কখনও সমুদ্রের গভীরে, কখনও বা জঙ্গলে— পৃথিবীতে এমন অদ্ভুত ধরনের প্রাণীর সন্ধান মেলে যার অস্তিত্ব রীতিমতো অবাক করে দেয়।
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতাশেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০২২ ১৮:৪৬
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৫
ডিজনির ‘ডাম্বো’ ছবিটি দেখেছেন? বাচ্চা হাতিটির ইয়া বড় বড় কান! কখনও ভেবেছেন, বাস্তবে কোনও চারপেয়ের এত লম্বা কান রয়েছে কি না?
০২১৫
সম্প্রতি লম্বা কানযুক্ত একটি ছাগলের খোঁজ মিলল পাকিস্তানে। জুন মাসেই করাচিতে একটি ছাগলের জন্ম হয়। তবে এর নাম ‘ডাম্বো’ নয়। তার মালিক মহম্মদ হাসান নারেজো ভালবেসে ছাগলটির নাম দিয়েছেন ‘সিম্বা’।
০৩১৫
সিম্বার কানের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৯ ইঞ্চি। মহম্মদ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘আজ পর্যন্ত কোনও ছাগলের নাম গিনেস্ বুকে ওঠেনি। কিন্তু আমার ইচ্ছা, সিম্বার নাম তাতে অন্তর্ভুক্ত হোক।’’
০৪১৫
প্রচণ্ড তাপমাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নিতে অ্যাংলো-নুবিয়ান প্রজাতির ছাগলের কানের দৈর্ঘ্য সাধারণত লম্বা হয়। তবে সিম্বার কান এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী। গবেষকরা জানিয়েছেন, জিনগত বৈচিত্রের জন্যেই সিম্বার কানের এত লম্বা দৈর্ঘ্য।
০৫১৫
এ রকম আরও বিচিত্র প্রকৃতির জীবের খোঁজ মিলবে পৃথিবীর কোনায় কোনায়। কখনও সমুদ্রের গভীরে, কখনও বা জঙ্গলে।
০৬১৫
মাছের ঠোঁটে লিপস্টিক! হ্যাঁ। এই ব্যাটফিশকে দেখলে মনে হবে যেন ঠোঁটে লাল রঙের লিপস্টিক পরে রয়েছে। প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে গ্যালাপ্যাগোস দ্বীপপুঞ্জে ‘রেড লিপড্ ব্যাটফিশ’-এর খোঁজ মেলে।
০৭১৫
যদিও এই মাছ সাঁতার কাটতে অক্ষম। পেক্টোরাল পাখনার সাহায্যে সমুদ্রের গভীরেই হেঁটেচলে বেড়াতে দেখা যায় এদের।
০৮১৫
‘পান্ডা অ্যান্ট’-এর নাম শুনে মনে হচ্ছে বিশালাকৃতির পিঁপড়ে। কিন্তু আদতে তা নয়। পান্ডার গায়ে যেমন সাদা-কালো ছাপ রয়েছে, ঠিক সে রকমই ছাপ দেখা যায় পিঁপড়ের শরীরে।
০৯১৫
এই পিঁপড়ের কামড় এতটাই যন্ত্রণাদায়ক যে একে ‘গরু নিধনকারী’ বা ‘কাউ কিলার’-ও বলা হয়। মেক্সিকো, আমেরিকা, চিলির বিভিন্ন প্রান্তে ‘পান্ডা অ্যান্ট’ দেখা যায়।
১০১৫
জাপানে এমন এক জীবের সন্ধান মেলে যা দেখলে সহজে চিনতে পারবেন না এটি মাকড়সা না কাঁকড়া। এর নামও ‘জাপানিজ স্পাইডার ক্র্যাব’।
১১১৫
জাপানের স্থানীয় লোকেরা একে খাদ্য হিসাবেও গ্রহণ করে থাকে। হোনসু দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণ উপকূলে এটি বেশি সংখ্যায় দেখতে পাওয়া যায়।
১২১৫
ড্রাগনের অস্তিত্ব নিয়ে বহু বিতর্ক রয়েছে। তবে ‘ব্লু ড্রাগন’-এর উপস্থিতি নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু এই ড্রাগনকে আকাশে উড়তে দেখা যায় না। বরং এর হদিস মেলে ভারত মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে।
১৩১৫
নীল রঙের এই সামুদ্রিক স্লাগটি দেখতে অবিকল ড্রাগনের মতো। পাকস্থলীর কাছে গ্যাসযুক্ত থলে থাকায় সমুদ্রের জলের ঠিক নীচেই এদের ভেসে থাকতে দেখা যায়।
১৪১৫
ব্যাঙের শরীর কাচ দিয়ে তৈরি? দক্ষিণ আমেরিকায় এমন একটি ব্যাঙের প্রজাতি রয়েছে যাদের দেখলে মনে হবে, এদের দেহ চামড়ার বদলে কাচের আবরণ দিয়ে তৈরি।
১৫১৫
‘গ্লাস ফ্রগ’ নামে পরিচিত এই ব্যাঙের পেটের দিকের চামড়া এতটাই পাতলা যে ভিতরের সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বাইরে থেকেই বোঝা যায়।