Who are the probable worst players of T20 world cup 2022 dgtl
T20 World Cup 2022
বিশ্বকাপের সেরা ‘যাচ্ছেতাই একাদশ’ বেছে নিল আনন্দবাজার অনলাইন, দলে চার ভারতীয়
সদ্য শেষ হওয়া টি২০ বিশ্বকাপের পরিসংখ্যানের দিকে নজর রেখে এ বারের বিশ্বকাপের ব্যর্থতম খেলোয়াড়দের একাদশ বেছে নিল আনন্দবাজার অনলাইন। সব মিলিয়ে সমর্থকদের হতাশার তালিকাটি বেশ দীর্ঘ।
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতাশেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২২ ১৭:০৫
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৭
পাকিস্তানকে হারিয়ে টি২০ বিশ্বকাপ জিতে নিয়েছে ইংল্যান্ড। যে টানটান উত্তেজনার ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু হয়েছিল, তার শেষ হয়েছে ৫ উইকেটে ব্রিটিশদের কাছে পাকিস্তানের হার দিয়ে।
ছবি: সংগৃহীত।
০২১৭
এ বছর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে কুড়ি ওভারের বিশ্বকাপের আয়োজন করেছিল আইসিসি। অথচ, ঘরের মাঠে শেষ চারেও উঠতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। গ্রুপ পর্যায়ের খেলা থেকেই ডেভিড ওয়ার্নার, অ্যারন ফিঞ্চদের বিদায় নিতে হয়েছে।
ছবি: সংগৃহীত।
০৩১৭
অস্ট্রেলিয়ার এই বিশ্বকাপে সমর্থকদের হতাশ করেছে ভারতও। শুরুটা ভাল করলেও ইংল্যান্ডের কাছে সেমিফাইনালে ১০ উইকেটে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে রোহিত শর্মাদের।
ছবি: সংগৃহীত।
০৪১৭
এ বারের টি২০ বিশ্বকাপে অনেক খেলোয়াড়ের থেকেই অনেক কিছু আশা করেছিলেন দর্শক ও ক্রিকেটপ্রেমীরা। কিন্তু ডেভিড ওয়ার্নার থেকে শুরু করে রোহিত শর্মা, চূড়ান্ত হতাশ করেছেন প্রথম সারির বেশ কিছু খেলোয়াড়। ব্যাটে-বলে আশানুরূপ প্রদর্শন করতে পারেননি বাইশ গজের বহু প্রিয় তারকা।
ছবি: সংগৃহীত।
০৫১৭
সদ্য শেষ হওয়া টি২০ বিশ্বকাপের পরিসংখ্যানের দিকে নজর রেখে এ বারের বিশ্বকাপের ব্যর্থতম একাদশ বেছে নিল আনন্দবাজার অনলাইন। ভারত, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া মিলিয়ে সমর্থকদের হতাশার তালিকাটি বেশ দীর্ঘ।
ছবি: সংগৃহীত।
০৬১৭
রোহিত শর্মা (ভারত)— বিশ্বকাপে ব্যর্থ হিসাবে প্রথমেই রোহিত শর্মার নাম করতে হয়। ভারতীয় দলের অধিনায়কের কাছে যতটা প্রত্যাশা ছিল, তার কানাকড়িও পূরণ করতে পারেননি তিনি। গোটা টুর্নামেন্টে তাঁর মোট রান ১১৬। খেলেছেন ১০২ বল। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে রোহিতের ধীর গতির ২৭ রান (২৮ বল) দলকে হারের দিকে এগিয়ে দিয়েছিল।
ছবি: সংগৃহীত।
০৭১৭
ডেভিড ওয়ার্নার (অস্ট্রেলিয়া)— অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম অভিজ্ঞ এবং নির্ভরযোগ্য ওপেনার তিনি। কিন্তু বিশ্বকাপে ডেভিড ওয়ার্নার চূড়ান্ত ব্যর্থ। গ্রুপ পর্যায়ের মোট ৪টি ম্যাচে তিনি যথাক্রমে ৫, ১১, ৩ এবং ২৫ রান করেছেন। ধারাবাহিক ভাবে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খারাপ শুরু করেছেন ওয়ার্নার।
ছবি: সংগৃহীত।
০৮১৭
বাবর আজ়ম (পাকিস্তান)— পাক ক্রিকেটের অন্যতম ভরসা বাবর আজ়ম। তাঁর নেতৃত্বে দল ফাইনালে উঠেছে। তবে বিশ্বকাপে বাবরের ব্যক্তিগত প্রদর্শন হতাশাব্যঞ্জক। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ২৫ রান করেছেন বাবর। এ ছাড়া, ভারত, নেদারল্যান্ডস, জিম্বাবোয়ে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তিনি ধারাবাহিক ভাবে ব্যর্থ। টুর্নামেন্টে তাঁর মোট রান ৩৯।
ছবি: সংগৃহীত।
০৯১৭
শাকিব আল হাসান (বাংলাদেশ)— বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অধিনায়ক শাকিবের পারফরম্যান্সও হতাশ করেছেন। টুর্নামেন্টে তিনি মোট ৪৪ রান করেছেন। দল তাঁর নেতৃত্বে শেষ চারেও যেতে পারেনি। বল হাতেও তেমন নজর কাড়তে পারেননি বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার। সব মিলিয়ে নিয়েছেন মোট ৬টি উইকেট।
ছবি: সংগৃহীত।
১০১৭
দীনেশ কার্তিক (ভারত)— উইকেটরক্ষক হিসাবে বিশ্বকাপে দীনেশ কার্তিকের উপর ভরসা রাখা হয়েছিল। উইকেটরক্ষণের কাজ সামলে নিলেও ব্যাট হাতে একেবারেই আশানুরূপ প্রদর্শন করতে পারেননি ডিকে। তাঁর মোট রান মাত্র ১৪। বিশ্বকাপের সবক’টি ম্যাচে তাঁকে সুযোগও দেওয়া হয়নি।
ছবি: সংগৃহীত।
১১১৭
কুইন্টন ডি কক (দক্ষিণ আফ্রিকা)— অভিজ্ঞতার নিরিখে হতাশ করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটরক্ষক কুইন্টন ডি কক। উইকেটরক্ষণের পাশাপাশি নির্ভরযোগ্য ব্যাটার তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে তিনিই ওপেন করতে নামেন। কিন্তু এ বারের বিশ্বকাপ ভুলতে চাইবেন ডি কক। টুর্নামেন্টে তাঁর মোট রান ১২৪। বাংলাদেশ (৬৩) এবং জিম্বাবোয়ে (৪৭) ছাড়া আর কোনও দলের বিরুদ্ধেই তিনি রান পাননি।
ছবি: সংগৃহীত।
১২১৭
ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা (শ্রীলঙ্কা)— শ্রীলঙ্কার অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডারের উপর বিশ্বকাপে ভরসা রেখেছিল দল। কিন্তু তিনিও হতাশ করেছেন। ব্যাটে হোক বা বল, কোনও ক্ষেত্রেই নজর কাড়তে পারেননি। ৫ ম্যাচ খেলে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা নিয়েছেন মোট ৮টি উইকেট। রান করেছেন মাত্র ১৪।
ছবি: সংগৃহীত।
১৩১৭
রবিচন্দ্রন অশ্বিন (ভারত)— ভারতের অন্যতম নির্ভরযোগ্য স্পিনার অশ্বিন। দলে তাঁর অভিজ্ঞতাও অনেক বেশি। কিন্তু সেই অনুযায়ী বিশ্বকাপে ভাল প্রদর্শন করতে পারেননি অশ্বিন। গোটা টুর্নামেন্টে মোট ৬টি উইকেট পেয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৪ ওভারে ৪৩ রান দিয়েছেন তিনি।
ছবি: সংগৃহীত।
১৪১৭
প্যাট কামিন্স (অস্ট্রেলিয়া)— অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম অভিজ্ঞ জোরে বোলার। আইপিএলে কলকাতার হয়ে খেলেন প্যাট কামিন্স। তবে দেশের জার্সি গায়ে টি২০ বিশ্বকাপে হতাশ করেছেন তিনি। ৪টি ম্যাচে তিনি মোট ৩টি উইকেট নিতে পেরেছেন। রান দিয়েছেন প্রচুর।
ছবি: সংগৃহীত।
১৫১৭
মহম্মদ শামি (ভারত)— যশপ্রীত বুমরা চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়ার পর শামির অভিজ্ঞতার উপর ভরসা রেখেছিলেন নির্বাচকরা। কিন্তু প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন ভারতের এই জোরে বোলার। মোট ৬টি উইকেট পেয়েছেন তিনি। কোনও ম্যাচেই তাঁর পারফরম্যান্স নজর কাড়েনি।
ছবি: সংগৃহীত।
১৬১৭
কাগিসো রাবাডা (দক্ষিণ আফ্রিকা)— দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য জোরে বোলার রাবাডা। কিন্তু বিশ্বকাপে তাঁর বোলিংয়ে প্রত্যাশিত ধার ছিল না। টুর্নামেন্টে পেয়েছেন মাত্র ২টি উইকেট। তাঁর বলে অনেক রান পেয়েছে প্রতিপক্ষ।
ছবি: সংগৃহীত।
১৭১৭
ডেভিড মিলার (দক্ষিণ আফ্রিকা)— দক্ষিণ আফ্রিকার এই ব্যাটারকে সমর্থকরা ‘কিলার মিলার’ বলেও সম্বোধন করে থাকেন। কিন্তু মিলার এ বারের বিশ্বকাপে একেবারেই ‘কিলার’ হয়ে উঠতে পারেননি। তাঁর মোট রান ৭৮। এক মাত্র ভারতের বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্যায়ের ম্যাচটিতেই তিনি রান পেয়েছেন (৫৯)। তিনি আমাদের এই একাদশের দ্বাদশ ব্যক্তি।