Viral video of AI-Generated Beer video commercial will make everyone Shocked dgtl
Artificial Intelligence
বিজ্ঞাপন না ‘ভূতুড়ে’ ছবির ট্রেলার! কৃত্রিম মেধার সাহায্যে তৈরি বিয়ারের বিজ্ঞাপন নিয়ে হইচই
এআই সৃষ্ট এই বিজ্ঞাপন তৈরিতে কোনও অভিনেতা-অভিনেত্রীর সাহায্য নেওয়া হয়নি। বিজ্ঞাপনের চরিত্রগুলি দেখে হুবহু মানুষ বলে মনে হলেও সেগুলি আসলে তৈরি হয়েছে কৃত্রিম মেধার সাহায্যেই।
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতাশেষ আপডেট: ০৯ মে ২০২৩ ১৬:১৭
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১২০
ঐতিহাসিক বা খ্যাতনামী চরিত্রদের ছবি বানিয়েছিল আগেই। আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম মেধা এ বার বানিয়ে ফেলল বিজ্ঞাপনী ভিডিয়ো। সেই বিজ্ঞাপন দেখে হতবাক সাধারণ মানুষ।
০২২০
সাম্প্রতিক অতীতে বিশ্ব জুড়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে কৃত্রিম মেধাকে কেন্দ্র করে। কৃত্রিম মেধা আশীর্বাদ না অভিশাপ, তা নিয়েও বিতর্ক শুরু হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, এআই-এর কারণে বিশ্ব জুড়ে অনেক পেশাদারের চাকরি চলে যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে তৈরি হতে পারে শূন্যস্থান।
০৩২০
বিভিন্ন ক্ষেত্রে এআই-এর ক্ষমতা আর শুধু তত্ত্বকথায় আটকে নেই। বাস্তবেও তা করে দেখাচ্ছে কৃত্রিম মেধা।
০৪২০
কলেজে ভর্তির জন্য চিঠি লেখা থেকে শুরু করে গান বানানো, কৃত্রিম মেধার অবাধ বিচরণ। আর এখন পূর্ণাঙ্গ বিজ্ঞাপন বানিয়ে তাক লাগাচ্ছে এআই।
০৫২০
লন্ডন-ভিত্তিক একটি প্রযোজনা সংস্থা, এআইয়ের সাহায্যে পরীক্ষামূলক ভাবে কোনও পেশাদার অভিনেতা ছাড়া একটি বিয়ারের বিজ্ঞাপন বানিয়েছে।
০৬২০
২৪ এপ্রিল ‘সিন্থেটিক সামার’ শিরোনামের এই বিজ্ঞাপনী ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এনেছে ওই সংস্থা, যা দেখার পর সাধারণের মধ্যে হইচই পড়ে গিয়েছে।
০৭২০
এআই সৃষ্ট এই বিজ্ঞাপন তৈরিতে কোনও অভিনেতা-অভিনেত্রীর সাহায্য নেওয়া হয়নি। বিজ্ঞাপনের চরিত্রগুলি দেখে হুবহু মানুষ বলে মনে হলেও সেগুলি আসলে তৈরি হয়েছে কৃত্রিম মেধার সাহায্যে।
০৮২০
ক্রিস বয়েল ওই বিজ্ঞাপনের পরিচালনার এবং হেলেন পাওয়ার এই বিজ্ঞাপন প্রযোজনার দায়িত্বে ছিলেন।
০৯২০
ভিডিয়োটি ইনস্টগ্রামে পোস্ট করে লেখা হয়েছে, ‘‘এটি একটি কাল্পনিক বিয়ারের বিজ্ঞাপন। এই ভিডিয়োর কোনও চরিত্র বাস্তবে নেই। তবে আপনি ভবিষ্যতে এই বিয়ার পান করতে পারেন।’’
১০২০
এখনও পর্যন্ত ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ ভিডিয়োটি দেখেছেন।
১১২০
বিজ্ঞাপনের ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, একটি বাড়ির প্রাঙ্গণে পার্টির আয়োজন করা হয়েছে। সেই পার্টির মধ্যে বিয়ার হাতে উল্লাস করছেন মত্ত এক দল যুবক-যুবতী। সবার হাতেই রয়েছে নীল রঙের বোতলে ভরা একই ব্র্যান্ডের বিয়ার।
১২২০
বিজ্ঞাপনে থাকা চরিত্রগুলিকে বিয়ার হাতে বিভিন্ন ভঙ্গিমায় ফূর্তি করতে, নাচতে, গাইতে দেখা গিয়েছে। কৃত্রিম মেধার তৈরি ভিডিয়োটি এক ঝলক দেখে স্বাভাবিক বলে মনে হলেও ভাল করে দেখলে যে কেউ আঁতকে উঠবেন।
১৩২০
ভাল করে দেখলে দেখা যাবে বিজ্ঞাপনে বিয়ার হাতে যে চরিত্রগুলি উল্লাস করছে, তাদের সকলের মুখ বিকৃত। কারও মুখ বেঁকে গিয়েছে তো কারও চোখ উপর-নীচে হয়ে গিয়েছে। তারা একে অপরের সঙ্গে যে ভাবে কথা বলছে তা-ও স্বাভাবিক বলে মনে হচ্ছে না। কৃত্রিম মেধার তৈরি বিজ্ঞাপন দেখে অনেকের ভয় লেগেছে বলেও জানিয়েছেন।
১৪২০
অনেকে এই ভিডিয়োকে ভূতুড়ে ছবির ট্রেলার বলেও মন্তব্য করেছেন।
১৫২০
সারা জীবন কৃত্রিম মেধা নিয়ে কাজ করার পর নিজের কাজ নিয়ে সম্প্রতি অনুশোচনা করতে দেখা গিয়েছে বিখ্যাত কম্পিউটার বিজ্ঞানী তথা কৃত্রিম মেধা তৈরির ‘গডফাদার’ জিওফ্রে হিন্টনকে।
১৬২০
তিনি ভয় পাচ্ছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে ভবিষ্যতে তৈরি হতে চলা পরিস্থিতি নিয়ে। তাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপকারিতা এবং ঝুঁকি নিয়ে নির্দ্বিধায় কথা বলার জন্য গুগল থেকে পদত্যাগ করেছেন হিন্টন।
১৭২০
হিন্টন এআই বিশেষজ্ঞ। ২০১৮ সালে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে যুগান্তকারী কাজের জন্য ‘ট্যুরিং পুরস্কার’ জিতেছেন। কিন্তু এখন তাঁর দাবি, তিনি যে প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করেছেন তার পরিণতি হতে পারে ভয়ঙ্কর।
১৮২০
হিন্টন জানিয়েছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহার করে চলেছে সমাজের একাংশ। ভুয়ো ছবি এবং খবর তৈরিতে যে ভাবে এআই ব্যবহার করা হচ্ছে তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন হিন্টন।
১৯২০
হিন্টন উল্লেখ করেছেন, এআই শিল্পে প্রতিযোগিতা বেড়ে যাওয়ার কারণে সকলেই নতুন নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করছেন। ফলে এর অপব্যবহারকে ঠেকানো অসম্ভব হয়ে উঠছে। তাঁর দাবি, কৃত্রিম মেধা বিশ্বকে এমন একটা জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে, যেখানে কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যা তা খুঁজে বার করা ধীরে ধীরে কঠিন হয়ে পড়বে।
২০২০
হিন্টন কর্মসংস্থানের উপর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কুপ্রভাব নিয়েও উদ্বিগ্ন। তিনি স্বীকার করেছেন, এআই-এর নিজস্ব ভাবে কাজ করার ক্ষমতা রয়েছে। এমনকি মানুষের বুদ্ধিমত্তাকেও ছাপিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার। তারই কী পরীক্ষামূলক নিদর্শন ওই বিজ্ঞাপন ?