ছবি: পিয়ালী বালা।
পূর্বানুবৃত্তি: কস্তুরীর দেওয়া পোশাকআসাক কোনও দিন পরেও দেখেনি তার স্বামী আকিঞ্চন কিংবা মেয়ে মেহুলি। সকলের কাছ থেকে সরে সরে কস্তুরীর জীবন ক্রমশ নিঃসঙ্গ। মোবাইল অ্যাপে সিরিজ় কিংবা সিরিয়াল দেখেই সময় কাটে তার। হঠাৎই মেয়ের ঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে সে খুঁজে পায় এমন কিছু, যা সে একেবারেই আশা করেিন। অন্য দিকে, মেহুলি তার বন্ধু ময়ঙ্কের সঙ্গে বেরিয়েছে। বহু দিন পরে দেখা হয়েছে তাদের। উঠে আসছে নানা পুরনো কথাবার্তা, বন্ধুদের প্রসঙ্গ।
সে দিন মেহুলি যত বলে, “ওরে টিন না, স্টিল”, ওদের হাসি আর থামে না। শেষে ব্যাগ খুলে বার করে দেখাতে হয়েছিল। পরে অবশ্য ময়ঙ্ক বলেছিল যে, ওরা ইচ্ছে করেই লেগ-পুল করেছিল। কিন্তু সেই ‘টিনের টিফিন বক্স’ থেকে টিনা নামটা দিয়েছিল ময়ঙ্ক। কী বিচ্ছিরি একটা কলোনিয়াল নাম! বারণ করা সত্ত্বেও ওকে মাঝেমধ্যে ওই নামে ডেকে ফেলত ময়ঙ্ক। তাই বলে এখনও মনে রেখে দেবে!
“কী রে, বললি না?”
“হুম। তুই শুনে কিছু করতে পারবি না, বাট শোন। প্রবলেমটা আমার ফ্যামিলি নিয়ে। প্রিসাইজ়লি... আমার মাম্মিকে নিয়ে।”
“আন্টি!” বিস্ময়ে চেয়ারে সোজা হয়ে বসল ময়ঙ্ক, “আই গেস শি হ্যাজ় নট বিটন ইউ?”
“আরে না। অত সাহস আমার বাপিরও নেই। আফটার অল মাই বাপি ইজ় গ্রেট। আয়াম ড্যাডি’জ় গার্ল। পাপা কি পরি। হি হি হি... বাপি আমাকে বোঝে। বাট... তুই যখন আমাদের বাড়িতে গিয়েছিলি তখনও সিচুয়েশনটা এত ওয়র্স ছিল না।”
“ইন ডিটেল।”
“মাই মম অলওয়েজ় কিপস স্পাইং অন মি। আমি কোথায় যাচ্ছি, কোথা থেকে ফিরছি, কখন ফিরছি... অল ফাকস!”
“মেহুলি, মা তো টেনশন করবেই। আমার মা-ও করে। এতে আনন্যাচারাল কী আছে?”
“আই কান্ট টলারেট! আই জাস্ট কান্ট। ক্যান ইউ বিলিভ, আমি নিজের ঘরে নিজের ফ্রেন্ডদের নিয়ে একটু আড্ডা মারতে পারছি না, গল্প করতে পারছি না? এ সব কি মায়ের পারমিশন নিয়ে করতে হবে? কই, আমার বাপির তো কোনও প্রবলেম হয় না। তার উপরে আছেন এক জন, মাই গ্র্যান্ডমাদার। ব্লাডি ওল্ড ফাকার!”
“ডোন্ট বি সো ইমপেশেন্ট টিনা, প্লিজ়। বাড়ির বড়দের নিয়ে এই সব কথা.. ডোন্ট মাইন্ড, আমি নিতে পারছি না।”
“ইট’স ওকে। স্যরি, বাট ময়ঙ্ক, কত দিন? কত দিন ফ্রেন্ডদের বাড়িতে বসে আড্ডা-পার্টি দেওয়া যায়? ওদেরও তো একটা এক্সপেক্টেশন আছে। ওরা আসতে চায় আমার বাড়িতে। আমরা যদি বাড়ির আদার মেম্বারদের ডিস্টার্ব না করি, তা হলে মায়ের প্রবলেমটা কী, ক্যান ইউ এক্সপ্লেন? আমি আর জাস্ট নিতে পারছি না...”
ময়ঙ্ককে চমকে দিয়ে হু হু করে কেঁদে ফেলল মেহুলি। এয়ার কন্ডিশনড ঘরে প্রায় পৌনে দু’বোতল বিয়ার গিলে ময়ঙ্কের মাথায় সামান্য ঝিমঝিমে ভাব এসেছিল, চোখ আধবোজা করে সে শুনেও যাচ্ছিল, কিন্তু মেহুলি যে কেঁদে ফেলবে এটা আশা করেনি সে। ঠিক সেই সময়েই বিল নিয়ে হাজির বেয়ারা। তড়িঘড়ি বিল মিটিয়ে একটা সিগারেট ধরিয়ে টয়লেটে ঢুকে গেল সে। বেরিয়ে এসে মেহুলির কানে কানে বলে, “একটা গুড নিউজ় দেব।”
কস্তুরী চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছে একটা ছোটখাটো প্যাকেটের বাইরে আঁকা একটা ছবি। চেনা ছবি। কিন্তু নিজের চোখও তো মাঝেমধ্যে ধোঁকা দেয় অথবা দিতেও পারে, এই ভরসায় খুঁটিয়ে দেখছিল কস্তুরী। কিন্তু বার বার উল্টেপাল্টে দেখেও যখন ছবিটা অবিকৃত থাকল, তখন আচমকা একটা স্তব্ধতা নেমে এল তার সারা শরীর জুড়ে। সে শ্লথ হাতে প্যাকেটটা খুলে ফেলল। হ্যাঁ, কোনও ভুল নেই। ভিতরে চারটে স্যাশে। প্যাকেটের গায়ে এক জায়গায় খুব ছোট্ট করে ইংরেজিতে লেখা আছে ‘ফিমেল কন্ডোম’।
মানে কী! মেহুলি কন্ডোম ব্যবহার করে! এর পরেরটুকু ভাবতে ইচ্ছে করছে না এই মুহূর্তে। এই জিনিস নিশ্চয়ই শখ করে কেউ কেনে না। ভিতরটা আরও এক বার দেখে বুঝল এর থেকে অন্তত খান চারেক বার করে নেওয়া হয়েছে। এত দূর! ভাবতেই ঘেন্না মেশানো তীব্র রাগ গলার নীচ থেকে ক্রুদ্ধ সিংহের মতো দৌড়ে এসে তার চোখে জ্বালা ধরিয়ে দিচ্ছে। সামান্য পরেই অনুভব করল, সপাটে থাপ্পড় মারার ইচ্ছেটা আসলে মেহুলির নয়, আকিঞ্চনের গালের জন্য বরাদ্দ। আকিঞ্চনই দায়ী এই অধঃপতনের জন্য।
এখন প্রশ্ন, কার সঙ্গে? অথবা কাদের সঙ্গে? রাগটা এ বার চোখকে রেহাই দিয়ে ঘাড় বেয়ে মাথার পিছনে মোতায়েন হচ্ছে। কস্তুরী প্যাকেটটা হাতে নিয়ে সশব্দে আলমারির পাল্লা বন্ধ করল। তার পর দ্রুত যে ক’টা কাজ সেরে ফেলল, তার মধ্যে প্রথমটা হল প্যাকেটটা নিজেদের বিছানার নীচে চালান দেওয়া, আর একটা শাওয়ারের নীচে মিনিট কুড়ি দাঁড়িয়ে থাকা, একেবারে শাড়ি, ব্লাউজ়,শায়া সমেত।
কোথাও যেন পড়েছিল, পেট ভর্তি থাকলে রাগ আসে না। গোগ্রাসে লাঞ্চ শেষ করল কস্তুরী। কিন্তু এ বার? মেয়েকে চার্জ করে লাভ নেই। আকিঞ্চনকে জানানো দরকার। সে দ্রুত মোবাইল স্ক্রিনে আঙুল চালাল। এক বার, দু’ বার, তিন বারের বার ফোনের ও দিকে রিং বেজে যাওয়ায় বিরক্ত হয়ে ফোনটা বিছানার এক পাশে ছুড়ে দিল কস্তুরী। আকিঞ্চন হয়তো ব্যস্ত, হ্যান্ডসেটটা হয়তো সাইলেন্ট। কী জানি, কিন্তু এই মুহূর্তে আকিঞ্চনকে না ঝাড়লে তার মন শান্ত হবে না। কস্তুরী অস্থির ভাবে জানলার বাইরে তাকাল। মেহুলি কী থেকে কী হয়ে গেল! এই মেয়েটা তারই গর্ভজাত? ছি ছি!
আকিঞ্চন টের পাচ্ছিল ফোনটা বাজছে, কিন্তু ধরার উপায় ছিল না। যে ভাবেই শুরু হোক, সবটা শেষ করতে মিনিট দশেকের বেশি লাগে না আকিঞ্চনের। বিয়ের প্রথম বছরগুলোয় মিনিট কুড়ি লেগে যেত। এখন টের পাওয়া যায় বয়স বেড়েছে যথেষ্ট। কস্তুরীর সঙ্গে অনেক দিন শোয় না সে। সে ভাবে কোনও সুস্পষ্ট কারণ নেই, জাস্ট ইচ্ছে হয় না। কস্তুরীও তেমন আগ্রহ দেখায় না।
সামান্য দূরে ড্রেসিং টেবিলের উপর কম্পমান হ্যান্ডসেটটাকে আড়চোখে দেখতে দেখতে আকিঞ্চনের মুখ কুঁচকে গেল। রাধিয়ার বড়সড় শরীরটা থেকে নিজেকে মুক্ত করেই ফোনটা তুলে নিল সে। রজ্জব খানের ফোন আসার কথা। এই কেসটা ভারী ইন্টারেস্টিং। আজকাল রজ্জবের থেকে টাকাও হাতাচ্ছে সে দেদার। টাকা ঢালতে রজ্জবের কোনও আপত্তি নেই, তবে কন্ডিশন একটাই, কেস জেতা চাই। নইলে...
আকিঞ্চন হ্যান্ডসেটটা তুলে হতবাক হয়ে গেল। কস্তুরী! কস্তুরী তো কোনও দিন ফোন করে না, স্পেশ্যালি লাস্ট পাঁচ বছরে। আকিঞ্চন পর্দা-ঢাকা জানলার দিকে তাকায়। দোতলায় পশ্চিমের এই ঘরটা থেকে সামনের চওড়া গলিপথটা পরিষ্কার দেখা যায়। রাস্তার উল্টো পিঠেই খ্যাতমান লাল-আলো এলাকা, আদিম ব্যবসার রমরমে ক্ষেত্রভূমি।
পিছন থেকে রাধিয়ার ক্লান্ত গলার আওয়াজ আসে, “কার ফোন গো?”
আকিঞ্চন চমকায়। রাধিয়ার প্রশ্নের কোনও জবাব না দিয়ে রিং-ব্যাক করে, “হ্যালো।”
“তুমি কোথায়?”
সামান্য হলেও চমকাল আকিঞ্চন। কস্তুরীর গলা হিমশীতল, রুক্ষ। সে বলল, “ইয়ে, কাজে আছি।”
“আমি জানতে চাইছি, তুমি এগজ়্যাক্টলি কোথায় এখন?”
“হোয়াট হ্যাপেন্ড? বাবা-মা ঠিক আছে তো? মেহুলির কিছু...”
“সব ঠিক আছে। বাবা-মা সুদ্ধু বাগানের বোগেনভেলিয়া, সব ঠিক আছে। তুমি এখনই বাড়ি চলে এসো।”
“আমার ফিরতে দেরি হবে। তুমি ওয়েট কোরো না। খেয়ে নাও।”
“ওয়েট? আর করি না। তোমার সঙ্গে একটা জরুরি ব্যাপারে ডিসকাস করতে হবে।”
“কী ব্যাপারে?”
চার সেকেন্ড নীরবতার পরে কস্তুরীর গলা ভেসে এল, “ফিমেল কন্ডোমের ব্যাপারে।”
“কী!”
“আর বলছি না, বাকিটা এসে শুনবে।”
ফোনটা কেটে গেছে মিনিটখানেক। থম হয়ে দাঁড়িয়ে আছে আকিঞ্চন। কস্তুরী কী বলতে চাইল?
আকিঞ্চন দ্রুত হাতে অন্তর্বাস-সহ জামাপ্যান্ট পরে নিল। যদিও বেশ ক্লান্ত লাগছে। এই চড়া রোদ্দুরে বেরোতেও ইচ্ছে করছে না। কিন্তু কস্তুরীর বলার ধরনটা ভাল ঠেকল না। নিশ্চয় সিরিয়াস কিছু হয়েছে। আর ফিমেল কন্ডোম! শব্দটা কস্তুরীর সঙ্গে একেবারেই যায় না। মজা করছে না তো? নাঃ। সে সম্ভাবনা এখন আর নেই। ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আগে রাধিয়ার দিকে চোখ গেল। ঘুমোচ্ছে। সে ধাক্কা মেরে জাগাল। রাধিয়া তার বড় বড় চোখদুটো মেলে ধরতেই বোঝা গেল স্বপ্ন দেখছিল। সে জানতে চাইল, “কী?”
“আমি বেরোচ্ছি।”
“তার মানে? তুমি যে বললে থাকবে আজ?”
“একটা দরকারি কাজ এসেছে। বেরোতে হবে।”
“ঢং রাখো। নিশ্চয়ই বৌ ডেকেছে।”
“আরে না, আমার এক জন ইমপর্ট্যান্ট ক্লায়েন্ট এসেছে বাড়িতে।”
“ডিসকাশন শুনে মনে হচ্ছিল না।”
এক ঘণ্টায় আর কত চমকাবে আকিঞ্চন! তার মানে রাধিয়া এত ক্ষণ মটকা মেরে পড়েছিল। রাধিয়া বিছানার চাদরটা আলতো করে নিজের শরীরের উপর ফেলে বলল, “তোমার জন্য তোমারই কথা মতো বোয়ালের ঝাল রাঁধলাম সক্কাল সক্কাল উঠে। ফ্রিজে বোতল আনিয়েছি কালকেই। তোমার ব্র্যান্ড। এ সব কী হবে এখন?”
আকিঞ্চন কোনও জবাব না দিয়ে বেরিয়ে গেল দরজা বন্ধের দড়াম শব্দটাকে কানে নিয়ে।
আজকাল সংসার থেকে অনেকটাই নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছে কস্তুরী। খুব দরকার না হলে আকিঞ্চন কিংবা মেহুলির ব্যাপারে মাথা গলায় না। নিচে থাকা দুটো বুড়োবুড়ি এখন নিশ্চয়ই নিদ্রামগ্ন। বিশেষ করে শ্বশুরমশাই তো ঘড়ি ধরে দেড়টার মধ্যে লাঞ্চ সেরে নেন। তার মিনিট পনেরো পর শুতে চলে যান। শাশুড়িমা কোনও দিন ঘুমোন, কোনও দিন বই পড়েন। বিখ্যাত সাহিত্যিকের বই নয়, বাজারচলতি সিনেমা-পত্রিকাগুলো উল্টেপাল্টে দেখেন। শাশুড়িমা না থাকলে কস্তুরী তার থেকে দু’-একটা পত্রিকা দোতলায় নিয়ে চলে আসে। সিনেমার নায়ক-নায়িকাদের নিয়ে কস্তুরীর আগ্রহ নেই, তবে বাংলা সিরিয়াল নিয়ে আছে। বিশেষ করে ‘রাঙামাটির মেয়ে’র এপিসোডগুলো সে মন দিয়ে দেখে। তার অন্যতম কারণ রিখি। ওটা অবশ্য চরিত্রের নাম, এটা জানে কস্তুরী। আসল নামটা সে দিন অবধি জানত না সে। জেনেছে অবশ্য একটা সিনেমা সম্পর্কিত পাক্ষিকের দৌলতে। ভারী মিষ্টি দেখতে মেয়েটা। চোখ দুটো মায়াবী। দেখলে মনে হয় কত কী বলার আছে। ওর আসল নাম নাকি মিশুক। মিশুক মুখার্জি। কী আনকমন নাম! অনেক বার নিজের মনে নামটা নিয়ে নাড়াচাড়া করেছিল কস্তুরী। সিরিয়ালে দেখে তো বেশ লম্বা মনে হয়, কিন্তু পত্রিকার পাতায় কৌস্তুভের পাশে অত লম্বা লাগছিল না। কৌস্তুভ ওই সিরিয়ালে রিখির ভাইয়ের ভূমিকায়। শুনে কোলিগ অদ্রিজা হেসে গড়িয়ে পড়েছিল, “আরে ওরা হাই হিল পরে, তাই লম্বা লাগে। আর গায়ের রং? আরে ওই যে ‘স্বপ্ন শিশির’-এর দীপশিখা চরিত্রটা, নামটা পেটে আসছে, মুখে আসছে না, ও তো অ্যাকচুয়ালি কেলেকুষ্টি। অ্যাকাডেমির সামনে দেখলাম। অথচ মুভিতে দেখিস কী ফর্সা। সবটাই মেকআপের খেল।”
বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হয় না। অদ্রিজা বড্ড বাজে বকে। সে যা-ই হোক, ফর্সা অথবা কালো, মিশুক মেয়েটিকে বেশ লাগে তার। বিশেষ করে ওর অভিনয়। মুখ দেখে বার বার আন্দাজ করবার চেষ্টা করেছে সে, বয়স কত হবে? মনে হচ্ছে কুড়ির বেশি নয়। কখনও মনের কোণে এই ইচ্ছেটাও উঁকি মারে, ইস তার মেহুলিটা যদি এমন হত। অথবা মিশুক যদি তারই মেয়ে হত। প্রতি বারই একটা ছোট্ট নিঃশ্বাস ফেলে সে সিরিয়াল বন্ধ করে। দু’চোখে সামান্য সামান্য ঘুম-ঘুম লেগে আসছে। সে মিশুকের মুখটা মনে করতে করতে চোখ বোজে।
ময়ঙ্কের বাইকে চড়ে বসতেই সে একেবারে যেন মিনিটে আশি তুলল। এমনিতে খারাপ লাগছে না মেহুলির। হেলমেট খুলে হাতে রেখেছে সে। ফলে কানের পাশ দিয়ে তীব্র বেগে চলে যাওয়া হাওয়া তার অবাধ্য চুলগুলোর মতো মনটাকেও ধীরে ধীরে ফুরফুরে করে তুলছে। মেহুলির খুব ইচ্ছে করছিল, এ ভাবেই যদি ঘণ্টার পর ঘণ্টা, দিনের পর দিন, মাসের পর মাস উড়ে যাওয়া যেত! এই শহর, এই রাজ্য, এই দেশ পার করে খালি চলে যাওয়া আর যাওয়া। থামার মতো বিরক্তিকর কিছু যদি না আসত। মেহুলি আনমনেই হেসে ফেলল।
ময়ঙ্ককে এ কথা বললে এখনই খ্যাক খ্যাক করে হেসে ফেলবে। বলবে, “ঘাওড়া টিনা বাওড়া ভূত।”
কী যে এর মানে কে জানে, তবে ময়ঙ্কের মুখে শুনেছে অনেক বার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy