হামাসকে রুখতে পরের দিনই তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইজ়রায়েল। দেখতে দেখতে সেই যুদ্ধ সপ্তম দিনে পা দিয়েছে। ইজ়রায়েলি সেনা জানিয়েছে, প্যালেস্তাইনের সশস্ত্র বাহিনী হামাসের সঙ্গে সংঘাতে এখন পর্যন্ত সে দেশের ১,২০০ নাগরিক মারা গিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১৮৯ জন সেনা। ইজ়রায়েলের দাবি, ইতিমধ্যেই তারাও হামাস বাহিনীর ১৫০০ জনকে খতম করেছে।
১৯৪৮ সালের ১৪ মে ইজ়রায়েল গঠনের পর থেকেই প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে তার সম্পর্ক কখনও বন্ধুত্বপূর্ণ হয়নি। যার ফলস্বরূপ প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে সাত বার যুদ্ধ হয়েছে ইজ়রায়েলের। সবেতেই অবশ্য জয় পেয়েছে তারা। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের ষড়যন্ত্র যাতে কোনও ভাবেই দেশকে বিপদে না ফেলতে পারে, তাই সেই দেশগুলিতে রয়েছেন ইজ়রায়েলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের প্রতিনিধিরা।
কিন্তু এত শক্তিশালী হওয়া সত্ত্বেও কেন হামাসের আক্রমণ ঠেকাতে কেন ব্যর্থ হল মোসাদ? যার ফলে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে এই গুপ্তচর সংস্থা। প্রশ্ন উঠেছে, কী ভাবে ইজ়রায়েলি গোয়েন্দাদের চোখে ধুলো দিয়ে সে দেশে ঢুকে পড়েছে হামাস বাহিনী? ইজ়রায়েলের সীমান্তে প্যালেস্তাইনের সশস্ত্রবাহিনী কী ভাবে এত অস্ত্রশস্ত্র এবং ক্ষেপণাস্ত্র মজুত করতে পেরেছিল, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
প্রতিনিয়ত আকাশ প্রতিরোধক এই ব্যবস্থাকে উন্নত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ইজ়রায়েল। তাদের আকাশসীমাকে আরও নিশ্ছিদ্র করতে আয়রন ডোমকে আরও অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত করা হয়েছে। ফলে আয়রন ডোমের নজরদারি এড়িয়ে আকাশপথে ইজ়রায়েলে হামলা চালানো প্রায় অসম্ভব। কিন্তু এ বার সেই ‘পাহারাদার’কেও একের পর এক রকেট হামলায় বিভ্রান্ত করে দিতে সক্ষম হয়েছে হামাস বাহিনী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy