Unsold car inventory rises in India, says FADA dgtl
unsold cars
চাহিদা কম, মজুত বেশি, দেশ জুড়ে প্রায় আট লক্ষ গাড়ি পড়ে শোরুমে! কোন আশঙ্কায় ডিলারেরা?
মে মাস থেকে হঠাৎই যাত্রিবাহী গাড়ির বিক্রি ধাক্কা খেয়েছে। যার ফলে মজুতের পরিমাণ বাড়ছে।
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতাশেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:৩৭
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৮
সামনেই উৎসবের মরসুম। তা সত্ত্বেও গাড়ির বাজার মন্দা। সারা বছর ব্যবসা যতই খারাপ যাক, উৎসবের মরসুমে বরাবর বিক্রি বাড়তে দেখেছে গাড়িশিল্প।
০২১৮
কিন্তু দেশের শীর্ষ গাড়ি ডিলারদের অ্যাসোসিয়েশন, ‘ফেডারেশন অফ অটোমোবাইল ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন’ (ফাডা), বলেছে যাত্রিবাহী গাড়ি বিক্রির বিপণিগুলিতে মজুত গাড়ির পরিমাণ বিগত বছরের সব পরিসংখ্যানকে পিছনে ফেলে দিয়েছে।
০৩১৮
ফাডা বলেছে, মোট ৭.৮ লক্ষ গাড়ি শোরুমেই পড়ে রয়েছে বিগত ৭০-৭৫ দিন ধরে, যার বাজারমূল্য প্রায় ৭৪ হাজার কোটি টাকা।
০৪১৮
গাড়ি সংস্থাগুলি উৎপাদন এবং সরবরাহ ক্রমাগত বাড়াচ্ছে। তার ফলে বিপণিগুলির (শোরুম) গুদামেও জমে চলেছে অবিক্রিত গাড়ি। সে কারণে আর্থিক দিক থেকেও কিছুটা উদ্বেগ তৈরি হয়েছে ডিলারদের মধ্যে।
০৫১৮
কারণ, মজুত গাড়ির বয়স ৩০ দিনের বেশি হয়ে যাওয়া ডিলারদের কাছে উদ্বেগের। সেই সময়সীমা বাড়তে বাড়তে ৬০ দিন পেরিয়ে ৭০-৭৫ দিনে পৌঁছে গিয়েছে। এর কারণ হল, ডিলারেরা ব্যাঙ্ক থেকে যে ঋণ নেন তা ৬০ দিনের মধ্যে সুদ-সহ ফেরত দেন।
০৬১৮
গত বছর একটা সময়ে ৬৫ দিনের মজুত তৈরি হয়েছিল।
০৭১৮
গাড়ি কেনার প্রতি হঠাৎ এই অনীহা কেন ক্রেতাদের? ফাডার সভাপতি মণীশ রাজ সিংহানিয়া সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, গাড়ি সংস্থাগুলি উৎপাদন এবং সরবরাহ ক্রমাগত বাড়াচ্ছে। কিন্তু মে মাসে হঠাৎই বিপণি থেকে যাত্রিবাহী গাড়ির বিক্রি ধাক্কা খেয়েছে।
০৮১৮
এর ফলে মজুতের পরিমাণ বাড়ছে। জুলাই ও অগস্ট মাসেও গাড়িনির্মাতারা ডিলারদের মাসিক চাহিদার ভিত্তিতে গাড়ি পাঠিয়ে দেওয়ার ফলে মজুত আরও বেড়েছে।
০৯১৮
ফাডা বলছে, উৎসবের মরসুমের আগে মজুতের পরিমাণ বৃদ্ধি নিয়ে বিশেষ চিন্তিত হতেন না ডিলারেরা। কিন্তু বিভিন্ন রাজ্যে মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে গা়ড়ি কেনার চাহিদায় ভাটা পড়েছে।
১০১৮
তাই গত জুলাই এবং অগস্টে যে পরিমাণ গাড়ি মজুত করতে হয়েছে ডিলারদের, তার ফলে চাহিদা ও মজুতের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়েছে।
১১১৮
সম্প্রতি ফাডার প্রেসিডেন্ট মণীশ সিঙ্ঘানিয়া জানিয়েছেন, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষ তাঁদের কাছে ছিল দুঃস্বপ্নের মতো। গাড়িবাজারের ঝিমুনির মধ্যে দেশে ২৮০টি বিপণির ঝাঁপ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তার পর থেকেই তাঁরা মজুত নিয়ে সতর্ক।
১২১৮
গাড়ির মূল সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক ও গাড়িনির্মাতা সংস্থা নিজেদের বাজার স্থির রাখার জন্য ডিলারদের উপর চাপ সৃষ্টি করে চলেছে, এমন অভিযোগও তুলেছে ফাডা।
১৩১৮
টাটা মোটরস, মারুতি, টয়োটা, মাহিন্দ্রা প্রভৃতি শীর্ষ গাড়িনির্মাতাদের যাত্রিবাহী গাড়ির বিক্রি বছরে মোট ১.৬ শতাংশ কমে ৩০৪৩৮১টিতে এসে দাঁড়িয়েছে৷
১৪১৮
ভারতের বৃহত্তম যাত্রিবাহী গাড়ি প্রস্তুতকারক হিসাবে মারুতি সুজ়ুকির পাইকারি বিক্রি ৯.৬৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। যদিও এর ছোট গাড়ি বিক্রি স্থিতিশীল ছিল। মাঝারি আকারের সেডান গাড়ির বিক্রি বড় পতনের সম্মুখীন হয়েছে।
১৫১৮
ডিলারেরা যাতে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন না হন, তার জন্য অতিরিক্ত মজুত নেওয়া বন্ধ করতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ফাডা।
১৬১৮
এই মুহূর্তে বাজারে ‘স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকলের’ (এসইউভি) চাহিদা সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে মাঝারি আকারের এসইউভির। অল্প সময়ের মধ্যে ভারতে এই গাড়ির চাহিদা অনেকটাই বেড়েছে।
১৭১৮
ভারতীয় রাস্তায় চলাচলের কথা মাথায় রেখে তৈরি এই ধরনের উঁচু গাড়ি সবচেয়ে বেশি পছন্দ করছেন ক্রেতারা।
১৮১৮
ছোট গাড়ির বাজারের ক্ষেত্রে মারুতি ছাড়াও ভারতীয় ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায় উঠে এসেছে টাটা। মাহিন্দ্রার এসইউভির চাহিদাও ২০২৪ সালে বেড়েছে বলে জানা গিয়েছে। ব্যবসা বেড়েছে কিয়ারও।