What is the salary of vice president of India dgtl
Jagdeep Dhankhar
Jagdeep Dhankhar: উপরাষ্ট্রপতি ভোটে জিতলে ধনখড়ের বেতন কত বাড়বে, অন্যান্য সুবিধাই বা কী কী
রাজ্যপাল থেকে উপরাষ্ট্রপতি হলে বেতন অনেকটাই বেড়ে যাবে ধনখড়ের। রাজ্যপালদের মাসিক বেতন ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। উপরাষ্ট্রপতি বেতন মাসিক ৪ লাখ টাকা।
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতাশেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২২ ১৫:৪৮
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১২৫
শনিবার উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসাবে জগদীপ ধনখড়ের নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি। এক কালের সাংসদ, বিধায়ক, রাজ্যপাল হয়ে এ বার উপরাষ্ট্রপতি হওয়ার পথে।
০২২৫
উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে শুধুই সাংসদদের ভোটাধিকার থাকে। আর লোকসভা ও রাজ্যসভা মিলিয়ে বিজেপির একক শক্তিতেই ধনখড়ের জয় নিশ্চিত।
০৩২৫
রাজ্যপাল থেকে উপরাষ্ট্রপতি হলে রোজগার অনেকটাই বেড়ে যাবে ধনখড়ের। সেই সঙ্গে অন্যান্য সুযোগসুবিধাও রাজ্যপালের তুলনায় উপরাষ্ট্রপতির বেশি।
০৪২৫
২০১৮ সালে দেশে রাষ্ট্রপতি থেকে প্রধানমন্ত্রী, উপরাষ্ট্রপতি থেকে রাজ্যপাল— সকলের বেতন কাঠামোয় বদল আসে। সেই বদলের পরে ভারতে এখন রাজ্যপালদের মাসিক বেতন ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আগে ছিল ১ লাখ ১০ হাজার টাকা।
০৫২৫
সেই সময়ে উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের বেতন ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা থেকে বেড়ে হয় মাসিক ৪ লাখ টাকা। রাষ্ট্রপতির বেতন ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে হয় মাসিক ৫ লাখ টাকা।
০৬২৫
উপরাষ্ট্রপতি বেতন ছাড়াও অনেক সুবিধা পান। বাড়ি, পরিবহণ, চিকিৎসা সংক্রান্ত সব খরচই কেন্দ্রীয় সরকার বহন করে। আবার কখনও উপরাষ্ট্রপতিকে যদি রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করতে হয়, তখন যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা ও বেতনও রাষ্ট্রপতির সমান হয়।
০৭২৫
রাজ্যপালদেরও যাবতীয় খরচ দেওয়া হয় সরকারি কোষাগার থেকে। তবে উপরাষ্ট্রপতি দিল্লিতে অনেক বড় বাংলো যেমন পান, তেমন অফিস চালানোর খরচও অনেকটাই বেশি হয়। আর উপরাষ্ট্রপতি অবসরের পরে মাসে ২ লাখ টাকা করে পেনশন পান।
০৮২৫
রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি বা রাজ্যপালদের তুলনায় বেতন অনেকটাই কম প্রধানমন্ত্রীর। কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ম অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর মূল বেতনও এক জন সাংসদের সমান। কারণ, তিনিও প্রথমে সাংসদ, পরে প্রধানমন্ত্রী। প্রতি পাঁচ বছর অন্তর বদলায় সাংসদদের বেতন ও অন্যান্য ভাতার পরিমাণ।
০৯২৫
বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী মূল বেতন ১ লাখ টাকা। সেই সঙ্গে সংসদীয় এলাকা ভাতা পাওয়া যায় ৭০ হাজার টাকা। অফিস চালানোর খরচ ৬০ হাজার টাকা। এর মধ্যে অফিসের খরচ ২০ হাজার আর কর্মীদের বেতনের জন্য বরাদ্দ ৪০ হাজার টাকা। এর বাইরে অতিথি আপ্যায়ন বাবদ প্রধানমন্ত্রী মাসে পান ৩ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে ২ লাখ ৩১ হাজার টাকা।
১০২৫
প্রসঙ্গত, করোনাকালে এক বছর প্রধানমন্ত্রী-সহ মন্ত্রিসভার সদস্য কিংবা রাষ্ট্রপতি, রাজ্যপালরাও ৩০ শতাংশ বেতন কম পেয়েছেন। ২০২০ সালের ৬ এপ্রিল সাংসদদের বেতনও কমিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে ২০২০ সালের ১ এপ্রিল থেকে এক বছরের জন্য সাংসদদের মাসিক বেতন কমে হয়ে যায় ১ লাখ ৭৩ হাজার টাকা।
১১২৫
সেই সময়ে প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীদের অতিথি আপ্যায়নের খরচও ৩০ শতাংশ হারে কমেছিল। এর জন্য ১৯৫৪ সালের মন্ত্রী-সাংসদদের বেতন, ভাতা ও পেনশন আইনে পরিবর্তন আনতে একটি অর্ডিন্যান্স আনে মোদী সরকার।
১২২৫
রাজস্থানের অখ্যাত গ্রাম থেকে দেশীয় রাজনীতির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদাধিকারীর আসনের পদপ্রার্থী। রাজনৈতিক জীবনে নিঃসন্দেহে চড়াইয়ের পথে জগদীপ ধনখড়।
১৩২৫
শনিবার রাতে দেশের উপরাষ্ট্রপতি পদে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল ধনখড়ের নাম ঘোষণা করেছে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন শাসকদল এনডিএ। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে সাংবিধানিক অঙ্কের বিচারে তাঁর নির্বাচন প্রায় নিশ্চিত বলে।
১৪২৫
বর্তমান উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডুর কার্যকালের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১০ অগস্ট। তার আগেই উপরাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে। তার শেষ দিন আগামী ১৯ জুলাই। এবং এই পদে নির্বাচন হবে আগামী ৬ অগস্ট। সে দিনই দেশের ১৬তম উপরাষ্ট্রপতির নাম ঘোষিত হবে।
১৫২৫
আইনজীবী হিসাবে পেশাদার জীবন শুরু করলেও এক কালে তা ছেড়ে রাজনীতির ময়দানে নেমে পড়েছিলেন ধনখড়। এর পর একে একে বিধায়ক থেকে সাংসদ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও হয়েছেন। ৭১ বছরের ধনখড়কে নানা ভূমিকায় দেখা গিয়েছে।
১৬২৫
উপরাষ্ট্রপতি পদে তাঁর নাম ঘোষণা পর ধনখড়ের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সংসদীয় বিষয়ে ধনখড়ের প্রজ্ঞাকে তারিফ করেছেন। সংবিধান নিয়ে তিনি যে অত্যন্ত ওয়াকিবহাল, তা-ও উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
১৭২৫
উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে চমক দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের নাম নিজেদের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণাকে বিজেপির রাজনৈতিক কৌশল হিসাবেই দেখছে রাজনৈতিক মহল। কিন্তু তৃণমূলের মতে, তাদের উত্ত্যক্ত করার ‘পুরস্কার’ই পেয়েছেন ধনখড়।
১৮২৫
তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, ‘‘তৃণমূলকে উত্ত্যক্ত করার পুরস্কার হিসেবে ওঁকে উপরাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী করা হয়েছে।’’ একই কথার অনুরণন শোনা যায় মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের কণ্ঠেও।
১৯২৫
অন্য দিকে, পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মনে করছেন, যোগ্য ব্যক্তিকে মর্যাদা দিয়েছে বিজেপি।
২০২৫
শনিবার কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টে অতিথিশালা পরিষদীয় দলের বৈঠক শেষে নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু বলেছেন, ‘‘এনডিএ সঠিক ব্যক্তিকে সঠিক জায়গায় দিয়েছে। ওঁর সংবিধান এবং সংসদীয় রাজনীতিতে বিশাল অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমরা দেখেছি, তিনি সংবিধান ও আইন গভীর ভাবে জানেন। এমন এক জন প্রাজ্ঞ ব্যক্তিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজি ও আমাদের জাতীয় সভাপতি জেপি নড্ডাজি প্রার্থী করেছেন। আমরা ধনখড়জিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিজেপি পরিষদীয় দল প্রস্তাব পাশ করেছি। তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বার্তাও পাঠিয়েছি।’’
২১২৫
জন্ম, ১৯৫১ সালের ১৮ মে। রাজস্থানের এক জাঠ কৃষকের পরিবারে জন্ম হয়েছিল ধনখড়ের। সংসদীয় রাজনীতিতে প্রবেশের আগে আইনকেই পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন কিঠানা গ্রামের এই ছেলেটি।
২২২৫
চিত্তৌরগড়ের সৈনিক স্কুলের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনাও করেছেন নিজের রাজ্যে। রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকস্তরের পড়াশোনা শেষ করেন ধনখড়। এক কালে রাজস্থান হাই কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিও নির্বাচিত হয়েছিলেন।
২৩২৫
এ বাংলার রাজ্যপালের দায়িত্বভার সামলানোর আগে একাধিক পদে ছিলেন ধনখড়। জনতা দল থেকে বিজেপিতে যোগদানের আগেই অবশ্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসাবে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
২৪২৫
বিধায়ক হওয়ার আগেই সাংসদ হয়েছিলেন ধনখড়। তবে তাঁর প্রথম রাজনৈতিক দল ছিল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চন্দ্রশেখরের জনতা দল।
২৫২৫
অতঃপর, কালক্রমে ধনখড়কে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসাবে নিয়োগ করা হয়। রাজ্য-রাজ্যপাল সঙ্ঘাতের নয়া পর্ব শুরু হয়।