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০২০ ০১:৩৬
Share: Save:

নিজের শেষ লেখাটি শুরু করেছিলেন মৃত্যুর আগের দিন। ‘শেষ অধ্যায়’ নামের সেই অসম্পূর্ণ আত্মজৈবনিক উপন্যাসের শুরুতে লিখেছিলেন, ‘ভেবে দেখলাম আমার জীবনে প্রথম অধ্যায় বলে চিহ্নিত করবার মতো তেমন কিছু নেই। যা আছে তা শেষ অধ্যায়ে পুঞ্জীভূত।’...গোটা পনেরো বাক্য, লিখতে লিখতেই সন্ধের দিকে অসুস্থ। ২৫ মে ১৯৯৯। হাসপাতালের পথে গাড়িতেই কোমায়, পর দিন মারা যান কথাসাহিত্যিক-নাট্যকার শচীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। ৬২ বছর আগে, ১৯৩৭ সালে লেখা তাঁর প্রথম গল্প ‘বুভুক্ষা’ পড়ে মুগ্ধ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় পকেট থেকে নিজের কলমটি বার করে তুলে দিয়েছিলেন বছর সতেরোর কিশোরের হাতে— ‘তোমার জীবনে সুখ আসবে, দুঃখ আসবে, কিন্তু এই কলমটি তুমি ছেড়ো না। মনে রেখো, এই কলমের জন্যই তুমি জন্মেছ।’ শচীন্দ্রনাথের মনে রেখেছিলেন কথাগুলো। ‘বুভুক্ষা’ লেখা হয়েছিল ‘মানসী’ পত্রিকা আয়োজিত গল্প প্রতিযোগিতা। বিচারক ছিলেন শরৎচন্দ্র।

শচীন্দ্রনাথের লেখালিখি শুরু এরও বছর দুয়েক আগে। অবিভক্ত বাংলার নড়াইলের চিত্রা নদী তাঁর কবিতাকে প্রভাবিত করেছে। হাতে লেখা পত্রিকা ‘সাথী’তে লিখেছেন, ‘পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধে সৈন্য সমাবেশের বিন্যাস’ বিষয়ে প্রবন্ধ। এ লেখা তৈরিতে তাঁর জ্যাঠামশায়, প্রাবন্ধিক-ইতিহাসবিদ রমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রভাব ছিল। শচীন্দ্রনাথ ক্রমশ লিখতে থাকেন গল্প, গান, কবিতা, উপন্যাস, নাটক।

১৯৪১ সালে লেখেন তাঁর প্রথম নাটক ‘উত্তরাধিকার’। সে বছরই বালিগঞ্জ শিল্পী সঙ্ঘের উদ্যোগে তা মঞ্চস্থ হয়। নাটক দেখে মুগ্ধ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রিনরুমে এসে আলাপ করে যান নাট্যকার-অভিনেতা শচীন্দ্রের সঙ্গে। আর প্রমথেশ বড়ুয়া তাঁকে ডেকে নেন ‘ডাক্তার’ ছবিতে, সহকারী পরিচালক হিসেবে। ছবিতে একটি চরিত্রে অভিনয়ও করেছিলেন শচীন্দ্রনাথ। পঙ্কজকুমার মল্লিক, তুলসী লাহিড়ী বা অহীন্দ্র চৌধুরীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতাও হয়।

১৯৪৪-৪৫ নাগাদ লেখা হয় প্রথম উপন্যাস ‘এজন্মের ইতিহাস’। সরোজকুমার রায়চৌধুরী সম্পাদিত ‘বর্তমান’ পত্রিকায় ১৯৪৯ সালে তা ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হয়েছিল। ১৯৫২ সালের ১৪ মার্চ ‘দেশ’ পত্রিকায় প্রকাশিত ‘জেগুয়ার’ নামের গল্পটি শচীন্দ্রনাথের জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে দিল। এর আগে ‘ইঁদুর’ গল্পটিও প্রকাশিত হয় ‘দেশ’-এ। কিন্তু ‘জেগুয়ার’ সমসময়ের বাংলা গল্পকেই যেন পাল্টে দিল। অন্তহীন সমুদ্রতরঙ্গ শব্দ-ধ্বনি-প্রাণ নিয়ে ঢুকে পড়ল বাংলা সাহিত্যে। তৈরি হল ‘সাগর-বলাকা’, ‘প্রবাল বলয়’, ‘মাটি’, ‘মৎস্যকন্যা’, ‘বৃত্ত’, ‘প্রেম’, ‘বিষুব রেখা’-র মতো স্মরণীয় গল্প-যাত্রা। সাগরের হাওয়া এসে লাগল বাংলা গল্পে। এর আগে যে তাতে সমুদ্রের গন্ধ ছিল না তা নয়, কিন্তু তা এমন রক্ত-মাংস-স্পর্শের সাগর ছিল না। অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়— ‘ড্রয়িংরুমের সীমাবদ্ধতা ও পল্লি বাংলার রোম্যান্টিক পরিবেশ থেকে উদ্ধার করে বাংলা গল্পকে তিনি বিষুব-রৈখিক অঞ্চলে, ট্রপিক অরণ্য কান্তারে, আমিষগন্ধে ভরা সাত সাগরের তীরে তীরে, কখনও বন্দরে, কখনও মধ্য-সমুদ্রে, কখনও দ্বীপে দ্বীপান্তরে সরিয়ে নিয়ে গেছেন।’ বছরের পর বছর সমুদ্রে ভেসে চলা নাবিকের জীবন, যৌনতা, প্রেম, ত্যাগ, প্রাণময়তা, নিষ্ঠুরতা নিয়ে তাঁর আগে কেউ কলম ধরেছেন কি?

শচীন্দ্রনাথের জন্ম ১৯২০ সালের ৬ সেপ্টেম্বর কালীঘাটের ১০/১০ নেপাল ভট্টাচার্য স্ট্রিটে, মামাবাড়িতে। এখানেই বছর সাতেক কাটানোর পর তাঁর শান্তিনিকেতন যাত্রা। দুষ্টু ছেলে, লেখাপড়ায় মন নেই। দাদামশায় ভাবলেন, শান্তিনিকেতন আশ্রম বিদ্যালয়ে ভর্তি করা গেলে যদি মানুষ করা যায়। কিন্তু সেখানে পাঠিয়েও শান্তি নেই দাদুর। মন কেমন করে, নাতির মুখখানা মনে পড়ে বার বার। বছর ঘুরতেই ফিরতে হল শান্তিনিকেতন থেকে। কিন্তু সেই সাময়িক বাস গভীর প্রভাব ফেলল শচীন্দ্রের মনে। রবীন্দ্রনাথকে দেখা প্রসঙ্গে শচীন্দ্রনাথ লিখেছেন, ‘একদিন হল কী, গানের দল ঘুরতে ঘুরতে উত্তরায়ণে প্রবেশ করল। আমরা গাইতে-গাইতে দাঁড়ালাম একটা বাড়ির দোতলার সামনে, গানের দল হঠাৎ নীরব হয়ে গেল। তাকিয়ে দেখি জানালায় দাঁড়িয়ে আছেন সেদিন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ। তাঁর স্বচ্ছ ললাটে গোল হয়ে পড়েছে সূর্যের আলো, আর আমার মনে হল, তাঁর ললাট-ধৃত সেই আলো থেকে রশ্মি ঠিকরে যেন এসে পড়ছে আমাদের বুকের মাঝখানে। আট বছরের শিশু, তলিয়ে কিছু বোঝবার বয়সই নয়, কিন্তু সেই আমাদের সদনে ফিরে আসতে আসতে কী আনন্দে যে মনটা ভরপুর হয়ে উঠল, তা আর কী বলব?’’

শান্তিনিকেতন ছেড়ে ১৯৩৪ সালে পিতৃভূমি নড়াইলের ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুলে ভর্তি হলেন। সেখান থেকে ১৯৩৮-এ ম্যাট্রিকুলেশনে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়ে এলেন কলকাতায়। ভর্তি হলেন আশুতোষ কলেজে। সেখানে পড়াকালীনই তাঁর ‘জানি জানি আজ আমারে পড়ে না মনে’ গান লেখা, যা মুগ্ধ করেছিল কাজি নজরুল ইসলামকে।

পড়া শেষ হল না। আর্থিক অনটনের কারণে ইন্ডিয়ান কপার কর্পোরেশনে ইনস্পেক্টরের চাকরি নিয়ে যেতে হল ঘাটশিলা। ঘাটশিলা তাঁর কলকাতার সাহিত্য-সঙ্গ কেড়ে নিল বটে, কিন্তু দিল এমন এক জনের স্পর্শ, যিনি হয়ে উঠেছিলেন তাঁর পথনির্দেশক। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তরুণ লেখককে পড়ে ফেলতে সময় নেননি বিভূতিভূষণ। সারা জীবন সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে আপন ভাগ্নি উমা দেবীর সঙ্গে বিয়েও দিয়েছিলেন শচীন্দ্রনাথের। ঘাটশিলার পরিবেশ শচীন্দ্রনাথের কলমে এনেছে বহু গল্প কবিতা গান, আর ‘এজন্মের ইতিহাস’ বা ‘সমুদ্রের গান’-এর মতো উপন্যাস। তবে এখানেও থিতু হতে পারলেন না বেশি দিন। ১৯৪৫-এ ‘এম এল ব্যানার্জি অ্যান্ড সন্স’ নামে এক জাহাজ কোম্পানির ব্রাঞ্চ ম্যানেজার হিসেবে ওয়ালটেয়র চলে গেলেন। এই যাত্রাও বাংলা সাহিত্যে তৈরি করল নতুন পথ।

কেমন সে পথ? ‘জেগুয়ার’ গল্পটির কথাই ধরা যাক। আন্দামানের পটভূমিতে লেখা এ গল্পের প্রধান চরিত্র সামন্ত। বনবিভাগের চিহ্নিত গাছ কেটে ট্রলি বোঝাই করার ঠিকাদারি করে সে। এক কালে সে বাঙালিই ছিল। নারীঘটিত অপরাধ ও খুনের দায়ে আন্দামানে কারারুদ্ধ হয়। দীর্ঘ জেলজীবন শেষে বদলে যায় তার ভোল। খাকি হাফপ্যান্ট, খালি গা, মাথায় হ্যাট আর কোমরে পিস্তল নিয়ে এখন সে ‘জংলি সাহেব’। কুলিদের জংলি মেয়ে সাঙ্গি তার দেখভাল করে, ফুর্তি মেটায়। সামন্তের চেলারা ক’দিন আগে ধরে এনেছিল এক জারোয়া যুবতীকে। এক দিন মধ্যরাতে জারোয়ারা এসে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তাদের শব্দে ঘুম ভেঙে সামন্ত ছুটে আসে। গুলি চালাতে চালাতে তেড়ে যায়। কিন্তু জারোয়ারা তত ক্ষণে মিশে গেছে গভীর জঙ্গলের আঁধারে। ব্যর্থ সামন্ত ফিরে আসে, কিন্তু সিঁটিয়ে থাকে ভয়ে। জারোয়ারা তো ছাড়বে না! আন্দামানে সদ্য-আসা এক বাঙালি শিক্ষকের স্ত্রী লীলা তখন কাছাকাছি চলে এসেছে সামন্তের। লীলা তার সঙ্গে জঙ্গল দেখে বেড়ায়। অবাধ স্বাধীনতা দেয় সামন্তকে, ভালবাসার সময়। ক’দিনের মাথায় সেই লীলাকেই তির ছুড়ে এফোঁড়-ওফোঁড় করে দেয় জারোয়ারা। সামন্ত ছোটে জঙ্গলের দিকে। লেখক প্রশ্ন তোলেন, ‘বন্য জারুয়ারা টের পেল কী করে ওর মনের কথা?... কেমন করে চিনতে পারল ওরা ওর সত্যিকার প্রিয়জনকে!’ জঙ্গলের দিকে ছুটতে ছুটতে পা ফসকে যায় সামন্তের। সে পড়তে থাকে নীচে, অনেক নীচে। পড়তে পড়তে শুনতে পায় বনস্পতিদের অভিশাপ। তারই তত্ত্বাবধানে যে ধ্বংস হয়েছে গাছেরা! শেষ পর্যন্ত পাগল হয়ে যায় সামন্ত।

‘সাগর-বলাকা’ সেশেল্‌স দ্বীপপুঞ্জের একটি ছোট্ট দ্বীপের গল্প। এপ্রিলের শুরুতে এ দ্বীপে ধেয়ে আসে ঝাঁক ঝাঁক পাখির দল। তাদের ডিম ও বিষ্ঠা নিয়ে ব্যবসা করে মানুষ। তৈরি হয় দামি সার, ওষুধ। ভয়ঙ্কর বিপজ্জনক এই ডিম ও বিষ্ঠা সংগ্রহের কাজ। জীবন বাজি রেখে সেই কাজ করে গল্পের তিন শ্রমিক মোজেস, জাঁ আর জীওন। মালিকপক্ষ তাদের দ্বীপে নামিয়ে দিয়ে যায়। চার মাস ধরে তিন শ্রমিক সংগ্রহ করে সে সব। তার পর আসে অগস্ট মাস। টার্ন প্রজাতির এই ভবঘুরে পাখির দল ফিরে যায়। মোজেস জানে, ওরা যাবে মানস সরোবরের দিকে। পাখিদের শেষ সারির পিছনে একা উড়ছিল যে পাখিটি, সে হঠাৎ আকাশ থেকে পড়ে গেল দ্বীপের কিনারে। তখন দ্বীপে এসে ভিড়ছে মোজেসদের ফেরার জাহাজ। এত দিন পর ঘরে ফেরার পালা। সবাই জাহাজে উঠলেও মোজেস উঠল না। নির্জন দ্বীপে আহত পাখিটির শুশ্রূষায় পড়ে রইল সে। তাঁকে ভুলেও গেল সবাই। কেবল জীওনের স্মৃতিতে মাঝে মাঝে ভেসে ওঠে সে।

অনেক পরে এক বার সেই দ্বীপে ফিরে এল জীওন। দেখল, পড়ে আছে মোজেসের কঙ্কালসার দেহ। শুধু দুই ঠোঁটে হালকা স্পন্দন। প্রথম বার দ্বীপে আসার পর জীওনের কাছ থেকে একটা ডায়েরি চেয়ে নিয়েছিল মোজেস। জীওন দেখল, নিস্তেজ মোজেসের পাশে পড়ে আছে সেই ডায়েরির শেষ পাতাটা। সেখানে লেখা— ‘পাখিটা মারা গেল। খাওয়া নেই... একটা কাছিমকে মারতে গেলাম ছোরাখানা হাতে নিয়ে। সে এমন অবাক হয়ে আমার দিকে তাকাল যেন সে বিশ্বাসই করতে পারছে না, আমি তাকে মারতে পারি।... যাকে মারতে যাই, সে-ই অবাক হয়ে তাকায়!... কী হল আমার? পাগল হয়ে যাব?’ মোজেস রেখে যাবে এমন এক দ্বীপভূমি, যেখানে সকলের বাঁচার অধিকার। একটা সামান্য পোকাও চোখ মেলে বাঁচতে চায়, তাকে বাঁচাতে চায় অন্যরা। মানুষ আর না-মানুষের ঠিকানা এমন এক দ্বীপভূমির কথা লিখে যান মরমি শচীন্দ্রনাথ।

আন্দামানের রস দ্বীপে এক বাতিওয়ালার কাহিনি ‘খুঁজে ফেরা আলো’। বাতিঘর থেকে আলো ফেলে নাবিকদের পথ দেখায় বাঙালি বাতিওয়ালা। তার জীবনের আলোহীন যাপন এ গল্পের বিষয়। ‘জলকন্যার মন’ বা ‘অভিমানী আন্দামান’-এর কথাও প্রাসঙ্গিক। শুধু সমুদ্রকথা, নোনা জল আর নোনতা গন্ধের মানুষ নয়, শচীন্দ্রনাথ স্মরণীয় ‘পত্রলেখার উপাখ্যান’, ‘জনপদবধূ’, ‘এই তীর্থ’, ‘পটমঞ্জরী’ বা ‘আনন্দভৈরবী’-র মতো উপন্যাসের জন্যও। তাঞ্জোরের কাছে মেলাটুর গ্রামের এক নট্টভান বা নৃত্যশিক্ষকের জীবন নিয়ে লেখা উপন্যাস ‘আনন্দভৈরবী’। ভারতীয় নৃত্য নিয়ে শচীন্দ্রনাথের আগ্রহের প্রকাশ ঘটেছে উদয়শঙ্করকে নিয়ে লেখা তাঁর প্রবন্ধেও।

১৯৫৩ সালে কলকাতায় ফিরে তিনি যোগ দেন রাজ্য সরকারের চাকরিতে, ১৯৬৬-তে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও জনসংযোগ দফতরে। ১৯৮০ সালে ডেপুটি ডিরেক্টর পদে উন্নীত হয়ে অবসর। চেতলার মহেশ দত্ত লেনের বাড়ি ‘তীরভূমি’তে কেটেছে শেষ জীবন। তাঁর ‘জনপদবধূ’ দীর্ঘ কাল মঞ্চস্থ হয়েছে বিশ্বরূপা, স্টার বা রঙমহলে। ‘এই তীর্থ’ উপন্যাস থেকে হয়েছে ‘জীবন সংগীত’ চলচ্চিত্র। ‘বন্দরে বন্দরে’ উপন্যাসের জন্য ১৯৮৮-তে পেয়েছেন বঙ্কিম পুরস্কার। ছোটদের জন্য লিখেছেন ‘মার্কো’, ‘মেমোরিয়ালের পরী’, ‘বিভূতিভূষণের মৃত্যু’, ‘চন্দ্রলোক থেকে আসছি’ -র মতো গল্প, ‘ক্রৌঞ্চদ্বীপের ফকির’ উপন্যাস।

তাঁর শতবর্ষ চলছে। অথচ তাঁকে মনে রাখার কোনও গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন নেই। বাঙালি পাঠক এক বার শচীন্দ্রনাথকে ফিরে পড়লে বাংলা সাহিত্যের অমূল্য রত্নরাজির সন্ধান পাবেন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy