Who was Nitin Chandrakant Desai, famous art director of bollywood found dead inside his studio dgtl
Nitin Chandrakant Desai
শেষ পোস্টে বিশেষ সিনেমার উল্লেখ, জাতীয় পুরস্কারজয়ী শিল্প নির্দেশকের মৃত্যু ঘিরে বাড়ছে রহস্য
বুধবার সকালে মুম্বই থেকে ৯০ মিনিটের দূরত্বে নির্মিত করজাটের এন়ডি স্টুডিয়ো থেকে উদ্ধার হয় খ্যাতনামী শিল্প নির্দেশক নিতিন চন্দ্রকান্ত দেসাইয়ের দেহ।
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতাশেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০২৩ ১৫:১০
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৮
চলতি সপ্তাহেই ছিল জন্মদিন। তার আগেই স্টুডিয়ো থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল চারটি জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্প নির্দেশক নিতিন চন্দ্রকান্ত দেসাইয়ের।
০২১৮
বুধবার সকালে মুম্বই থেকে ৯০ মিনিটের দূরত্বে নির্মিত করজাটের এন়ডি স্টুডিয়ো থেকে উদ্ধার হয় খ্যাতনামী শিল্প নির্দেশক নিতিনের দেহ। মুম্বই পুলিশের দাবি, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন নিতিন। কিন্তু কেন তিনি নিজেকে শেষ করার সিদ্ধান্ত নিলেন তা এখনও জানাতে পারেনি পুলিশ।
০৩১৮
বলিপাড়ায় দু’দশকের বেশি সময় ধরে কাজ করেছেন নিতিন। ‘১৯৪২: আ লভ স্টোরি’, ‘লগান’, ‘হম দিল দে চুকে সনম’, ‘দেবদাস’, ‘স্লামডগ মিলিয়নিয়র’-এর মতো ছবি কেরিয়ারের ঝুলিতে রয়েছে নিতিনের।
০৪১৮
১৯৬৫ সালে মুম্বইয়ে জন্ম নিতিনের। শৈশব থেকে ছবি তোলা, ক্যামেরার কাজ এবং নির্দেশনার প্রতি আগ্রহ ছিল তাঁর। স্কুলের পড়াশোনা শেষ করে মুম্বইয়ের একটি কলেজে ফোটোগ্রাফি নিয়ে পড়েন নিতিন।
০৫১৮
কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে কেরিয়ার গড়ার দিকে মন দেন নিতিন। ১৯৮৭ সালে মুম্বইয়ের একটি ফিল্ম স্টুডিয়োয় কাজ শুরু করেন। কিন্তু স্টুডিয়োয় কাজ শুরু করার পর দ্বিমাত্রিক ছবির বদলে তাঁর আগ্রহ জাগতে থাকে ছবি সংক্রান্ত শিল্প নির্দেশনার দিকে।
০৬১৮
হিন্দি ছবির অন্যতম পরিচালক-প্রযোজক গোবিন্দ নিহালানির পরিচালনায় ১৯৮৭ সালে সম্প্রচারিত হয় ‘তমস’ নামের ধারাবাহিক। এই ধারাবাহিকে গোবিন্দের সঙ্গে সহ-পরিচালক হিসাবে কাজ করেন নিতিন।
০৭১৮
‘কবীর’ ধারাবাহিকের সহ-পরিচালক হিসাবে সাড়ে পাঁচ বছর কাজ করেছিলেন নিতিন। ‘চাণক্য’ ধারাবাহিকের প্রথম ২৫টি পর্বের সহ-পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ২৬তম পর্ব থেকে তিনি একাই পরিচালনার দায়িত্ব নেন।
০৮১৮
১৯৯৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ভূকম্প’ ছবিতে প্রথম কাজ করলেও নিতিনের পরিচিতি তৈরি হয় বিধু বিনোদ চোপড়া পরিচালিত ‘১৯৪২: আ লভ স্টোরি’ ছবির মাধ্যমে। এই ছবিতে শিল্প নির্দেশক হিসাবে কাজ করেছিলেন তিনি।
০৯১৮
তার পর আর নিতিনের কেরিয়ার আর থেমে থাকেনি। নব্বইয়ের দশকে ‘খামোশি: দ্য মিউজিক্যাল’, ‘প্যার তো হোনা হি থা’, ‘সালাম বম্বে!’, ‘হম দিল দে চুকে সনম’ এবং ‘বাদশা’ ছবিতে শিল্প নির্দেশনার কাজ করেন তিনি।
১০১৮
শুধু হিন্দি ছবিতে নয়, একাধিক আন্তর্জাতিক ছবিতেও শিল্প নির্দেশনার কাজ করেছিলেন নিতিন। অস্কারজয়ী ছবি ‘স্লামডগ মিলিয়নিয়র’-এ ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’ ধারাবাহিকের সেট থেকে শুরু করে তাজমহলের সেট নিজের হাতে তৈরি করেছিলেন নিতিন। তা ছাড়াও ‘আমোক’, ‘কামসূত্র: অ্যা টেল অফ লভ’, ‘সাচ আ লং জার্নি’ এবং ‘হোলি স্মোক’-এর মতো নানা ভাষার ছবিতে কাজ করেছেন তিনি।
২০০৩ সাল থেকে প্রযোজনার কাজে মন দেন নিতিন। দু’বছর পর ২০০৫ সালে মুম্বই থেকে প্রায় ৯০ মিনিটের দূরত্বে ৫২ একর জায়গা নিয়ে এনডি স্টুডিয়ো নির্মাণ করেন তিনি। এখানে ‘জোধা আকবর’-এর মতো বৈগ্রহিক ছবির শুটিং হয়েছে বলে জানা যায়। শুধু তাই নয়, ‘বিগ বস্’ রিয়্যালিটি শোয়ের বেশ কিছু সিজনের শুটিং হয়েছে নিতিনের এই স্টুডিয়োয়।
১৩১৮
কারজাট এলাকার বিজেপি বিধায়ক মহেশ বলদি জানান, নিতিনের এনডি স্টুডিয়ো তাঁর সংসদীয় এলাকার অন্তর্ভুক্ত। বেশ কিছু দিন ধরেই চরম আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন নিতিন। নিজস্ব সংস্থার জন্য ২৫২ কোটি টাকার ঋণ নিয়ে তা শোধ করতে পারেননি নিতিন। সেই কারণেই নাকি চরম সিদ্ধান্ত নেন শিল্প নির্দেশক। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
১৪১৮
১৬ জুলাই ইনস্টাগ্রামে শেষ পোস্ট করেছিলেন নিতিন। অনিল কপূর এবং মনিষা কৈরালা অভিনীত ছবি ‘১৯৪২: আ লভ স্টোরি’ ২৯ বছর পূর্ণতা পেয়েছে। সেই উপলক্ষে সমাজমাধ্যমে পোস্টটি করেছিলেন তিনি।
১৫১৮
মুম্বইয়ের লালবাগে গণেশ চতুর্থী উপলক্ষে একটি প্যান্ডেল তৈরির কাজ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন নিতিন। এমনকি রবিবার সেখানে গিয়ে দু’ঘণ্টা কাজও করেছিলেন তিনি।
১৬১৮
মরাঠি ছবি এবং ধারাবাহিক প্রযোজনাও করেছিলেন নিতিন। ‘বালগন্ধর্ব’, ‘অজিন্ত’, ‘ট্রাকভর স্বপ্ন’, ‘হরীশচন্দ্রাচি ফ্যাক্টরি’ নামে মরাঠি ছবির প্রযোজনা করেছিলেন তিনি। তার পাশাপাশি ‘রাজা শিবছত্রপতি’র মতো মরাঠি ধারাবাহিক প্রযোজনা করে প্রশংসা কুড়োন তিনি।
১৭১৮
২০২০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘পৌরুষপুর’ ওয়েব সিরিজ়ের প্রোডাকশন ডিজাইনার হিসাবে কাজ করেছিলেন নিতিন। ‘ড. বাবাসাহেব অম্বেডকর’, ‘হম দিল দে চুকে সনম’, ‘লগান’ এবং ‘দেবদাস’ ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি।
১৮১৮
জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছনোর পরেও কেন চরম সিদ্ধান্ত নিলেন নিতিন তা এখনও রহস্য। তিনি কি আর্থিক সঙ্কটে ভুগছিলেন? নাকি এর নেপথ্যে রয়েছে অন্য কারণ? শিল্প নির্দেশকের মৃত্যু নিয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।