স্যাটেলাইট চিত্রে গালওয়ান উপত্যকা। ছবি: এপি
বৃষ্টিভেজা এক বিকেলে অবিভক্ত ভারতের করাচিতে এসে নামলেন ডানমোরের সপ্তম আর্ল চার্লস মুর। সালটা ১৮৯২। ইংল্যান্ডের হাউস অব লর্ডসের রক্ষণশীল দলের এই নেতা ভারতে যে কাজে এসেছেন, তা গোপনীয় এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিছু দিনের মধ্যে সেই কাজেই এখান থেকে তাঁর যাওয়ার কথা চিন এবং তার পর রাশিয়ায়। ভাইসরয় লর্ড ল্যান্সডাউন চিন সরকারের কাছ থেকে সেখানে যাওয়ার অনুমতিপত্র জোগাড় করেছেন ইতিমধ্যেই। চিনা তুর্কিস্তান হয়ে রাশিয়ায় যাওয়ার পাসপোর্টের ব্যবস্থাও হয়ে গিয়েছে। নিজের যাবতীয় জিনিসপত্র কাশ্মীরে পাঠিয়ে দিয়ে কিছু দিনের মধ্যেই তিনিও রওনা হলেন লাদাখের লেহ থেকে গন্তব্যের উদ্দেশে।
মুর তাঁর সুদীর্ঘ যাত্রাপথের বিশদ বিবরণ দিয়েছেন তাঁর ভ্রমণ ডায়েরি, ‘দ্য পামিরস: বিয়িং আ ন্যারেটিভ অব আ ইয়ার্স এক্সপিডিশন অন হর্সব্যাক অ্যান্ড ফুট থ্রু কাশ্মীর, ওয়েস্টার্ন টিবেট, চাইনিজ় টেরিটরি অ্যান্ড রাশিয়ান সেন্ট্রাল এশিয়া’-তে। এর আগে বহু অভিযান করেছেন তিনি, কিন্তু এ বার পড়লেন বিপদে।
লাদাখের কাছে এসে উচ্চতার জন্য শুরু হল শ্বাসকষ্ট। তার মধ্যে এমন এক জায়গায় এসে পৌঁছলেন যার চর্তুদিক উঁচু শৃঙ্গে ঘেরা। সেই রাস্তা দিয়ে পাহাড় পেরিয়ে লোকলশকর আর ঘোড়া নিয়ে উল্টো দিকে যাওয়া অসম্ভব। কিছু আগেই তাঁরা দেখে এসেছেন, ঘোড়ার হাড়গোড় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে চারিদিকে। রয়েছে বেশ কিছু প্রাণীর কঙ্কালও। তার মধ্যে মানুষের কঙ্কালও আছে সম্ভবত। ভয়ে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে গেল তাঁর। কোনও সময়ের এক অভিযাত্রী দলের দেহাবশেষ ওগুলো, সন্দেহ নেই।
প্রতিভূ: গুলাম রসুল গালওয়ান। তাঁর নামেই এই উপত্যকার নাম।
দলে ছিল গুলাম রসুল গালওয়ান নামে বছর চোদ্দোর একটা ছেলে। ছেলেটি যেমন ভাল রাঁধুনি, তেমনই দক্ষ ঘোড়া রক্ষক। অবস্থা দেখে গালওয়ান প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে নিজেই বেরিয়ে পড়ে পথ খুঁজতে। শেষমেশ এই রসুলই গিরিখাতের মধ্য দিয়ে এমন একটা রাস্তা খুঁজে বার করল, যেখান দিয়ে সহজে অভিযাত্রী দল যেতে পারে, প্রাণহানির কোনও আশঙ্কা ছাড়াই। সেই সময় আফগানিস্তান,
মধ্য এবং দক্ষিণ এশিয়া নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সংঘাতে লিপ্ত ব্রিটেন। কারাকোরাম পেরিয়ে চিনের ঝিনজিয়াং প্রদেশের তারিম অববাহিকা, তিব্বত, লাদাখ-সহ বহু এলাকার যথাযথ সীমান্ত নির্ধারণ হয়নি।
মুরের অভিযানের প্রেক্ষিত ১৮৩০ থেকে ১৮৯৫ পর্যন্ত চলা রাশিয়া-ব্রিটেনের ‘গ্রেট গেম’। ব্রিটেনের আশঙ্কা ছিল, ভারত আক্রমণ করে এই সব অঞ্চল নিজেদের সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করবে রাশিয়া। চার্লস মুর তাঁর ভ্রমণ ডায়েরিতে সচেতন ভাবে অভিযানের উদ্দেশ্য এড়িয়ে গিয়েছেন। কিন্তু মনে করা হয়, রাশিয়ায় গুপ্তচরবৃত্তি ছিল অভিযানের কারণ। গুরুত্বপূর্ণ অভিযানে এই ভাবে সাহায্য পেয়ে কৃতজ্ঞ মুর এই এলাকার নাম দিলেন গালওয়ান নামের সেই কিশোরের নামে। লাদাখি ইতিহাসবিদ আবদুল গনি শেখের মতে, খরস্রোতা নদীর পাশের এই অঞ্চলের নাম তখন ছিল গালওয়ান নালা। পরে এই এলাকাকেই বলা হয় গালওয়ান উপত্যকা। কোনও দেশীয় ব্যক্তির নামে ব্রিটিশ শাসনকালে ভৌগোলিক নামকরণের এমন নজির আর নেই।
ব্রিটিশ শাসনকালে সীমান্ত সমস্যার সমাধানে ভারত থেকে চিন-এ যাওয়ার জন্য যে গালওয়ান উপত্যকা পেরোতে হয়েছিল মুরকে, সেই উপত্যকাই আজ খবরের শিরোনামে। সমুদ্রতট থেকে সতেরো হাজার ফুট উপরে এই অঞ্চলে তাপমাত্রা বেশির ভাগ সময়েই শূন্যের নীচে। এখান দিয়েই বয়ে গিয়েছে গালওয়ান নদী। আকসাই চিন থেকে উৎপন্ন এই নদী পরে মিশেছে সিন্ধুর
অন্যতম শাখা শিয়কের সঙ্গে। লেহ থেকে দুনিয়ার উচ্চতম গিরিপথ খারদুং লা পেরিয়ে যাঁরা
নুব্রা উপত্যকায় বেড়াতে যান, তাঁরা অনেকেই এই শিয়ক নদী দেখেছেন।
আকসাই চিনের নদীগুলোর জন্যই আজ গালওয়ান উপত্যকার এত গুরুত্ব! ফলে এখানে ভারত-চিন উত্তেজনা থাকেই। তবে, ১৯৬২ সালের যুদ্ধের পর তা বড় আকার নেয়নি কখনও। সাম্প্রতিক উত্তেজনার সূত্রপাত, এই এলাকায় ভারতের রাস্তা তৈরি করা নিয়ে। আগেই এই এলাকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে ১০ কিমি দূরে ২৫৫ কিলোমিটার রাস্তা বানিয়েছে ভারত। দারবুক থেকে সিয়োক গ্রাম হয়ে দৌলতবেগ ওল্ডি বরাবর এরই একটি শাখা তৈরির কাজ করছিল বর্ডার রোডস অর্গানাইজ়েশন। এই রাস্তা তৈরি হলে ভারত-চিনের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বা এলএসি-র সঙ্গে ভারতের যোগাযোগ অনেক সহজ হয়ে যাবে। এই রাস্তা সহজ করে দেবে লেহ থেকে দৌলতবেগ ওল্ডি-র সঙ্গে যোগাযোগও। এই দৌলতবেগ ওল্ডি-র কথাও ভ্রমণ ডায়েরিতে লিখেছিলেন ডানমোর। এই এলাকায় অভিযান চালানোর সময় তিনি জানতে পারেন— স্থানীয় ‘তুর্কিক’ ভাষায় এর মানে, যেখানে এক জন ধনী ব্যক্তি মারা গিয়েছেন। মধ্য এশিয়ার ইয়ারখন্দের সুলতান সৈয়দ খান এই এলাকা পার হতে গিয়ে উচ্চতার কারণে মারা যান। তাঁর থেকেই এই জায়গার নাম।
এই দৌলতবেগ ওল্ডি বা ডিবিও ঘাঁটি কৌশলগত কারণে গুরুত্বপূর্ণ। এটি ভারতের উচ্চতম সামরিক এয়ারস্ট্রিপ। আকাশপথে ১০ কিমি দূরেই কারাকোরাম। এর পশ্চিমে সিয়াচেন, পূর্বে আকসাই চিন, উত্তর-পশ্চিমে সাকসগম উপত্যকা। আকসাই চিনের মধ্য দিয়ে যাওয়া ঝিনজিয়াং হাইওয়েও কাছে।
আসলে, ২০১৬-তে চিন বেশ কিছুটা রাস্তা তৈরি করেছিল গালওয়ান উপত্যকায়। কিন্তু এ বার অভিযোগ, উপত্যকায় চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি এএলএসি (অ্যাকচুয়াল লাইন অব কন্ট্রোল) লঙ্ঘন করে এগিয়ে এসেছে অনেকটাই।
তবে, এটাই প্রথম বার নয়। ভারতের অজ্ঞাতে ১৯৫৬ সালেই আকসাই চিনের মধ্যে দিয়ে যাওয়া ঝিনজিয়াং থেকে লাসার রাস্তার আধুনিকীকরণ শুরু করে চিন। অথচ তার আগেই ১৯৫৪ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু বলেন, আকসাই চিন ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু ১৯৫৮ পর্যন্ত ভারতের কোনও সামরিক ঘাঁটি আকসাই চিনের কাছে ছিল না। এর পুরো ফায়দা নেয় চিন। তত দিনে চিনা মানচিত্রে ওই রাস্তা ঢুকে গিয়েছে।
সংঘাত তীব্র হতে থাকে আস্তে আস্তে। ১৯৬২ সালেও গালওয়ান উপত্যকাই ফ্ল্যাশপয়েন্ট ছিল ভারত-চিন যুদ্ধের। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু এই এলাকার সামরিক গুরুত্ব বুঝে তখন এখানে সৈন্যবাহিনী মোতায়েন করেন। সেই ঘটনাই চক্ষুশূল হয় চিনের। অতঃপর ১০ জুলাই চিনা সৈন্যবাহিনীর ৩০০ সদস্যের দল গালওয়ান এলাকার উপরিভাগে অবস্থানরত গোর্খাদের সম্পূর্ণ ঘিরে ফেলে। লাদাখে চিনের কাজকর্ম নিয়ে সে সময় ১৪ মে থেকে ১৪ জুন এক মাস ধরে লাগাতার চিনকে অবহিত করতে থাকে ভারত। কিন্তু এ সবে কোনও কাজই হয়নি শেষ পর্যন্ত। এমনকি ১৯৫৬ সালে চিনা প্রধান চৌ এন লাই-এর অনুমোদিত মানচিত্রে দুই দেশের যে সীমান্তরেখার কথা বলা হয়েছিল, তা অতিক্রম করে চিন। প্রত্যুত্তরে ৪ অক্টোবর মেজর এস এস হাসাবনিস জাঠ আলফা কোম্পানির সেনাদের নিয়ে গালওয়ান পোস্টে আসেন। ২০ অক্টোবর চিন আচমকা গালওয়ান পোস্টে গুলিবর্ষণ শুরু করে ৩৫ জন সৈন্যকে নিহত করে মেজর হাসাবনিসকে বন্দি করলে ভারত-চিন যুদ্ধ আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয়। ঝিনজিয়াংয়ের রাস্তায় গালওয়ান ঘাঁটির দিকে চিনের নজর বহু দিন ধরেই।
যাঁর নামে এই উপত্যকা, সেই গুলাম রসুল গালওয়ানও উনিশ শতকে তাঁর আত্মজীবনী ‘সারভেন্ট অব সাহিবস, আ বুক টু বি রিড অ্যালাউড’-এ চিনা সৈন্যদের আগ্রাসী মেজাজের কথা লিখে গিয়েছিলেন। লাদাখে মাঝেমধ্যেই সামরিক ঘাঁটি ছেড়ে বেরিয়ে এসে মারধর করতেন এঁরা। ছোট বাজারগুলি ভরে যেত চিনা সৈন্যে। এক দিন বাড়াবাড়ি এতটাই হল যে রসুলের ইংরেজ সাহেবকেও ছাড়ল না চিনারা। পাল্টা মার দিতে এসে প্রচণ্ড মার খেল রসুল।
তখন কাশ্মীর, আফগানিস্তান, চিন, পারস্য, আরব-সহ বহু জায়গা থেকে পণ্য নিয়ে এখানে আসতেন রেশম পথ বা সিল্ক রুটের বণিকরা। হিন্দুদের দেবতা থেকে তাঁদের রীতিনীতি, চিনাদের সঙ্গে প্রতি পদে সংঘাত, সেই সঙ্গে সিল্ক রুটে চিনাদের বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান, রাশিয়ানদের সঙ্গে সাক্ষাৎ-সহ অজস্র ঘটনার কথা গুলাম রসুল গালওয়ান লিখে গিয়েছেন তাঁর আত্মজীবনীতে।
জম্মু কাশ্মীরের প্রথম সেটলমেন্ট কমিশনার স্যর ওয়াল্টার জে লরেন্স তাঁর ‘ভ্যালি অব কাশ্মীর’ বইয়ে লিখেছেন, কাশ্মীরের বাসিন্দা গালওয়ানরা মূলত টাট্টু ঘোড়া চরিয়ে দিন গুজরান করত। কিন্তু কিছু দিনের মধ্যেই তারা দেখল ঘোড়া চরানোর থেকে চুরিতে লাভ বেশি। এক দিন সেই কাজই পুরোদমে শুরু করে দিল তারা। এরই মধ্যে কারা গালওয়ান নামে এক ব্যক্তি হয়ে উঠলেন এলাকার রবিনহুড। তিনিই আমাদের গুলাম রসুলের প্রপিতামহ। কাশ্মীরি গাইডের নামেই উপত্যকার নাম রেখেছিলেন ব্রিটিশ অভিযাত্রীরা।
গুলাম রসুল লিখেছেন, বড়লোকদের টাকা লুঠ করে গরিবদের দিতেন কারা। মুখ্যত তাঁর জন্যই, কাশ্মীররাজের কোপে নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে গালওয়ান পরিবার। বিধবা মায়ের একমাত্র সন্তান রসুলকে পেটের দায়ে মাত্র বারো বছর বয়স থেকেই নানা কাজে ঘুরতে হত। তখনই টাকার জন্য অভিযাত্রীদের সঙ্গে যোগ দিতে শুরু করেন। পরে অভিযানের নেশা হয়ে যায়। অর্থের অভাব মেটার পরও শামিল হয়েছেন একের পর এক অভিযানে।
৩৫ বছর ধরে অজস্র অভিযাত্রী দলের সঙ্গী তিনি। ১৮৯০ এবং ১৮৯৬ এই দুই বছর ঘোরেন স্যর ফ্রান্সিস ইয়ংহাজ়ব্যান্ড-এর সঙ্গে। ইটালীয় প্রাণিবিজ্ঞানী ফিলিপ্পো দে ফিলিপ্পির সঙ্গেও অভিযানে যান তিনি। ‘সারভেন্ট অব সাহিবস’ নামের আত্মজীবনীটি ১৯২৩ সালে প্রকাশিত হয় কেমব্রিজের এক প্রকাশনা থেকে।
আপাতদৃষ্টিতে সাধারণ লাদাখি এক ব্যক্তির বই এই ভাবে ইংরেজি ভাষায় বিদেশ থেকে প্রকাশিত হওয়াও কম আশ্চর্যের বিষয় ছিল না। রসুল তাঁর বইয়ের মুখবন্ধে লিখেছেন, কী ভাবে বিদেশি পর্যটকদের সান্নিধ্যে গরিব একটা ছেলে আস্তে আস্তে ধনী হয়ে ওঠে। সেই সময় থেকে বই লিখতে চাইতেন তিনি। পরে এক সাহেবের সাহায্যে আস্তে আস্তে একটা গোটা বই লিখে ফেলেন। হিন্দি, উর্দু, কাশ্মীরি আর তিব্বতি ভাষা জানা গুলাম রসুল গালওয়ান ইংরেজি জানতেন না মোটেই। পুরো আত্মজীবনীটিই ভাঙা এবং ব্যাকরণগত ভাবে অশুদ্ধ ইংরেজিতে লেখা। বইটির সম্পাদক মার্কিন অভিযাত্রী রবার্ট বারেটের স্ত্রী ক্যাথারিন ব্যারেট বইয়ের প্রথমে লিখেছেন যে তাঁর স্বামীর সঙ্গে অভিযানের সময় কয়েকটি মাত্র ইংরেজি শব্দ জানত গালওয়ান। কিন্তু নিজের জীবনে যা ঘটেছে তা লেখার ইচ্ছে ছিল প্রবল। ইংরেজি শেখার জন্য রবার্ট ব্যারেট তাঁকে কিংস জেমস বাইবেলের একটি কপি দেন। বইটির সাহায্যে ইংরেজি শিখে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি তাঁর জীবনের বিভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা লিখে পাঠাতে থাকেন আমেরিকায়। শেষ পর্যন্ত প্রায় চোদ্দো বছর পর ছেপে বার হয় বই।
বই বেরনোর দু’বছর পরই, ৪৭ বছর বয়সে মারা যান গুলাম রসুল গালওয়ান। আত্মজীবনীর একদম শেষে গালওয়ান এক দিন দেখা তাঁর এক স্বপ্নের কথা লিখেছেন। তিনি দেখেন, বিরাট এক বালির পাহাড়ের নীচে দাঁড়িয়ে ঈশ্বরের উদ্দেশে প্রার্থনা করছেন তিনি। সেই সময় সাদা ঘোড়ার পিঠে চড়ে এক সাহেব এসে দাঁড়ালেন তাঁর সামনে। তিনিই গুলাম রসুলকে নিয়ে এলেন আশ্চর্য এক পাহাড়ের সামনে, আরও উপরে যাওয়ার ইঙ্গিত করলেন।
তখনও গুলাম রসুল গালওয়ান জানতেন না, মৃত্যুর পরেও কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, তামাম ভারতবাসীর মনে গেঁথে যাবেন তিনি। ২০২০ সালেও তার ব্যত্যয় হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy