What Hindenburg Research has alleged against US billionaire Jack Dorsey in its latest report dgtl
Hindenburg Research
প্রতারণা থেকে শিশু পর্নোগ্রাফি! টুইটারের প্রাক্তন মালিককে ‘পথে বসাল’ সেই হিন্ডেনবার্গ
হিন্ডেনবার্গের নতুন রিপোর্টের কেন্দ্রে রয়েছেন আমেরিকান ধনকুবের জ্যাক ডরসি। টুইটারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রাক্তন সিইও জ্যাক বর্তমানে ‘ব্লক’ নামের একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার মালিক।
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতাশেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৩ ১৫:৪১
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৫
ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানির সংস্থার বিরুদ্ধে বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিল আমেরিকার লগ্নি সংক্রান্ত গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। তাদের একটি রিপোর্টেই ধসের মুখে পড়েছিল আদানির বিশাল সাম্রাজ্য।
০২১৫
কিন্তু আদানিদের ‘সর্বনাশ’ করেই ক্ষান্ত থাকছে না হিন্ডেনবার্গ এবং তার কর্ণধার নাথন অ্যান্ডারসন। ইতিমধ্যে পরবর্তী ‘শিকার’কেও ‘বধ’ করে ফেলেছেন তিনি। প্রকাশ করে ফেলেছেন আরও এক বিস্ফোরক রিপোর্ট।
০৩১৫
হিন্ডেনবার্গের এই রিপোর্টের কেন্দ্রে রয়েছেন আমেরিকান ধনকুবের জ্যাক ডরসি। টুইটারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রাক্তন সিইও জ্যাক বর্তমানে ‘ব্লক’ নামের একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার মালিক। সেই সংস্থাতেই ভূরি ভূরি দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছে।
০৪১৫
আদানিদের মতোই হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টের পর ব্লকের শেয়ার হু হু করে নেমেছে। এক দিনে ৪ হাজার ৩০০ কোটি টাকা খুইয়েছেন জ্যাক। এক দিনে এটাই তাঁর সর্বোচ্চ সম্পত্তিহানি।
০৫১৫
ফোর্বসের তথ্য বলছে, এই মুহূর্তে জ্যাকের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট প্রকাশের পর যা ১১ শতাংশ কমে গিয়েছে।
০৬১৫
ডরসির ব্লকের অধীনে ক্যাশ নামের একটি অ্যাপের মাধ্যমে অর্থনৈতিক লেনদেন হয়। ২০১৩ সালে আমেরিকায় ক্যাশের পথ চলা শুরু। অন্য অর্থনৈতিক লেনদেনকারী অ্যাপগুলির সঙ্গে পাল্লা দিতে নতুন এই অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে এসেছিলেন ডরসি।
০৭১৫
কী অভিযোগ ডরসির সংস্থার বিরুদ্ধে? গুগল পে, পেটিএমের মতো ক্যাশ অ্যাপের মাধ্যমেও টাকা দেওয়া নেওয়া করেন গ্রাহকেরা। অ্যাপটিকে ‘দুর্নীতির আঁতুড়ঘর’ বলে ব্যাখ্যা করেছে হিন্ডেনবার্গ।
০৮১৫
অভিযোগ, ক্যাশ অ্যাপের গ্রাহকের সংখ্যা ইচ্ছা করে বাড়িয়ে দেখিয়েছেন ডরসি। বাড়িয়ে রেখেছেন শেয়ারের দামও। এ ভাবে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। অ্যাপের আড়ালে লোক ঠকানোর রমরমা কারবার গড়ে তুলেছে ব্লক।
০৯১৫
হিন্ডেনবার্গ কর্তৃপক্ষের দাবি, তাঁরা ব্লকের প্রাক্তন কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। বেশ কিছু তথ্য খতিয়ে দেখে তারা জানতে পেরেছেন, সংস্থার ৪০ থেকে ৭০ শতাংশ অ্যাকাউন্টই ভুয়ো। শুধু তাই নয়, ওই ভুয়ো অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমে বেআইনি কার্যকলাপ চলে।
১০১৫
হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ঠিক কত জন ব্যক্তি আসলে এই ক্যাশ অ্যাপ ব্যবহার করেন, তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে। কারণ, একই নামে একাধিক অ্যাকাউন্ট তৈরি করা যায় এই অ্যাপে। পরিচিতি সংক্রান্ত নিরাপত্তা ফাঁকফোঁকড়ে ভর্তি। ফলে দুর্নীতির পথ আরও প্রশস্ত হয়েছে।
১১১৫
নারী পাচার থেকে শুরু করে শিশু পর্নোগ্রাফি, একাধিক বেআইনি কার্যকলাপের সঙ্গে ক্যাশ অ্যাপ যুক্ত বলে দাবি করেছে হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট। অপরাধমূলক কার্যকলাপকে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ডরসির বিরুদ্ধে। অভিযোগ, এর মাধ্যমে শিশু পাচারও চলে।
১২১৫
অভিযোগ, ক্যাশ অ্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমে যখন কোনও গ্রাহক অপরাধমূলক কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন, তার প্রমাণ পেলেও ব্লক কর্তৃপক্ষ ওই গ্রাহককে নিষিদ্ধ করেন না। তাঁর অ্যাকাউন্টটি ব্ল্যাকলিস্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তাতে আদতে কোনও লাভ হয় না।
১৩১৫
হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে দাবি, করোনা অতিমারির সময় যখন ক্যাশ অ্যাপের শেয়ারের দাম বেড়ে গিয়েছিল, সেই সময় সংস্থার দুই মালিক ডরসি এবং জেমস ম্যাককেলভে প্রায় ১০০ কোটি ডলার মূল্যের শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছিলেন। সংস্থার অন্য কর্মকর্তারাও শেয়ার বিক্রি করে কোটি কোটি টাকার মুনাফা করেছিলেন।
১৪১৫
গত বছর থেকে ব্লকের শেয়ারের দাম ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে, রিপোর্টে তা-ও উল্লেখ করেছে হিন্ডেনবার্গ। তারা জানিয়েছে, ব্লকের রোজগারের একটি বড় অংশ ক্রিপটোকারেন্সির উপর নির্ভরশীল। সে ক্ষেত্রে কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে সংস্থা।
১৫১৫
হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে উল্লিখিত যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ডরসি। তাঁর দাবি, ওই রিপোর্ট বাস্তবসম্মত নয়। রিপোর্টটিকে বিভ্রান্তিকর বলেও দাবি করেছেন ধনকুবের। হিন্ডেনবার্গের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের পথে হাঁটবে তাঁর সংস্থা।