Why did Govinda hide his marriage from actress Neelam, interesting facts about his life dgtl
Extra Marital Affair of Govinda
ভালবাসা না কেরিয়ার? কী কারণে নীলমের কাছে নিজের বিয়ের কথা লুকিয়েছিলেন গোবিন্দ?
কাজের সূত্রে দীর্ঘ দিন আলাপ থাকার কারণে গোবিন্দ এবং নীলমের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব দেখা দেয়। বলিপাড়ায় কানাঘুষো শোনা যেতে থাকে যে, দুই তারকা সম্পর্কেও রয়েছেন।
সংবাদ সংস্থা
মুম্বইশেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৩ ১৬:৫৭
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১২৩
নব্বইয়ের দশকে বলিজগতে খুব কম সময়ের মধ্যে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে গিয়েছিলেন গোবিন্দ। কৌতুকাভিনেতার চরিত্রেই হোক বা নাচের দৃশ্যে, গোবিন্দ সব ক্ষেত্রেই বাজিমাত করতেন।
০২২৩
কিন্তু গোবিন্দকে নিয়ে বিতর্কও কম ছিল না। বলি অভিনেত্রী নীলমের সঙ্গে গোবিন্দের সম্পর্ক নিয়ে বলিপাড়ায় মাঝেমধ্যেই গুঞ্জন শোনা যেত। নীলমকে নাকি বিয়েও করতে চেয়েছিলেন নায়ক।
০৩২৩
এমনকি, নীলম নাকি তাঁর মায়ের সঙ্গে গোবিন্দের বাড়িতে বিয়ের পাকাকথা বলতে গিয়েছিলেন বলে কানাঘুষো শোনা যায়। কিন্তু মায়ের কথায় পিছিয়ে আসেন অভিনেতা।
০৪২৩
বলিপাড়া সূত্রে খবর, নীলমকে বিয়ে করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন শুনে গোবিন্দকে বারণ করেছিলেন তাঁর মা। তিনি গোবিন্দের জন্য আগে থেকেই সুনীতা মুঞ্জলকে পছন্দ করে রেখেছিলেন।
০৫২৩
গোবিন্দকে তাঁর মা জানান যে, তিনি আগে থেকে তাঁর পুত্রের জন্য সুনীতাকে পছন্দ করে রেখেছেন। গোবিন্দ যে সুনীতাকেই বিয়ে করবেন তার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফেলেছিলেন অভিনেতার মা। কথার খেলাপ করতে চাইছিলেন না তিনি।
০৬২৩
গোবিন্দের মা জানান, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর যদি বিয়ে না হয়, তাতে অহুজা পরিবারের অসম্মান হবে এবং সুনীতার মনও ভেঙে যাবে। তাই নীলমের সঙ্গে বিয়ের চিন্তাভাবনা নিয়ে এগোতে বারণ করেন গোবিন্দের মা।
০৭২৩
১৯৮৭ সালে সুনীতাকে বিয়ে করেন গোবিন্দ। কিন্তু বিয়ের কথা গোপন করে রেখেছিলেন তিনি। বলিপাড়ার একাংশের অনুমান, কেরিয়ারের জন্যই বিয়ের কথা লুকিয়েছিলেন তিনি।
০৮২৩
কিন্তু বলিজগতের অধিকাংশের দাবি, বিয়ের কথা নীলমকে জানাতে চাননি গোবিন্দ। তাই নিজেকে অবিবাহিত বলেই পরিচয় দিতেন অভিনেতা। বিয়ে হয়ে যাওয়ার পরেও নীলমের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন তিনি।
০৯২৩
তবে, বিয়ের এক বছরের মাথায় গোবিন্দ এবং সুনীতার বিয়ের কথা জানতে পেরে যান নীলম। বলিপাড়ায় কানাঘুষো শোনা যায় যে, বিয়ের কথা জানার পর নীলম নিজেই গোবিন্দের কাছ থেকে দূরে সরে যান।
১০২৩
১৯৮৬ সালে গোবিন্দের প্রথম ছবি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘ইলজ়াম’-এ গোবিন্দের নায়িকা ছিলেন নীলম। এই ছবি বক্স অফিসে হিট হয়। গোবিন্দ এবং নীলমের জুটিকে দর্শকের মনে ধরে।
১১২৩
যদিও বলিপাড়ায় নীলম কাজ শুরু করেন ১৯৮৪ সাল থেকে। ‘জওয়ানি’ ছবিতে অভিনেতা কর্ণ শাহের বিপরীতে নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করেন নীলম। এই ছবির মাধ্যমেই বড় পর্দায় প্রথম অভিনয় করেন তিনি।
১২২৩
তার পর থেকেই গোবিন্দের সঙ্গে কাজ করা শুরু করেন নীলম। ‘ইলজ়াম’ ছবিতে দুই তারকার বড় পর্দায় সম্পর্কের রসায়ন দর্শক পছন্দ করায় গোবিন্দকেই সহ-অভিনেতা হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন তিনি।
১৩২৩
তিন বছরের ব্যবধানে মোট সাতটি ছবিতে একসঙ্গে কাজ করে ফেলেছিলেন গোবিন্দ এবং নীলম। প্রতিটি ছবিই ভাল ব্যবসা করছিল। গোবিন্দের ধারণা তৈরি হয়ে গিয়েছিল যে, নীলম তাঁর কেরিয়ারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
১৪২৩
কাজের সূত্রে দীর্ঘ দিন আলাপ থাকার কারণে গোবিন্দ এবং নীলমের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব দেখা দেয়। বলিপাড়ায় কানাঘুষো শোনা যেতে থাকে যে, দুই তারকা সম্পর্কেও রয়েছেন।
১৫২৩
কিন্তু গোবিন্দের মায়ের কারণে নীলমকে নাকি বিয়ে করতে পারেননি গোবিন্দ। নীলমের সঙ্গে এক বছর সম্পর্কে থাকার পর সুনীতাকে গোপনে বিয়ে করে ফেলেন গোবিন্দ।
১৬২৩
বিয়ের কথা নীলম জানলে গোবিন্দের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভেঙে যাবে, যার প্রভাব পড়বে গোবিন্দের কেরিয়ারেও। নীলম যদি তাঁর সঙ্গে কাজ করা বন্ধ করে দেন সেই ভেবেই বিয়ের কথা লুকিয়ে গিয়েছিলেন অভিনেতা।
১৭২৩
‘ইলজ়াম’-এর পর একই বছরে মুক্তি পায় ‘লভ ৮৬’ এবং ‘সিঁদুর’। এমনকি, গোবিন্দ বিয়ের পরেও নীলমের সঙ্গে কাজ করা বন্ধ করেননি।
১৮২৩
গোবিন্দের বিয়ের পর ‘খুদগর্জ়’, ‘হত্যা’, ‘ফর্জ় কি জঙ্গ’, ‘তাকতওয়ার’ এবং ‘দো কয়েদি’ ছবিতে গোবিন্দ এবং নীলমকে একসঙ্গে অভিনয় করতে দেখা যায়। কিন্তু বিয়ের কথা বেশি দিন লুকিয়ে রাখতে পারেননি অভিনেতা।
১৯২৩
নীলম তাঁর পরিচিত এক সাংবাদিকের কাছ থেকে গোবিন্দের বিয়ের কথা জানতে পারেন। তত দিনে বিয়ের এক বছর পূর্ণও হয়ে গিয়েছিল গোবিন্দের। বলিপাড়ার একাংশের দাবি, বিয়ের কথা জানার পর গোবিন্দের সঙ্গে কাজ করলেও তাঁদের সম্পর্কে ইতি টানেন নীলম।
২০২৩
আবার বলিপাড়ার কারও দাবি, শুধু কেরিয়ারের জন্য নয়, নীলমের সঙ্গে বিচ্ছেদ চাননি বলেই নিজের বিয়ের কথা গোপন করেছিলেন গোবিন্দ। ১৯৮৯ সালে শেষ বারের মতো গোবিন্দ এবং নীলমের জুটিকে বড় পর্দায় অভিনয় করতে দেখা যায়।
২১২৩
‘দো কয়েদি’ ছবিতে একসঙ্গে শেষ অভিনয় করেছিলেন গোবিন্দ এবং নীলম। নব্বইয়ের দশক থেকে গোবিন্দের জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী হয়ে পড়ে। নীলমও হিন্দি ছবিতে অভিনয় করে গিয়েছেন।
২২২৩
২০০০ সালের অক্টোবর মাসে ঋষি শেঠিয়া নামে এক ব্রিটেন নিবাসী ব্যবসায়ীর সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন নীলম। কিন্তু তাঁদের বিয়ে বেশি দিন টেকেনি।
২৩২৩
বিচ্ছেদের পর অভিনেতা সমীর সোনির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন নীলম। দীর্ঘ দিন সম্পর্কে থাকার পর ২০১১ সালে সমীরকে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের দু’বছর পর এক কন্যাসন্তানকে দত্তক নেন নীলম এবং সমীর। বর্তমানে নিজের জুয়েলারির ব্যবসা এবং সংসার নিয়েই ব্যস্ত রয়েছেন অভিনেত্রী।