ছবি প্রসেনজিৎ নাথ।
পূর্বানুবৃত্তি: বার থেকে বাড়ি ফিরে মল্লার জানতে পারে, তার ভাইয়ের একটি কন্যাসন্তান জন্মেছে। মল্লারের ভাল লাগলেও বাকিদের বাঁধভাঙা আনন্দে সে শামিল হতে পারল না। চিরশ্রীর কথা মনে করেই তার মনটা অসাড় হয়ে থাকে। সুমির দেওয়া টিপস কাজে লাগিয়ে শেয়ার বাজারে টুকটাক লাভ করে অভ্র। সে ফোন করে সুমির সঙ্গে দেখা করতে চায়। সুমি সন্ধেয় স্থানীয় সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দিরে যায়, সেখানেই অভ্রকে যেতে বলে। সুমি তার সঙ্গে দেখা করার কারণ জানতে চাইলে অভ্র বলে বন্ধুহীন জীবন ভাল লাগে না, তাই কারও সঙ্গে কথা বলতে মন চেয়েছিল। কথায় কথায় ওঠে মল্লারের কথা, রুমকির কথা। সুমি জানায়, একটি ছেলের সঙ্গে তার সম্বন্ধ দেখা চলছে। তাদের মধ্যে মেসেজে মাঝেমধ্যে কথা হয়। অভ্রর মনে হয় পাশে থাকার আরও এক জন আবার হারিয়ে যাবে। নিজেকে আরও নিঃসঙ্গ মনে হয়। সে সুমিকে তার মেসে পৌঁছে দিয়ে আসে।
বিকেলের পর থেকে সন্ধ্যা নামার আগে পর্যন্ত সময়টা মনকে বিষণ্ণ করে তোলে। অবাধ্য এক মনখারাপ ধীরে ধীরে পাকে পাকে জড়িয়ে ধরে তার শরীর। মল্লার এই সময়টায় বাইরে বেরোয় না। বড় ক্লান্ত লাগে তার। সে সিন্থেসাইজ়ারে সুর তোলে, সুরের মধ্যে ডুবে থেকে বিষণ্ণতা ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করে। একটি নতুন গান আজ বাজাচ্ছে। আগে কয়েক বার শুনলেও গানটা তোলার তেমন ইচ্ছে হয়নি। আজকাল এ রকম গান কেউ শিখতে চায় না। মল্লার বাজাচ্ছে, ভুল হচ্ছে, আবার শুরু থেকে ঠিক করে তোলার চেষ্টা করছে। এই প্রথম কোনও গানের সঙ্গে সে একাত্ম হয়ে যাচ্ছে, প্রতিটি কথার মধ্যে নিজেকেই খুঁজে পাচ্ছে সে—“শুরুতেই হোক শেষ/ এই আছি বেশ শুরুতেই হোক শেষ/ ব্যথাতে আছে সুখ যদিও তো ভাঙে বুক॥ এই আছি বেশ শুরুতেই হোক শেষ...”
ফোনটা রিংটোন নিয়ে মুখরিত হচ্ছে। চিরশ্রী! এত দিন পরে চিরশ্রী তাকে মনে করল! গত তেরো দিন ধরে অপেক্ষায় ক্লান্ত হতে হতে মল্লার বুঝে নিয়েছে তার ভবিতব্য। তার এবং চিরশ্রীর সম্পর্কটার মৃত্যু হয়ে গিয়েছে। নিজেদের প্রয়োজনেই এই সম্পর্কটা তৈরি হয়েছিল, ভাঙতেও হয়নি, স্বাভাবিক নিয়মেই শেষ হয়ে গিয়েছে। প্রথমটায় মল্লার রাগে-ক্ষোভে ফেটে পড়েছিল, ভেবেছিল কিছুরই পরোয়া না করে ফোনে চিরশ্রীকে কড়া কথা শুনিয়ে দেবে, গালমন্দ করবে। পরে রাগ বদলে গিয়েছিল অভিমানে, এ রকম পরিণতি জেনেও চিরশ্রী এগিয়ে এসেছিল কেন, আর সেও উজবুকের মতো সাড়া দিয়ে, নিজেকে কারও হৃদয়ের সম্রাট ভেবে গর্বে কাণ্ডজ্ঞান হারিয়েছিল কেন?
“হ্যালো।”
“আমরা কাল চলে যাচ্ছি।”
মল্লার গলায় নিরাসক্ত ভাব ফুটিতে তুলতে চাইল, “কোথায়?”
চিরশ্রী বলে, “চুঁচুড়ায়। ওর প্রমোশন হয়েছে। এরিয়া ম্যানেজার।”
“এগুলো জেনে কী করব? তুমি বা তোমরা কোথায় যাচ্ছ, কেন যাচ্ছ, তা জানার ইচ্ছে নেই আমার। সত্যটা অনেক আগেই জেনে গিয়েছি।”
“কী জেনেছ?”
“এই সম্পর্ক থেকে তুমি নিজেকে সরিয়ে নিয়েছ। নীরবে এবং নিঃশব্দে। আগে থেকে ঘুণাক্ষরেও টের পেতে দাওনি। একটি বার, অন্তত রিলেশনের খাতিরে, মুখে বলা যেত না?”
চিরশ্রী কাঁপা গলায় বলল, “বিশ্বাস করো, বলতে চেয়েছিলাম, জানাতে চেয়েছিলাম। মনে জোর পাইনি, সাহসের অভাবে পিছিয়ে গিয়েছি।”
“এগিয়েই এসেছিলে কেন? বলেছিলাম আমি?” মল্লার উঁচুগলায় বলল।
“আমারই ভুল,” চিরশ্রীর আর্দ্র কণ্ঠস্বরে আর্তি ফুটে উঠল, “নিজের স্বার্থে তোমাকে ব্যবহার করিনি। নিঃশর্ত ভাবেই তোমাকে চেয়েছিলাম। মনেই ছিল না যে, বাস্তবে আমি কারও স্ত্রী। সমস্ত সম্পর্ক কি নিষেধের বেড়াজাল মেনে তৈরি হয়?”
মল্লার বলল, “বিচ্ছেদ অনিবার্যই ছিল। তখন আমি কাণ্ডজ্ঞান হারিয়েছিলাম। অভ্রর নিষেধ শুনিনি। তুমি নতুন জায়গায় নতুন ছন্দে ঘরকন্না শুরু করবে। আমি কী নিয়ে থাকব বলো?”
চিরশ্রী ফোঁপাচ্ছিল শুধু।
“কান্নাকাটি করে লাভ নেই। ওতে মন ভিজবে না। মেসেঞ্জারে, হোয়াটসঅ্যাপে প্রচুর চ্যাট জমা আছে। সব স্ক্রিনশট পাঠাব প্রমিতদার কাছে।’’
“ব্ল্যাকমেল করবে তুমি?” চিরশ্রী বলল, “ও তুমি পারবে না। মানুষ চিনতে আমার ভুল হয় না। ভুল মানুষকে ভালবাসার ভুল আমি করিনি।”
মল্লার একটু থমকে গেল। কিছু ক্ষণ চুপ
করে থাকার পরে বলল, “এত তাড়াতাড়ি চলে যাবে দুঃস্বপ্নেও ভাবিনি।”
“বিশ্বাস করো, আমি জ্বলেপুড়ে খাক হয়ে যাচ্ছিলাম। একটা সিদ্ধান্তে আমাকে পৌঁছতেই হত। এই ভাবে দ্বিচারিণী হতে আমি চাইনি, কাউকে সজ্ঞানে দুঃখ দিতেও চাইনি। চুঁচুড়া চলে গেলে দৃষ্টির বাইরে থাকলে এক সময় তুমি ফিকে হতেই। নিজের কাছে ঠিক থাকতে চেয়েছি। অকারণে এই সম্পর্কটা টেনে নিয়ে গেলে দু’জনেরই দুঃখ বেশি হত।”
মল্লার বিদ্রুপ করে, “দুঃখ? দুঃখ তোমার হয়?”
চিরশ্রী ধরা গলায় বলল, “আমি রক্তমাংসের নারী, পাষাণপ্রতিমা নই! খুব আনন্দে আছি। এত আনন্দ যে ব্যাখ্যা করতে পারছি না।”
মল্লারের ভিতরে যেন অনেক পাড় ভাঙছিল। সে বলল, “একটা কথা জিজ্ঞেস করব?”
“বলো।”
“প্রমিতদা কিছু কি টের পেয়েছে?”
“জানি না। তবে ও না জানলেও, না টের পেলেও আমি সরিয়ে নিতাম নিজেকে।”
“আচ্ছা!” মল্লার ঘন শ্বাস নিল।
“আমাদের রিলেশনটা আসলে একটা স্বপ্ন। স্বপ্ন হয়েই স্মৃতিতে থেকে যাবে,” চিরশ্রী বলে, “ও ভাবেই মনে রেখো। আর, আর, মেসেঞ্জারে কথা বোলো। ইচ্ছে হলে বোলো। ভাল থেকো।”
মল্লার বলতে চাইল, ‘তুমিও ভাল থেকো চিরশ্রী।’ বলতে পারল না। তার গলা বুজে এল, বুকের কাছে দলা পাকিয়ে আটকে গেল কান্না। চিরশ্রী যেন আবার তার গোপন তন্ত্রীতে সুর তুলেছে, সেই সুরে বিষাদের মূর্ছনা থাকলেও আড়ালে দাঁড়িয়ে রয়েছে সুখ।
চোখ খুলে তাকাল মল্লার। এত ক্ষণ সে স্বপ্ন দেখছিল! মল্লার চোখেমুখে জলের ঝাপটা দিয়ে চেয়ারে আচ্ছন্ন অবস্থায় বসে রইল। হ্যাঁ, সমস্ত কিছুই আসলে স্বপ্ন। স্বপ্ন এখনও মধুর বিস্ময় নিয়ে তার কাছে হাজির হয়!
গালে হাত রেখে চুপ করে বাইরে তাকিয়ে থাকল। সন্ধ্যা নামছে, পাড়ায় ল্যাম্পপোস্টের আলোগুলি জ্বলে উঠছে, যেন মায়াপ্রদীপের আলো তাকে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে কোথাও। কিন্তু তার ভেসে যাওয়ার পর্ব শেষ, এ বার তাকে শক্ত ডাঙায় উঠে লড়াই করতে হবে। কত কিছুই যে সে ভেবেছিল! অভিমানের পরে এসেছিল সর্বস্ব হারানোর দুঃখ এবং ভয়। মল্লার ভেবেছিল, সে বুঝি পাগল হয়ে যাবে। শরীরের কোষে কোষে নীল বিষ জমে উঠছে, সে স্বাভাবিক থাকবে না। উড়ালপুল থেকে ঝাঁপ দিয়ে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার কথাও ভেবেছিল। শেষ পর্যন্ত কিছুই তেমন ঘটেনি। নিজেকে নিরাসক্ত করার এ-ও এক রকম যুদ্ধ। যুদ্ধে জিতেছে মল্লার। প্রেম জীবনের চেয়ে অনেক বড়, তা ছাড়া হতশ্রী বেকারের কাছে আর্থিক ভাবে স্বনির্ভর হওয়ার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কিছুই হতে পারে না।
কিছুটা থিতু হওয়ার পরে সে প্রতিজ্ঞা করেছিল। চিরশ্রীকে অপমান করা মানে তার ভালবাসাকে অপমান করা, নিজেকেও অপমান করা। ক’টা সম্পর্ক শাশ্বত হতে পারে? দু’দিনের ভালবাসার মধ্যে মাধুর্য ছিল, সৌন্দর্য ছিল প্রতিটি পলে, তাকে নষ্ট করে দিতে মন চায়নি। প্রেমে ব্যর্থ হয়ে অ্যাসিড ছোড়ে বা ছুরি চালায় যে যুবক, তার সঙ্গে একই ব্র্যাকেটে কি সে থাকতে পারে?
শুধু প্রথম দিনই সে টালমাটাল হয়েছিল, চুরমার হয়ে গিয়েছিল, বোধহয় মানসিক প্রস্তুতিও শুরু হয়েছিল তখন থেকেই। চিরশ্রী আসলে অন্যেরই ছিল, অন্যেরই থাকবে।
চিরশ্রী তারও ছিল, ক’দিনের জন্য হলেও তার সৌরভ বুকের মধ্যে ধরে রাখবে সে। রাখবেই।
সুপ্রীতি বললেন, “কী রে মল্লার! কত দিন তুই আসিস না। এমনকি বিজয়ার পরেও এলি না!”
মল্লার লজ্জা পেল, “আসা হয়নি।”
“শরীর ঠিক আছে তোর?”
“দিব্যি আছি। এটা রাখো,” মল্লার রসগোল্লার হাঁড়িটা বাড়িয়ে দিল।
“করেছিস কী! নিশ্চয়ই কোনও ভাল খবর আছে?” বলেন সুপ্রীতি।
“আছে। দীপের মেয়ে হয়েছে। হয়ে গেল প্রায় পনেরো দিন।”
সুপ্রীতি হাসলেন, “বাহ, খুব ভাল খবর। সেই আনন্দে মিষ্টি এনেছিস!”
মল্লার হাসল, “অন্যের আনন্দেই সুখ পেতে হবে কাকিমা। এ ছাড়া ভাল থাকার উপায় নেই।”
“ছেলে যে বড্ড ভারী ভারী কথা বলছে!”
“বয়স বাড়ছে। চুলও দু’-একটা পাকতে শুরু করেছে। খানিক ভারী কথা না বললে চলবে?
বাবু কোথায়?”
“উপরের ঘরেই আছে। চার দিন জ্বরে কাবু ছিল। আজ থেকে সুস্থ আছে।”
“দেখে আসি,” মল্লার সিঁড়ির দিকে পা বাড়াল, “তোমার বাবু বড় অভিমানী। জ্বর হয়েছে, তা-ও বলেনি আমাকে।”
সুপ্রীতি হেসে বললেন, “আমি এবং তুই ছাড়া ওর অভিমান দেখানোর লোকই বা কোথায়? অবশ্য হালে এক জনের সঙ্গে ভাব হয়েছে। তার কাছে কী সব শেয়ার-টেয়ারের ট্রেনিং নেয়।”
“তাই? বন্ধুটি কে?”
“আমার বাপের বাড়ির গ্রামের মেয়ে। ওই সূত্রে আমাকে পিসি বলে ডাকে।”
“ও!” মল্লার সিঁড়ির ধাপ পেরোয়।
অভ্র বিছানায় চিত হয়ে শুয়ে ছিল। মল্লারকে দেখে সে উঠে বসল, “কত দিন পরে এলি!”
“তুইও তো একটি বারের জন্য আমাকে মনে করিসনি!” অনুযোগ মল্লারের।
“তুই তোর নিজের জগতে থাকতে চেয়েছিলি। তাই ডিসটার্ব করিনি,” আত্মসমর্থন অভ্রর।
মল্লার দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল, “তুই ও ভাবে ভেবে নিয়েছিলি। বয়স অনেক হল, আর এ ভাবে নিজেদের মধ্যে মান-অভিমান করে লাভ আছে?”
“তা নেই। আমরা দু’জনেই হাফবুড়ো বেকারের দলে পড়ে যাচ্ছি,” অভ্র একটা সিগারেট ধরিয়ে ম্লান হাসল, “আমার মাঝেমধ্যে খুব ভয় হয়। নির্মলের চায়ের দোকানে এক আধপাগল লোক রোজ বকবক করে। বিচিত্র হাস্যকর কথা বলে। দোকানে আসা লোকগুলোর সকালের বিনোদন ওই লোকটি। আমরা নাম দিয়েছি টেকনো। আজ যেমন বলছিল যে, একটা বাস ওর চোখের ভিতর ঢুকে অদৃশ্য হয়ে গেল। তার পর নাকি অদৃশ্য কেউ ওর শার্টে ব্লেড চালিয়ে দিল।”
“ব্যাপক ইন্টারেস্টিং! ওকে এক বার দর্শন করতেই হয়।”
“কোনও হিল্লে না হলে ওই বয়সে হয়তো টেকনোর মতোই হাফপাগল হয়ে লোকের খোরাক হয়ে যাব।”
মল্লার মৃদু ধমক দিল, “থাম তো! এত নেগেটিভ কথাবার্তা বলিস কেন? দুটো খবর আছে। আগে সুসংবাদটাই বলি। দীপের মেয়ে হয়েছে পনেরো
দিন আগে।”
“সত্যিই সুসংবাদ।”
“পরের খবর হল যে, চিরশ্রীর সঙ্গে চিরবিচ্ছেদ হয়ে গেল।”
অভ্র অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকল। মল্লারের মুখে আলতো হাসির ঢেউ খেলা করছে। কত সহজে অনায়াস ভঙ্গিতে এত বড় খবরটা মল্লার জানাচ্ছে তাকে! সে ভেবেছিল মল্লার হতাশায় ভেঙে পড়বে, করুণা ও সহানুভূতি নিয়ে সে মল্লারের পাশে গিয়ে দাঁড়াবে। তবে কি শুধু প্রেম-প্রেম খেলা ছিল আসলে, বন্ধন ছিল না গভীরে?
“অবাক হয়ে তাকিয়ে আছিস কেন?”
“তোর কষ্ট হচ্ছে না?”
মল্লার ধীরগলায় বলল, “প্রথমে খুব কষ্ট হয়েছিল। পেয়ে হারানোর যন্ত্রণা সহ্য করা খুব কঠিন। হয়তো কোনও দুঃখই এই বয়সে দীর্ঘস্থায়ী হয় না। মন সইয়ে নিয়েছে। বুকে চিনচিনে ব্যথা যদিও রয়ে গিয়েছে। আচ্ছা, আমাদের তো মাত্র কয়েক মাসের রিলেশন, তোদের ছিল দীর্ঘ চার বছরের। তোর চোখের সামনে রুমকি অন্যের হয়ে গেল। তুই কী অবস্থার মধ্যে দিয়ে গিয়েছিলি, তা এত দিনে মর্মে মর্মে বুঝছি। আমার কনটেক্সট অন্য, চিরশ্রী তো প্রথম থেকেই অন্যের ছিল।”
“তুই দুঃখে শোকে দেবদাস হয়ে যাসনি দেখে ভাল লাগছে।”
মল্লার বলল, “আমাদের ও সব বিলাস মানায় না। তুই ঠিকই বলেছিলি। প্রমিতদা চুঁচুড়ায় এরিয়া ম্যানেজার হয়ে বদলি হয়ে যাচ্ছে। খবরটা এক
দিন প্রমিতদাই নিজে জানিয়েছিল। গতকাল
রাতেও ফোন করেছিল। আগামী কাল ওরা চুঁচুড়া চলে যাবে।”
ক্রমশ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy