‘চাঁদের পাহাড়’-এর শঙ্কর তার মুখোমুখি হয়েছিল। সেই বর্ণনা দিতে গিয়ে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় লিখছেন, ‘‘দেওয়াল ও তার বিছানার মাঝামাঝি জায়গায় মাথা উঁচু করে তুলে ও টর্চ্চের আলো পড়ার দরুন সাময়িক ভাবে আলো-আঁধারি লেগে থ’ খেয়ে আছে আফ্রিকার ক্রুর ও হিংস্রতম সর্প— কালো মাম্বা! ঘরের মেঝে থেকে সাপটা প্রায় আড়াই হাত উঁচু হয়ে উঠেচে— সেটা এমন কিছু আশ্চর্য নয় যখন ব্ল্যাক মাম্বা সাধারণতঃ মানুষকে তাড়া করে তার ঘাড়ে ছোবল মারে! ব্ল্যাক মাম্বার হাত থেকে রেহাই পাওয়া এক প্রকার পুনর্জ্জন্ম তাও শঙ্কর শুনেছে।’’ সেই ব্ল্যাক মাম্বা যদি বাস্তবে চোখের সামনে মারপিট করে?