ছবি: প্রসেনজিৎ নাথ
বলে ওঠে, ‘‘তেনার আবার কি হল্য বট্যেক?’’ আসলে মাস ছয়েক আগে এখান থেকে বদলি হয়ে পুরুলিয়া শহরে প্রমোশন-পোস্টিং পেয়েছেন উনি। আগের সপ্তাহে ডিএফও অফিসে দেখা করে বেন্দা কথাও বলেছে ওঁর সঙ্গে। বছর তিনেক এখানে রেঞ্জার ছিলেন, বেন্দাকে খুব ভালবাসতেন আর প্রশ্রয়ও দিতেন উনি। বেন্দাও ওকে যথেষ্ট মান-সম্মান দিয়েছে এখানে থাকার সময়ে।
বড়বাবু ধরা গলায় বলেন, ‘‘আর বলিস কেন! ওই যে কাঁটাডির মোড়টা আছে না টাউন থেকে বেরোতেই, ফরেস্টের লোকেদের কাছে ওটা একটা অভিশপ্ত জায়গা! না হলে কিছু দিন পর পরই তিন-তিন বার কেন শুধু ফরেস্টের লোকেরাই ওখানে নিয়তির টানে...’’ শব্দগুলো ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসে বেন্দার কানে।
কেন না বেন্দা তত ক্ষণে অতীত পরিক্রমা শুরু করেছে, ওর মনে হচ্ছে বাইকে ওর পিছনে বসা অবস্থায় স্বপনবাবুর শরীরের উষ্ণতাটাও ও যেন টের পাচ্ছে। ওরা বেশ দ্রুতগতিতে কুইলাপালের জঙ্গলকে বাঁ হাতে রেখে নান্না বিটের গুড়পনার মাঝিপাড়ার দিকে চলেছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঘটনাস্থলে পৌঁছতে হবে ওদের।
আরও পড়ুন: ছোটগল্প ব্রজর দুঃখ
সেটা স্বপনবাবুর ট্রান্সফার হওয়ার মাসখানেক আগের ঘটনা। হঠাৎ বেলা দশটা নাগাদ খবর এল, গুড়পনার জঙ্গলে হাতিতে লোক মেরেছে। মেন রোড থেকে অনেকটা ভিতরে বলে ভোরের ঘটনার খবর এসেছে অনেক বেলায়। স্বপনবাবুকে বাইকে চাপিয়ে অকুস্থলে পৌঁছতে প্রায় ভরদুপুর।
প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে না কি কাঠ কুড়োনোর তাগিদে কে জানে, বয়স্ক আদিবাসী মহিলাটি জঙ্গলে ঢুকে দুর্ভাগ্যবশত হাতির সামনে পড়ে যায়। কোনও প্রত্যক্ষদর্শী নেই, তবে বডিটা যে ভাবে থেঁতলে গিয়েছে তাতে বোঝাই যায় যে শুঁড়ে তুলে আছাড় দেওয়ার পরে আক্রোশবশত পা দিয়ে শরীরটা পিষে দেওয়া হয়েছে। গভীর জঙ্গলে এমন অপঘাতে মৃত্যু কখনও-সখনও হয়, ফরেস্টের গভীরে বন্য প্রাণীর হাতে মারা পড়লে মৃত্যুজনিত অনুদান পাওয়ার কথা নয়, এমনটাই রেঞ্জারবাবুর সঙ্গে আসতে আসতে আলোচনা চলছিল।
ঘটনাস্থলে গিয়ে বোঝা গেল, বিষয়টা অন্য দিকে গড়িয়েছে। খেপা হাতি কিছুতেই ওই বিকৃত ডেডবডি ছেড়ে নড়ছে না, কেবলই শুঁড়ের হাওয়া দিয়ে মৃতদেহ থেকে ডুমো নীলমাছি তাড়াচ্ছে। জানা গেল, খানিকটা বাদে বাদে পাশের ডোবা থেকে শুঁড়ে করে জল এনে ভাঙাচোরা মাথায়, মুখে ছিটোচ্ছে। বডি উদ্ধারের জন্য কেউ কাছে যাওয়ার চেষ্টা করলেই শুঁড় উঁচিয়ে শব্দ করে তেড়ে আসছে।
এ দিকে কয়েক ঘণ্টা হয়ে গিয়েছে মারা যাওয়ার পরে, উপরন্তু ঘন ঘন জলের ছিটে দেওয়াতে গরমের দিনে দ্রুত পচন শুরু হয়েছে। আদিবাসী রীতি অনুযায়ী দেহ নিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সৎকার করা দরকার। তাতে বাধা পড়ায় পাড়ার পুরুষ-মহিলারা প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ। যে কোনও সময় ফরেস্টের উপর রাগ আছড়ে পড়তে পারে।
বাইক থেকে নেমে স্বপন-বড়বাবু পাশে ঝোলানো ডবল ব্যারেল গানটায় দুটো কার্তুজ লোড করে আরও দুটো বাঁ হাতের তর্জনী, মধ্যমা আর অনামিকার ফাঁকে রেখে ওকে বলেন, ‘‘বেন্দা, সব চেয়ে চড়া শব্দের পটকা কয়েকটা বার করে, একটা চার্জ কর।’’ হাতের ইশারায় জনতাকে পিছিয়ে যেতে নির্দেশ দেন, খেপা হাতির সামনে দু’জন বনকর্মীকে এগোতে দেখেই তারা পায়ে পায়ে পিছু হটেছে।
বেন্দা সব সময়ই ইউনিফর্মে অর্ধেকটা থাকে। মানে প্যান্ট অলওয়েজ খাকি, হাতির ডিউটি করতে আসছে বলে ও খাকি শার্টও পরেছে। স্বপন-বড়বাবুরও পরনে স্টার-বিল্লা সহ ফুল ইউনিফর্ম। পাণ্ডববর্জিত অরণ্যমহলে এখনও জনগণ সরকারি ড্রেসকে সমঝে চলে। বেন্দা কয়েক পা এগিয়ে লাইটার জ্বালিয়ে একটা বড় শব্দবোমা চার্জ করে, সঙ্গে সঙ্গেই বড়বাবু পর পর দু’রাউন্ড ফায়ার করেন শূন্যে। আচমকা উদ্ভট আওয়াজে হাতিটা ভড়কে যায়। শুঁড় তুলে বারুদের গন্ধ শোঁকে। ওর অভিজ্ঞতা এই বিশেষ পোশাক পরা লোক দু’জনের থেকে দূরে থাকতে পরামর্শ দেয় হয়তো, পায়ে পায়ে ও মড়িটার থেকে পিছিয়ে যায়। তার পরই ঘুরে দাঁড়িয়ে উল্টো দিকে দৌড় দেয়, জনতা হইহই করে এগিয়ে এসে দেহ উদ্ধারে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: মায়া প্রপঞ্চময়
স্বপনবাবু বন্দুক ভাঁজ করতেই কার্তুজের খালি খোলদুটো ছিটকে যায়, বেন্দা নিঃশব্দে সে দুটো ঘাস আর ঝোপের ভিতর থেকে কুড়িয়ে পকেটে ভরে। বড়বাবুকে অফিস স্টক মেলাতে হবে ব্যবহৃত অ্যামিউনিশনের। উনি চাপা গলায় বলেন, ‘‘হাতিটা ঝাড়খণ্ড বর্ডারের দিকে এগোচ্ছে। চল, ওটাকে আরও কয়েক কিলোমিটার তাড়িয়ে দিয়ে আসি।’’ হেঁকে জনতাকে বাইকটা দেখতে বলে বেন্দা স্বপনবাবুর সঙ্গে খুনে হাতিটাকে ফলো করে। স্বপনবাবু হাতের কার্তুজ দুটো বন্দুকে সেট করে সেটা কাঁধে ফেলে জোর পায়ে এগোতে থাকেন।
সামনে অনেক দূর পর্যন্ত শাল জঙ্গল, সঙ্গে পিয়াশাল, মহুল আর কেঁদ গাছগুলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। ওদের নীচে কৃপাপ্রার্থীর মতো ছোট ছোট ঝোপের দল। পুটুস, পড়াশি, বনমারা, বুনোকুল, বৈঁচি আর একটু ফাঁকা জায়গাগুলোতে বড় বড় ঘাস। সব গাছেরই আবার বিজ্ঞানীদের দেওয়া বড় বড় দাঁতভাঙা সব নাম আছে। ওর চাকরির প্রথম দিকে এক আধপাগল ফরেস্ট অফিসার বান্দোয়ান রেঞ্জে ট্রেনিং করতে এক বছর ছিলেন। তিনিই ওকে এ সব শেখাবার চেষ্টা করতেন।
একটা নাম ছাড়া বেন্দা আর কিছু মনে রাখতে পারেনি। ল্যানটেনা ক্যামারা, ডাকনাম পুটুস। কোনও বিদেশি নাকি ওর বিভিন্ন রঙের ছোট ছোট ফুলে মুগ্ধ হয়ে এ দেশে গাছটা আমদানি করেছিল। এখন তো ফরেস্টের প্রায় সব জমিই
ওই রাক্ষস-গাছ গ্রাস করে ফেলেছে। ও শুনেছে যে এ দেশের জলাজমি আর ডোবাগুলোকে ছেয়ে ফেলা কচুরিপানাও নাকি ওই ভাবে বিদেশ থেকে আমদানি করা।
ওই ট্রেনি অফিসার মানে বোস স্যর। সাহেব বলে ডাকলে উনি রেগে যেতেন, তা না হলে অফিসাররা ট্রেনিংয়ে এলে তাঁদের নাম বা পদবির সঙ্গে সাহেব জুড়ে সম্বোধন করাটাই ফরেস্টের রেওয়াজ। ওকে গাছ নিয়ে, জীবজন্তু নিয়ে অনেক নতুন নতুন জিনিস শেখাতেন, অদ্ভুত সব কাজ করতেন। মাঝেমধ্যে প্রাণের ঝুঁকি নিতে দেখে ও আপত্তি করলে হেসে বলতেন, ‘‘জানো বৃন্দাবন, আমি তো মরতেই চাই। তবে সেটা হতে হবে চাকরিরত অবস্থায়, যেন মনে হয় স্বাভাবিক ভাবেই মারা গিয়েছি! কিন্তু চাই বলেই বোধ হয় যমরাজও আমার সঙ্গে পরিহাস করছে।’’ কথাগুলোর মানে বুঝতে পারত না ও সেই সময়। এখন বুঝতে পারে, মনের দিক থেকে বিরাট কোনও আঘাত পেয়ে উনি ওই রকম ব্যবহার করতেন। অ্যাক্সিডেন্টের পর থেকেই সেই সময়ের অনেক ঘটনা, অনেক কথাই এখন ওর মনে ভিড় করে আসে। ওর কেমন যেন মনে হয়, ওঁর কথা বা কাজগুলো মন থেকে ভাল লাগত বলেই হয়তো মনের ভিতরের কোনও গোপন কুঠুরিতে সে সব তোলা ছিল। অ্যাক্সিডেন্টের ফলে নাড়া খেয়ে সেই সব ঘটনাগুলো যেন বেরিয়ে আসছে। স্বপনবাবুর সঙ্গে হাতির পিছনে যেতে যেতে ওর মনে পড়তে থাকে জঙ্গলের এই দিকটাতে বোস স্যরের সঙ্গেও অনেক বার আসা-যাওয়া করেছে ও, বেশ কয়েকটা ঘটনার সাক্ষীও আছে।
হঠাৎই স্বপনবাবুর চাপা গলা ওকে বাস্তবে ফিরিয়ে আনে, ‘‘বেন্দা, সাবধানে আয়, হাতিটা আবার ঘন জঙ্গলে সেঁধিয়েছে। পিছনে আমরা আসছি টের পেয়েছে নির্ঘাত, পাগলা খুনে হাতিকে কোনও ভরসা নেই।’’ ঠিকই, হাতিটা পায়ে-চলা শুঁড়িপথটা ছেড়ে কোনাকুনি জঙ্গল ভেঙে পশ্চিমে এগোচ্ছে। অনেকটা দূর থেকেও ওর পিছনের ডান পায়ের উপর দিকে দগদগে ঘা-টা নজরে পড়ছে। বোধ হয় বল্লম জাতীয় কিছু দিয়ে খোঁচানো হয়েছিল। হতে পারে, ঝাড়খণ্ডের কোনও আদিবাসী টোলায় হয় ফসল নয়তো হাঁড়িয়ার লোভে জমিতে বা বাড়িতে হানা দেওয়ার ফল!
‘‘ইস, ঘা-টা তো অনেকটা ছড়িয়ে গিয়েছে! এটার যন্ত্রণাতেই হয়তো হাতিটা মানুষ মেরেছে। তার পরই কিছুটা অনুতাপবশত মনে হয় মড়াকে শুশ্রুষা করে বাঁচানোর চেষ্টা করছিল। যে ভাবে ভাগছে তাতে একটু বাদেই চোখের আড়ালে চলে যাবে। অবশ্য থাকলেই বা কী হত? এ সব জায়গায় তো কুনকি হাতি, ঘুমপাড়ানি গুলিবন্দুক কিছুই নেই! হাতিটার বাঁচা-মরা এখন ওর ভাগ্যের উপর। তার আগে আর ক’টা মানুষ মারবে...’’ স্বপনবাবুর স্বগতোক্তি আর আফসোস বেন্দার কানে আসে।
সামনে একটা হেলানো শিমুলগাছ দেখে বেন্দা জায়গাটা চিনতে পারে। এখানেই অনেক বছর আগে এক বার বোস স্যর ওকে হাতির কবল থেকে বাঁচিয়েছিলেন। বড় বাঁচা বেঁচেছিল সে বার! জোর করে সেই চিন্তা মাথা থেকে সরিয়ে স্বপনবাবুকে বলে, ‘‘বড়বাবু, ইখানেই সামনের ঝোরাটা বেঙ্গল-বিহার, ইয়ে ঝাড়খণ্ড বডার! এ দিক পানে হাতির পালও থাইকত্যে পারে। আর আগে বাড়া ঠিক নাই হব্যেক।’’
স্বপনবাবুও বিপদের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিতে পারেন না। দু’জন মাত্র লোক বর্ডারে দাঁড়িয়ে একটামাত্র দোনলা বন্দুক আর ক’টা কার্টিজ মাত্র সম্বল করে খুনে হাতি আর তার সঙ্গীসাথীদের মোকাবিলা করবে, এটা বাস্তবসম্মত নয়। অকুস্থলে ফিরে এসে দেখা যায়, ওদের বাইক পাহারা দেওয়ার জন্য দু’জন ছোকরা ছাড়া আর সকলে মৃতদেহ নিয়ে প্রথামাফিক সৎকারের জন্য পাড়ার ভিতরে চলে গিয়েছে। বাইক স্টার্ট দিতে ছেলে দুটোও বিদায় নেয়।
ফেরার সময় পুরো রাস্তাটা বেন্দা পিছনের সিটে বসা স্বপনবাবুর কথা শুনতে শুনতে এক নতুন মানুষকে আবিষ্কার করে। এক অসহায় সরকারি কর্মচারী যে এক জন আদিবাসী বৃদ্ধার অপঘাত মৃত্যুতেও ব্যথায় কাতর, আবার তার হত্যাকারী সেই হাতির বীভৎস ক্ষতের যন্ত্রণাতেও সমান ব্যথিত, যে ক্ষত কোনও না কোনও মানুষই দিয়েছে। এই যে মানুষ আর বন্যপ্রাণীর সংঘাত, এটা যে ক্রমশ তীব্র আকার নিচ্ছে আর ভবিষ্যতে বেড়েই চলবে, সে বিষয়ে শহুরে স্বপনবাবু আর ভূমিপুত্র বৃন্দাবন দু’জনেই একশো ভাগ সহমত হয়।
বাস্তবে ফিরে আসে বর্তমান বড়বাবুর গলা শুনে, ‘‘কী রে বেন্দা, আমি তো ঘর থেকে তৈরি হয়ে এলাম, তুই বাড়ি গেলি না? বেরবো কখন?’’ বেন্দা অপ্রস্তুত ভাবটা কাটিয়ে উত্তর দেয়, ‘‘ঘর লাই যাব আজ্ঞা, রাস্তায়টুকু তেল লিতে হব্যে বাইকে। তক্ষন চায়ের দুকানে কিছু খায়েঁ লিব’খন। মনটা আমার ভাল নাই স্যার!’’
স্টার্ট দেওয়া বাইকের পিছনে উঠে রেঞ্জারবাবু খেদের সুরে বলেন, ‘‘মন কি আমারই ভাল আছে রে বেন্দা? আমার থেকে আগে প্রোমোশন পেলে কী হবে, চাকরিতে আমি তো ওর চেয়ে তিন বছরের সিনিয়ার। ট্রেনিং রেজ়াল্ট একস্ট্রাঅর্ডিনারি করায় স্বপন আগে প্রমোশন পেয়েছিল বটে, তবে সব সময়ই ও আর বৌমা আমাকে দাদা বলে ডাকত। বিয়েও তো বেশি দিন হয়নি, কোন মুখে মেয়েটার সামনে গিয়ে দাঁড়াব ভেবে পাচ্ছি না।’’
কিছুটা সময় দু’জনেই নির্বাক। যেন স্বপনবাবুর আত্মার শান্তির উদ্দেশ্যেই মৌন পালন করছে। একটু পরে পটমদা হয়ে টাটা যাওয়ার রাস্তা বাঁ দিকে রেখে ওরা বরাবাজারের দিকে এগিয়ে চলে। রেঞ্জারবাবু আবার মুখ খোলেন, ‘‘হ্যাঁ রে বেন্দা, তুই কালীপুর চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর সাহেবকে কবে থেকে জানিস? খারাপ খবরটা পুরুলিয়া থেকে পাওয়ার আধ ঘণ্টা আগেই ডিএফও সাহেবের ফোন এসেছিল। জানালেন ওই সাহেব বান্দোয়ানে আসবেন পুরনো জায়গা ঘুরেফিরে দেখতে। এখানে নাকি এক সময়ে থাকতেন কী সব ট্রেনিংয়ের সুবাদে। চিড়িয়াখানার সাহেব তোকে চিনল কী করে? কেন না ডিএফও সাহেব তো তোর কথাও জিজ্ঞেস করছিলেন। যখন শুনলেন যে তুই রিটায়ার করেছিস, বললেন ওই সময়ে তোকেও রেঞ্জ অফিসে হাজির রাখতে। কেন রে?’’
কেন, কী করে জানবে বেন্দা? আজ পর্যন্ত কলকাতাই গিয়ে উঠতে পারেনি তো কালীপুর চিড়িয়াখানা! তার উপর কে যেন সাহেব ওকে খুঁজেছে শুনেই বেন্দার গলা শুকিয়ে কাঠ। কোনও মতে বলে, ‘‘আমি কিছু করি নাই, স্যার! আপনাকে ফিরিয়ে এনেই আমি পলায়েঁ যাব মেয়ের বাড়ি, এক মাস আর ইদিক মাড়াব নাই।’’
ক্রমশ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy