Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
Bengali Short Story

বাজার

বুদ্ধুরাম ওর হাতের ছোট্ট টর্চটা জ্বালিয়ে নিয়ে, তেলচিটে বস্তাটা কাঁধে ফেলে পিচের রাস্তায় এসে দাঁড়ায়। শীতের রাত। কুয়াশার চাদরে ঢাকা রাস্তা।

ছবি: প্রসেনজিৎ নাথ।

ছবি: প্রসেনজিৎ নাথ।

তমাল গঙ্গোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০২৪ ০৮:৩৪
Share: Save:

ভোরের আলো ফোটার বেশ কিছু ক্ষণ আগেই বুদ্ধুরাম তার ঝুপড়ি থেকে বেরোয়। বুদ্ধুরামের একমাত্র ছেলে বেচারাম তখন মায়ের গলা জড়িয়ে অঘোরে ঘুমোচ্ছে। বুদ্ধুরাম ওর ছেলেকে এলাকার খিচুড়ি স্কুলে ভর্তি করে দিয়েছে। বুদ্ধুরাম লিখতে-পড়তে জানে না, কিন্তু ওর ছেলে লিখতে-পড়তে শিখেছে। বুদ্ধুরামের গর্ব হয় ছেলের ঘুমন্ত মুখের দিকে তাকিয়ে। বুদ্ধুর ছেলে সাবুর পাঁপড়ভাজা খেতে খুব ভালবাসে। বুদ্ধুরাম প্রতিদিন বিকেলে বাড়ি ফেরার সময় সাবুর পাঁপড়ভাজার প্যাকেট নিয়ে আসে। ছেলেটা সেই সময় বুদ্ধুরামের ফিরে আসার পথের দিকে তাকিয়ে বসে থাকে। বুদ্ধুরাম ওর ঝোলার ভিতর থেকে পাঁপড়ভাজার প্যাকেট বার করা মাত্রই বেচারাম ছুটে এসে ওর বাবাকে জড়িয়ে ধরে। বুদ্ধুরামের তখন খুব আনন্দ হয়।

বুদ্ধুরামের পেশা রাস্তার পাশে পড়ে থাকা কাচের শিশি-বোতল, দুধের খালি প্যাকেট কুড়িয়ে সেলিমচাচার দোকানে বিক্রি করা। বৃদ্ধ সেলিমচাচা বুদ্ধুরামকে খুব পছন্দ করেন। বুদ্ধুরামের কোনও বন্ধু নেই। সেলিমচাচার বয়স হয়েছে। তিনিও কারও সঙ্গে বিশেষ মেলামেশা করতে পছন্দ করেন না। মাঝে মাঝে যখন বুদ্ধুরাম ওর ঝোলা নিয়ে দুপুরবেলা সেলিমচাচার দোকানে আসে, তখন দু’জনে নিজেদের মধ্যে অনেক কথা বলে। বেশি কথা সেলিমচাচাই বলেন, বুদ্ধুরাম কেবল ঘাড় নেড়ে সায় দেয়। বুদ্ধুরাম বোকা হতে পারে, কিন্তু সুবিধে-অসুবিধে হলে হাত পাতার জন্য যে এই একটা মানুষই আছে, সেটা বুদ্ধুরাম কখনও ভোলে না।

বুদ্ধুরাম ওর হাতের ছোট্ট টর্চটা জ্বালিয়ে নিয়ে, তেলচিটে বস্তাটা কাঁধে ফেলে পিচের রাস্তায় এসে দাঁড়ায়। শীতের রাত। কুয়াশার চাদরে ঢাকা রাস্তা। বুদ্ধুরামের গন্তব্য গ্রামের একদম শেষ প্রান্তে অবস্থিত সুখচাঁদের গুদামঘর। সুখচাঁদ এলাকার নামকরা মস্তান। গুদামঘরটা সুখচাঁদের ঠেক। গ্রামের হাটের আনাজ-ব্যবসায়ীদের থেকে তোলা নেওয়া থেকে শুরু করে জলাজমি ভরাট করা, মাটির রাস্তা পাকা করার বরাত পাওয়া ঠিকাদারের থেকে কাটমানি আদায় করাই সুখচাঁদের কাজ। আবার শুধু আদায়েই হয় না, ঠিক ঠিক জায়গায় ঠিক ঠিক ভগ্নাংশ পৌঁছেও দিতে হয়। এই সব শর্ত নির্ভুল পালন করে মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই সুখচাঁদ গোটা গ্রামটাই নিজের আয়ত্তে নিয়ে নিয়েছে।

সুখচাঁদ এক সময় গ্রামের হাট থেকে আনাজপাতি কিনে নিয়ে গিয়ে কলকাতার বাজারে সাপ্লাই করত। এখন সুখচাঁদ নিজেই গ্রামের বাজার চালায়। এখন আর কেউ হাট বলে না, সকলের কাছে এখন হাটের নাম ‘সুখচাঁদ মার্কেট’। সুখচাঁদের গুদামঘরে রোজ রাতে মদের আসর বসে। গ্রামের কেষ্টবিষ্টুরা সেখানে জমা হয়। মাঝে মাঝে পুলিশের গাড়িও আসে। কেন আসে, বুদ্ধুরাম পরিষ্কার করে জানে না। তবে বুদ্ধুরাম এটা ঠিক জানে যে, গুদাম ঘরের এ দিক-সে দিকে অনেক রকম খালি কাচের বোতল পাওয়া যায়। দামি মদের বোতল। অন্য কেউ সেই সব বোতল হাতিয়ে নেওয়ার আগেই বুদ্ধুরামকে সেখানে পৌঁছতে হয়। তাই বুদ্ধুরাম তাড়াতাড়ি পা চালায়।

বুদ্ধুরাম গুদামঘরের কাছে পৌঁছে কয়েকটা খালি বোতল নিজের বস্তায় ঢুকিয়ে নেওয়ার পরে একটা প্লাস্টিকের ব্যাগ দেখতে পেল। ভাবল, হয়তো ওই ব্যাগের মধ্যে আরও খালি শিশি-বোতল আছে, আগেকার জমে গেছিল বলে প্লাস্টিকে করে ফেলেছে। বুদ্ধুরাম ব্যাগটা হাতে তোলা মাত্রই বিকট শব্দ আর আলোর ঝলকানিতে এলাকার মাটি কেঁপে উঠল। বুদ্ধুরামের হাতটা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ফুট পাঁচেক দূরে ছিটকে পড়ল। যে হাতের আঙুলে পাঁপড়ভাজার প্যাকেট ধরার কথা, সেই হাতের আঙুলগুলো নিষ্ঠুর বারুদের আলোয় ঝলসে ভাজা-ভাজা হয়ে গেল।

গ্রামের মসজিদে তখন সবেমাত্র ফজরের নমাজ শেষ হয়েছে। মসজিদ থেকে সকলে যার-যার বাড়ির পথে রওনা হয়েছেন। ভোরের মৃদু আলো, মিঠে হাওয়া আর সবে ফুটে উঠতে থাকা পাখপাখালির ডাকের মধ্যে কান-ফাটানো শব্দ শুনে নমাজিরা চমকে গেল। সেলিমচাচা নমাজ পড়া শেষ করে বাড়ির পথ ধরেছেন, তখনই ইতিউতি গুঞ্জনে তাঁর কানে ভেসে এল বুদ্ধুরামের নাম। তিনি কৌতূহলী হয়ে এক জন গ্রামবাসীর কাছ প্রশ্ন করে জানতে পারলেন, সুখচাঁদ মার্কেটে বোমা ফেটে বুদ্ধুরাম মারাত্মক জখম হয়েছে।

সেলিমচাচা দ্রুত পদক্ষেপে সুখচাঁদ মার্কেটের দিকে এগিয়ে গেলেন। রক্তাক্ত বুদ্ধুরামের মুখ থেকে অসহ্য যন্ত্রণার কাতর শব্দ বার হচ্ছে। সেলিমচাচা সেই অবস্থা দেখার সঙ্গে সঙ্গে তাড়াতাড়ি একটা গাড়ি ভাড়া করে বুদ্ধুরামকে কলকাতার হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করলেন।

*****

অটো-চালক সুবোধ রায়ের ছেলে বাবুসোনা সকাল ন’টার মধ্যে পেট ভরে রুটি-তরকারি খেয়ে টিভির সামনে বসে পড়ে। হাতে স্মার্টফোন। সুবোধ রায় ভাড়ার অটো চালিয়ে লাখদুয়েক টাকা জমিয়েছিলেন মেয়ে করবীর বিয়ের জন্য। বি কম পাস বাবুসোনা এক বছরে ডবল করে দেবে বলে বাবার কাছ থেকে সমস্ত টাকা হাতিয়েছে।

বাবুসোনা শেয়ার বাজারে টাকা খাটিয়ে বড়লোক হওয়ার স্বপ্ন দেখে। টিভিতে বিভিন্ন বিজ়নেস নিউজ় চ্যানেল আর ইউটিউবে প্রচুর জ্ঞানগর্ভ ভাষণ শুনে বাবুসোনা বেশ কয়েক মাস ধরে নিজেকে তৈরি করেছে। একটা বড় ব্যাঙ্কের মাধ্যমে নিজের নামে একটা ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খুলেছে। সেই কোম্পানি কোন শেয়ার কিনতে হবে, কত টাকায় কিনতে হবে, এই সব পরামর্শ দেয়। বাবুসোনা ইতিমধ্যেই বেশ কিছু কোম্পানির স্টক কেনা-বেচা করে কয়েক হাজার টাকা কামিয়ে ফেলছে। ক্যান্ডল স্টিক চার্ট প্যাটার্ন মোটামুটি রপ্ত করে ফেলেছে বলে বাবুসোনার আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেছে। আত্মবিশ্বাসী বাবুসোনা অপশন ট্রেডিং করবে বলে ঠিক করে ফেলল। জায়গা বুঝে টাকা লাগাতে পারলে মুনাফা গুনে শেষ করা যাবে না। অপশন ট্রেডিং ছাড়া রাতারাতি বড়লোক হওয়া অসম্ভব। বাবুসোনার কাছে কম সুদে নিরাপদ বিনিয়োগ মানে সময়ের অপচয়। বাবুসোনা সকাল থেকে অনেক চিন্তাভাবনা করার পরে, মার্কেট বন্ধ হওয়ার ঠিক আগে, নিজের সমস্ত টাকা দিয়ে পছন্দমতো শেয়ারের প্রচুর লট কিনে ফেলল। মার্কেট বাড়বেই, আর তখনই ছেড়ে দেওয়া যাবে হাতের পাঁচ। রাতারাতি বড়লোক হওয়ার এই সুযোগ রোজ রোজ আসে না। এক অযৌক্তিক যুক্তির উপর নির্ভর করে, বাবুসোনা টিভি বন্ধ করে পাড়ার ক্লাবে তাস পেটাতে চলে গেল। বাবুসোনা টেনেটুনে বি কম পাস করলেও জ্ঞানগম্যি বিশেষ নেই বললেও চলে। সে জানত না, যুধিষ্ঠির যত ভাল পাশা-খেলোয়াড়ই হোন না কেন, অদৃষ্ট মাঝে মাঝে শকুনিমামার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। আর তখন হাতের দান হাতেই থেকে যায়, কিছু করার থাকে না।

*****

হাসপাতালে ওটি-র টেবিলে বুদ্ধুরাম অচেতন হয়ে শুয়ে আছে। একটু পরেই জেনারেল সার্জেন ডা. অরুণাভ দুবে আসবেন বুদ্ধুরামের শরীরের ভিতরে সেঁধিয়ে যাওয়া স্প্লিন্টারের টুকরো বার করতে। ও টি রুমে ঢোকার ঠিক আগেই ডা. অরুণাভর মোবাইলে এক বার টুং করে একটা শব্দ হল। তিনি যেন এই শব্দটারই অপেক্ষা করছিলেন।

শেয়ার বাজার নিয়ে কাজ করা এক বিখ্যাত রিসার্চ কোম্পানিতে তিনি নাম লিখিয়েছেন। মাসে পঞ্চাশ হাজার টাকা করে সেখানে বিনিয়োগ করেন তিনি। ওদের পরামর্শ অনুসারে চলে ইতিমধ্যেই তিনি লাখ পাঁচেক টাকা কামিয়ে ফেলেছেন। ডা. অরুণাভ ভাল করে মেসেজটি পড়ার পরে লাখ খানেক টাকা পছন্দসই শেয়ারের ‘পুট’ অপশনে লাগিয়ে দিয়ে মোবাইল ফোনের স্ক্রিনের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন। এক জন জুনিয়র ডাক্তার ঠিক তখনই এসে বলল, “স্যর, পেশেন্টের অবস্থার অবনতি হচ্ছে।”

ডা. অরুণাভ সেই জুনিয়র ডাক্তারটির দিকে কঠিন দৃষ্টিতে তাকালেন। জুনিয়র ডাক্তার সেই দৃষ্টির সামনে আর দাঁড়াতে সাহস পেল না। আধ ঘণ্টা পরে ডা. অরুণাভ যে ট্রিগার প্রাইস ঠিক করে রেখেছিলেন, তাঁর নির্বাচিত শেয়ারের ইনডেক্স নীচে নামতে নামতে সেই সূচক স্পর্শ করল। ডা. অরুণাভ লাখখানেক টাকা প্রফিট বুক করে যখন ও টি-তে ঢুকলেন, বুদ্ধুরামের জীবনপ্রদীপ তার কিছু ক্ষণ আগেই নিভে গিয়েছে।

হায় রে বাজার!

বাবুসোনা ঠিক তার আগের দিন তার বেছে রাখা শেয়ারে কল অপশনের এক একটা লট কিনেছিল পাঁচশো টাকা করে। বোনের বিয়ের জন্য রাখা বাবার পুরো লাখদুয়েক টাকা লাগিয়ে বাবুসোনা নিজের উত্তেজনা কমানোর জন্য অনেক রাত পর্যন্ত ক্লাবে বসে মদ খেল। পরের দিন বাবুসোনার ঘুম ভাঙতে বেশ দেরি হল। ঘুম ভাঙার সঙ্গে সঙ্গেই বাবুসোনা নিজের মোবাইলের ডিম্যাট অ্যাকাউন্টে লগ ইন করে হতভম্ব হয়ে গেল। গতকাল এক-একটা লট সে পাঁচশো টাকা করে কিনেছিল। মোট দু’লাখ টাকার অনেক লট। পাঁচশো টাকার এক-একটা লটের দাম রাতারাতি কমে এখন মাত্র দশ টাকায় এসে দাঁড়িয়েছে। দু’লাখ টাকার কানাকড়ি আর বেঁচে নেই। যেটুকু আছে, শকুনি ব্রোকার সেটাও হজম করে নেবে। লট কেনার সময় ব্রোকার টাকা নেয়, আবার বেচার সময়ও টাকা নেবে।

বাবুসোনা জানে না যে, শেয়ার মার্কেট যে শ্রেণির মানুষদের জন্য, বাবুসোনা সেই শ্রেণির ধারেকাছে পৌঁছনোর যোগ্য নয়। বাবুসোনার মতো নিম্ন আয়ের, উপযুক্ত শিক্ষাহীন মানুষদের শেয়ার বাজারের ভল্লুকের দল উপর থেকে থাবা মেরে এক্কেবারে রক্তাক্ত করে দেয়। শেয়ার বাজারের সাপ-লুডো খেলায় বাবুসোনার মতো মানুষরা সব সময় সাপের মুখেই পড়তে বাধ্য হয়, আর যারা মই বেয়ে উপরে উঠতে পারে তাদের মই ধরে রাখার মতো মানুষের অভাব হয় না। এ এমনই এক ক্ষেত্র, গভীর পড়াশোনা, নিরবিচ্ছিন্ন পর্যবেক্ষণ আর ভাগ্যদেবীর কৃপা না থাকলে কিচ্ছু মেলে না। অন্যের মুখে ঝাল খেয়ে ঝুঁকি নেওয়া বোকামি। সব ক্ষেত্রেই।

বাবুসোনার বোন করবীর বিয়ের জমানো টাকা চেটেপুটে খেয়ে সশব্দে ঢেকুর তুলল বাজার। হতাশা আর আত্মগ্লানিতে বাবুসোনা নিজের ঘরের সিলিং ফ্যান থেকে ক্যান্ডল স্টিক প্যাটার্নের ‘হ্যাঙ্গিংম্যান’-এর মতো ঝুলে পড়ল।

হায় রে বাজার!

*****

বুদ্ধুরামের মৃত্যুর খবর সারা গ্রামে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ল। বৃদ্ধ সেলিমচাচা সেই খবর শুনে একটা শক্ত লাঠি নিয়ে নিজের দোকান থেকে রাস্তায় এসে নামলেন। সেলিমচাচার ছেলে মহসিন তাড়াতাড়ি এসে বাবার পথ আটকে দাঁড়িয়ে বলল, “আব্বা কোথায় যাও?”

সেলিমচাচা ছেলের দিকে না তাকিয়েই বলে উঠলেন, “সুখচাঁদের গুদামঘর ভাঙতে।”

এক জন-দু’জন করে গ্রামের মানুষ সেলিমচাচার সঙ্গী হতে শুরু করল। এত দিন যারা মুখ বুজে সুখচাঁদের শত অত্যাচার সহ্য করতে বাধ্য হয়েছে, তারাও হাতের সামনে যে যা পেল তাই নিয়ে সুখচাঁদের গুদামঘরের কাছে পৌঁছে গেল। দু’-চার জন মানুষ নিয়ে সেলিমচাচা এগিয়ে যাচ্ছিলেন, কিছু ক্ষণের মধ্যেই প্রতিবাদী মানুষের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে গেল।

চোখের নিমেষে সুখচাঁদের দোকান, গুদাম মাটিতে মিশে গেল। মারমুখী জনতার সামনে সুখচাঁদের মস্তান-বাহিনী লেজ গুটিয়ে পালাল। বোকা বুদ্ধুরাম নিজের জীবনের বিনিময়ে গ্রামের মানুষদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার মন্ত্র শিখিয়ে গেল।

*****

বাবুসোনার বাবা তাঁর জমানো টাকা আর ছেলের মৃত্যুর শোক সামলাতে না পেরে চিরকালের মতো শয্যাশায়ী হলেন। সংসারের হাল ধরতে, বাবুসোনার বোন করবী এখন রোজ সন্ধেয় বাজারে আসা-যাওয়া করতে শুরু করেছে। এই বাজার নারীশরীরের ন্যায্য দাম দেয়। দুনিয়া একটা বাজার, বাজারে সকলেই আসতে পারে। কিন্তু বাজার সকলের জন্য নয়।

অন্য বিষয়গুলি:

Short story Bengali Story
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy