পরে অবশ্য সুপ্রিম কোর্ট তাঁর শাস্তির রায়কে বাতিল করে। আবার ভোটের লড়াইয়ে ফিরতে পারেন লুলা। আর ফিরেই বাজিমাত। রাজনৈতিক মহলের অভিমত, মূলত বৈষম্য হঠিয়ে দেশকে উন্নয়নের রাস্তায় আনার প্রতিশ্রুতি এবং পূর্ববর্তী লুলা জমানার কৃতকর্মের যোগফল, এই জয়। করোনার ধাক্কায় থরহরি কম্প ব্রাজিলের অর্থনীতিকে লুলাই পারবেন পথে আনতে, এই বিশ্বাস জনগণের মধ্যে তৈরি হয়েছিল, মূলত দু’দফায় লুলাকে দেশকে নেতৃত্ব দিতে দেখে এবং অনেকাংশে বলসোনারোকে নিয়ে দেখা স্বপ্নভঙ্গের পর।
প্রথম দুই দফায় লুলা দেশের অর্থনীতিকে মজবুত করার পাশাপাশি বিশ্ব মঞ্চেও ব্রাজিলের অনন্যতা তুলে ধরেছিলেন। এ বার কী হবে? বয়স বেড়েছে, অভিজ্ঞতায় আরও পোক্ত হয়েছেন জেলখাটা লুলা। পারবেন কি নড়বড়ে ব্রাজিলের অর্থনীতিতে আমাজনের তাজা জলের ঝাপটা দিতে? নাটকীয় ভোট জয়ের থেকেও বড় চ্যালেঞ্জ সত্তরোর্ধ্ব বামনেতার কাছে।
লাতিন আমেরিকায় আবার স্বমহিমায় ‘পিঙ্ক টাইড’। লুলার জয়ে ব্রাজিলও সেই ‘পিঙ্ক টাইড’-এর তালিকায় কলম্বিয়া, মেক্সিকো, আর্জেন্টিনা, চিলি এবং পেরুর সঙ্গে একাসনে বসে পড়ল। বস্তুত, এই সবক’টি দেশেই বর্তমানে বামপন্থীদের সরকার। ১৯৯৮-এ ভেনেজুয়েলায় উগো চাভেজের জয়ের পর থেকে লাতিন আমেরিকার একের পর এক দেশে বামপন্থী বা বামঘেঁষা সরকার প্রতিষ্ঠা হয়। তাকেই বলা হয় ‘পিঙ্ক টাইড’। করোনা পরবর্তী কালে আবার কি সেই ‘পিঙ্ক টাইড’-এর আগমন? লুলায় ভর করে বুক বাঁধছে পেলে-রোনাল্ডো-নেইমারের দেশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy