ভারতীয় সঙ্গীততত্ত্বের বিশিষ্ট গবেষক, কবি ও দার্শনিক মুকুন্দের সঙ্গে জসরাজজি।
পাঞ্চালরাজ কেশী দার্ভ্য আর কুরুরাজ কৌপ্যেয় উচ্চৈঃশ্রবা ছিলেন অভিন্নহৃদয় বন্ধু। কুরুরাজের অকালমৃত্যুতে ব্যথিত কেশী এক দিন অবাক হয়ে দেখলেন তাঁর বন্ধু পরিণত হয়েছেন এক অশরীরী আত্মায়। উচ্চৈঃশ্রবা তাঁকে জানালেন, দেহবিশিষ্ট জীবকে বিদেহী শাশ্বত আত্মায় পরিণত করার শক্তি রয়েছে ‘অশরীর সাম’-এ, অর্থাৎ সামবেদের সেই সমস্ত গানে, যেগুলির কথা হিসেবে কোনও ঋক্ বা মন্ত্র নেই। দেবতারাও এ ভাবেই প্রাপ্ত হয়েছেন দেবশরীর। কিন্তু, অশরীর সামের সফল প্রয়োগ করতে পারেন এমন গায়ক দুর্লভ। অবশেষে, এমনই এক বিরল গায়ক শ্মশানবাসী প্রাতৃদ ভাল্ল তাঁর অশরীর সামগানে কেশীকেও প্রদান করলেন বিদেহী দেবশরীর। ‘জৈমিনীয় উপনিষদ ব্রাহ্মণ’-এ বর্ণিত এই কাহিনী ঋক্-মন্ত্রের পাশাপাশি সামগানকেও আধ্যাত্মিক উন্নতির বৈধ উপায় হিসেবে তুলে ধরে, উপস্থাপিত করে শব্দনিরপেক্ষ ভাবে সুরের নিজস্ব শক্তি। সুরের অতিলৌকিক ক্ষমতা সম্পর্কে এটিই হয়তো ভারতের প্রাচীনতম কিংবদন্তি, যেমন কিংবদন্তি পরবর্তী কালে তৈরি হয়েছে তানসেনের দীপক রাগ গেয়ে আগুন জ্বালানো নিয়ে। নন্দনতত্ত্বের এই দিকগুলি নিয়েই আলোচনা করেছেন অধ্যাপক মুকুন্দ লাঠ।
ভারতীয় সঙ্গীততত্ত্বের বিশিষ্ট গবেষক, কবি ও দার্শনিক মুকুন্দ মনে করতেন, প্রাচীন সাহিত্য বা শিল্পকলার মতো প্রাচীন সঙ্গীতের প্রত্যক্ষ রসগ্রহণ সম্ভব নয়। দরবারি কানাড়ার স্রষ্টা তানসেন নিজে কী ভাবে এই রাগ পরিবেশন করতেন, তা জানা সম্ভব না হলেও সঙ্গীতের বা রাগরাগিণীর ইতিহাস রচনা সম্ভব।
মুকুন্দ ভাবতেন, একটি রাগের ইতিহাস হল, সেই রাগ সম্পর্কে চিন্তার বিবর্তনের ইতিহাস। তাই সঙ্গীতভাবনার ইতিহাসের উৎস সঙ্গীততত্ত্বের আলোচনা, সঙ্গীত-বিষয়ক কথাপরম্পরা। ভরতের নাট্যশাস্ত্রের প্রায় সমসাময়িক সঙ্গীতশাস্ত্র ‘দত্তিলম’ তাঁর পিএইচ ডি-র বিষয়। সেই গবেষণার ফসল ‘আ স্টাডি অব দত্তিলম’-এ তিনি দেখান বর্তমান দত্তিলম কোনও বৃহদাকার অধুনালুপ্ত গ্রন্থের অংশবিশেষ নয়, একটি বিশেষ ধরনের সঙ্গীতের একটি পূর্ণাঙ্গ শাস্ত্র। নাট্যশাস্ত্রে সঙ্গীত একটি ধর্মনিরপেক্ষ শিল্পমাধ্যম। কিন্তু দত্তিলম ‘গান্ধর্ব’ নামক ধর্মীয় সঙ্গীতেরই আলোচনা।
মুকুন্দ লাঠের গবেষণায় বার বার উঠে এসেছে ভারতের সঙ্গীত-সংস্কৃতির ইতিহাসে ধর্ম ও সঙ্গীতের সম্পর্কের জটিলতা। দলগত সঙ্গীতের মতোই বিশ্বব্যবস্থার শৃঙ্খলা বা ‘ঋত’ নির্ভরশীল প্রত্যেকের ভূমিকা যথাযথ পালনের উপর। যজ্ঞানুষ্ঠানেও তাই প্রত্যেক অংশই গুরুত্বপূর্ণ। ঋগ্বেদের মন্ত্র বা যজুর্বেদীয় আচারের মতোই গুরুত্বপূর্ণ সামগান। কিন্তু, ভারতীয় ধর্মচিন্তার অন্য প্রান্তে রয়েছে সন্ন্যাসপন্থী নিবৃত্তিমার্গ। সঙ্গীত বা কোনও ইন্দ্রিয়সুখ যেখানে মুক্তির পথে অন্তরায়। এই দুই বিপরীত মনোভাবের প্রেক্ষিতেই আবির্ভাব নতুন ধারার ধর্মীয় সঙ্গীত গান্ধর্বের। যেমন পৌরাণিক ধর্ম বৈদিক ধর্মের সঙ্গে নামমাত্র সংযোগ রেখে আত্তীকৃত করেছে লৌকিক ধর্মের বিভিন্ন উপাদান, মুকুন্দের মতে সামগান ও গান্ধর্বসঙ্গীতের সম্পর্কও তেমনই। সামগান পরিবেশিত হত দলগত ভাবে, গান্ধর্ব মূলত একক পরিবেশনের উপযোগী। সামগান সুরপ্রধান, শুধুমাত্র বীণার সহযোগে গীত কণ্ঠসঙ্গীত। গান্ধর্বসঙ্গীত নিয়ে আসে তালের ধারণা ও তালবাদ্য।
গবেষণার মুখ্য ক্ষেত্র সঙ্গীত হলেও মুকুন্দের আগ্রহ ছিল বিভিন্ন শিল্পে। বন্ধু অশোক বাজপেয়ী জানিয়েছেন, মুকুন্দ বিশ্বাস করতেন সঙ্গীত বুঝতে সাহিত্যবোধ প্রয়োজন, সাহিত্য বুঝতে চিত্রকলার জ্ঞানও জরুরি। নান্দনিকতার প্রতিটি ক্ষেত্রে তাঁর অবাধ বিচরণের পিছনে হয়তো ছিল বিংশ শতকের কলকাতার সাংস্কৃতিক প্রভাব। মুকুন্দ লাঠ চব্বিশ বছর (১৯৭৩-১৯৯৭) রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও ভারতীয় সংস্কৃতি বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন। পড়িয়েছেন অক্সফোর্ড, ল্যুভেন, বামবার্গ, জেরুসালেমেও। তবু কলকাতার সঙ্গে ছিল তাঁর চিরকালীন অবিচ্ছেদ্য যোগ।
১৯৩৭ সালে এই শহরেরই একটি বিশিষ্ট মারওয়াড়ি পরিবারে জন্মেছিলেন মুকুন্দ। শিক্ষানুরাগ ও শিল্পসংগ্রহের নেশা ছিল পারিবারিক উত্তরাধিকার। মা জ্ঞানবতী লাঠ ১৯৪৫ সালে কলকাতার প্রথম মন্টেসরি স্কুল খোলেন। প্রিটোরিয়া স্ট্রিটের সেই অভিনব ভারতী স্কুলে, জ্ঞানবতীর আগ্রহেই, ১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় কলকাতার অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাংস্কৃতিক পরিসর জ্ঞান মঞ্চ। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে সাম্মানিক স্নাতক মুকুন্দও এই শহরে ফিরে আসেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্কৃত সাহিত্যে স্নাতকোত্তর পড়তে। আশির দশকে সংবাদ-সংলাপ-বিতর্কনির্ভর দর্শনচর্চার যে ধারা বিকাশ লাভ করে, দয়া কৃষ্ণ, এম পি রেগে, ফ্রান্সিন কৃষ্ণ, অরিন্দম চক্রবর্তীর পাশাপাশি মুকুন্দ লাঠ ছিলেন তার অন্যতম পুরোধা। সঙ্গীত, সংস্কৃতি, দর্শন বিষয়ক তাঁর চিন্তাধারার পরিচয় পাওয়া যায় ভক্তিবাদী দর্শন নিয়ে দয়া ও ফ্রান্সিন কৃষ্ণের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ আলোচনা ‘ভক্তি: আ কন্টেম্পোরারি ডিসকাশন’-এ। দয়া ও ফ্রান্সিনের কন্যা শেল মায়ারাম জানিয়েছেন জয়ন্তভট্টের আগমডম্বর-এর দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি মুকুন্দের আগ্রহের কথা। এই গ্রন্থ বৈষ্ণব, বৌদ্ধ, নৈয়ায়িক প্রভৃতি বিভিন্ন প্রতিদ্বন্দ্বী মতবাদের মধ্যে একটি কাল্পনিক সংলাপ যার শেষে লেখক ন্যায়দর্শনের সপক্ষে মত দেওয়ার পাশাপাশি সমস্ত মতকেই শ্রদ্ধাভাজন পথ হিসেবে স্বীকার করেন।
মুকুন্দ লাঠ শুধুমাত্র তাত্ত্বিক ছিলেন না। গায়ক, কবি ও চিত্রশিল্পী হিসেবেও ছিলেন দক্ষ। পণ্ডিত মণিরাম, রমেশ চক্রবর্তী এবং পরিশেষে মেওয়াট ঘরানার কিংবদন্তি পণ্ডিত জসরাজের কাছে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের তালিম নিয়েছিলেন, জসরাজের সঙ্গী হয়েছিলেন দেশ-বিদেশের বহু কনসার্টে। জয়পুরে তাঁর বাসভবন শিল্পসংগ্রহের জন্যও দর্শনীয়। শিল্পসংগ্রহের নেশাও তাঁর ছাত্রাবস্থা থেকেই। গানের ক্ষেত্রে যেমন প্রায় সমবয়সি, তরুণ জসরাজকে গুরু হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন নির্দ্বিধায়, ছবির ক্ষেত্রেও তেমনই পিছপা হননি নবীন, সম্ভাবনাময় শিল্পীদের কাজের কদর করতে। ১৯৬২ সালে যখন তিনি জে স্বামীনাথনের ছবি কিনতে শুরু করেন, শিল্পী নিতান্তই স্বল্পখ্যাত। দিল্লির একটি প্রদর্শনীতে তরুণ গণেশ পাইনের ছবি দেখে আকৃষ্ট হয়ে কলকাতায় ফিরে আলাপ করেছিলেন তাঁর সঙ্গে, দায়িত্ব দিয়েছিলেন রাজস্থানি মুঘল শৈলীতে ‘অর্ধকথানক’-এর প্রচ্ছদ অলঙ্করণের। আবার কর্নওয়ালিস স্ট্রিটে মন্দার মল্লিকের স্টুডিয়োয় যাতায়াতের সুবাদে তিনি এবং বন্ধু প্রকাশ কেজরীবাল কিনে নিয়েছিলেন গণেশ পাইনের এমন সব ছবি, যেগুলো শিল্পী নষ্ট করে দিতে যাচ্ছিলেন। লাঠ পরিবারের শিল্পানুরাগের উত্তরাধিকার বহন করে ২০০৪ সালে অভিজিৎ ও রীণা লাঠ তৈরি করেন হিন্দুস্থান পার্কের ‘আকার প্রকার’ আর্ট গ্যালারি। সেখানেই এক অনুষ্ঠানে ঘটনাটি জানিয়েছিলেন মুকুন্দ নিজেই। শোনা যায় বন্ধুমহলে দক্ষ পেস বোলার ও ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় হিসেবেও সুনাম ছিল তাঁর। সাহিত্য-অনুবাদ ছিল তাঁর গবেষণার অন্যতম অঙ্গ। মধ্যযুগের মহারাষ্ট্রের কবি নামদেবের হিন্দি পদাবলির সঙ্কলন ও অনুবাদ করার পাশাপাশি তাই তুলে ধরেছেন রাজস্থানি চারণকবিদের গীতিপরম্পরায় পদাবলিটির প্রসারের ইতিহাস। অন্য দিকে প্রাচীন সংস্কৃত ও প্রাকৃত কাব্যাংশ হিন্দিতে অনুবাদ করে প্রকাশ করেছেন দুটি কাব্য-সঙ্কলন। হিন্দিভাষায় গবেষণাভিত্তিক দর্শনচর্চার প্রধান জার্নাল ‘উন্মীলন’ প্রকাশে নিয়েছেন অগ্রণী ভূমিকা।
পাশ্চাত্য সঙ্গীতকে ‘মূল স্রোত’ আর অন্যান্য সংস্কৃতির সঙ্গীত ও দর্শনকে ‘এথনোমিউজ়িক’ ভাবার প্রবল বিরোধী ছিলেন মুকুন্দ লাঠ। গবেষণা করে দেখিয়েছিলেন দার্শনিক স্তরে আধুনিকতার ধারণা পাশ্চাত্য সভ্যতার সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য নয়। মুকুন্দ মনে করতেন ঐতিহ্য ও আধুনিকতার সম্পর্ক বৈপরীত্যের নয়, বহমানতার। রক্ষণশীল, অপরিবর্তনীয়, স্থাণু ভারতীয় সংস্কৃতির ধারণা তাঁর ছিল না। তিনি বিশ্বাস করতেন ভারতীয় সংস্কৃতির ভিত্তি পরিবর্তনশীলতায়।
সঙ্গীত-গবেষণাতেও রাগের বিশুদ্ধতার রক্ষণশীল ধারণাকে খণ্ডন করে মুকুন্দ দেখিয়েছেন প্রত্যেক শিল্পীর পরিবেশনের নতুনত্বেই একটি রাগের বহমানতা। অন্ধ অনুকরণ নয়, উদ্ভাবনী সৃজনশীলতাই ভারতীয় শিল্পীকে দেয় ‘উস্তাদ’-এর মর্যাদা। ভারতীয় সংস্কৃতির উপর তাঁর গ্রন্থের নাম তাই ‘ট্রান্সফর্মেশন অ্যাজ় ক্রিয়েশন’। হিন্দুস্থানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে বিশেষ বিশেষ সময়ে বিশেষ বিশেষ রাগ পরিবেশনের প্রথা অত্যন্ত প্রাচীন এবং এর ভিত্তি রাগগুলির চরিত্রগত বৈশিষ্ট্য— পণ্ডিত ভাতখণ্ডের এই বহুলপ্রচারিত তত্ত্বকেও প্রশ্ন করেন মুকুন্দ। দেখান, এই ধারা নিতান্তই একটি অর্জিত অভ্যাস, যা প্রাচীন সঙ্গীতশাস্ত্রে প্রায় নেই বললেই চলে। দ্বাদশ শতকে মিথিলারাজ নান্যদেব ও ত্রয়োদশ শতকে সঙ্গীতরত্নাকর-রচয়িতা শার্ঙ্গদেব এই তত্ত্বের অবতারণা করলেও তার প্রেক্ষিত ছিল ধর্মীয়, রাগের বৈশিষ্ট্য বা নান্দনিকতা নয়। স্থিতিশীলতা নয়, পরিবর্তনই মুকুন্দের কাছে আত্মপরিচয়ের ভিত্তি।
মুকুন্দ মনে করতেন, সঙ্গীতের ইতিহাস সব সময় রাজনৈতিক, ধর্মীয় বা বৌদ্ধিক ইতিহাসের গতিপথ মেনে চলে না। ইউরোপের রেনেসাঁসে গ্রিক ধ্রুপদী সংস্কৃতির প্রভাব পড়লেও, রেনেসাঁসের সঙ্গীত কিন্তু গ্রিক সঙ্গীতের অনুবর্তী নয়। তেমনই চতুর্দশ থেকে ষোড়শ শতকের মধ্যে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে ‘গ্রাম-মূর্ছনা’ বিন্যাসের বদলে ‘ঠাট-মেলকর্তা’ ব্যবস্থার উত্থান বা ষোড়শ-সপ্তদশ শতক থেকে তানপুরা ব্যবহারের সঙ্গে মধ্য এশিয়া বা ইরানের ইসলামীয় সঙ্গীতের সংযোগ ক্ষীণ।
তবে ভারতীয় সাহিত্য, চিত্রকলা, সমাজ ও সংস্কৃতির মননে ইসলামের প্রভাবকে মুকুন্দ অস্বীকার করেননি। ভারতে রচিত প্রথম আত্মজীবনী, ষোড়শ-সপ্তদশ শতকের আগ্রার জৈন বণিক বানারসিদাসের ‘অর্ধকথানক’-এর দীর্ঘ ভূমিকা-সহ ইংরেজি অনুবাদ করে মুঘল ইতিহাসচর্চার এক বিকল্প উপাদান সরবরাহ করেছেন মুকুন্দ।
জৈনধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মুকুন্দ কিন্তু পূর্ণ অহিংসাকে বাস্তবসম্মত মনে করেননি। হিংস্রতাবিহীন, বাস্তবসম্পন্ন প্রবৃত্তিধর্মের খোঁজে লিখিত ‘দ্য কনসেপ্ট অব আনৃশংস্য ইন দ্য মহাভারত’ প্রবন্ধে খুলে দিয়েছেন মহাভারত-চর্চার নতুন দিগন্ত। মহাভারতের মূল শিক্ষা যে নৃশংসতা-পরিহার এবং সার্বিক সহমর্মিতা, এই তত্ত্ব পরবর্তী কালের গবেষকদের দিয়েছে এক নতুন, গুরুত্বপূর্ণ ভাষ্য। সংলাপ ও বিতর্ক, বহুত্ববাদ ও সহমর্মিতায় বিশ্বাসী ভারতীয় সংস্কৃতির অন্যতম প্রবক্তা মুকুন্দ লাঠ গত ৬ অগস্ট জয়পুরের বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন। তাঁর প্রয়াণে এ দেশে বহুত্বের সংস্কৃতি ও দর্শন আরও একটু দরিদ্র হল।
তথ্যঋণ: শেল মায়ারাম, রাজীব ভার্গব, কুলদীপ কুমার, সুয়াংশু খুরানা, স্বরগঙ্গা, আকার প্রকার
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy