বলিউডের ইঁদুর দৌড়ে এক নম্বর নায়িকা না হলেও বেশ কয়েকটি ফিল্মে নজর কে়ড়েছিলেন সমীরা। সঞ্জয় দত্ত এবং সোহেল খানের সঙ্গে ২০০২ সালে ‘ম্যায়নে দিল তুঝকো দিয়া’-য় বলিউডে অভিষেক। তার পর থেকে ‘ডরনা মানা হ্যায়’, ‘মুসাফির’, ‘ট্যাক্সি নম্বর ৯২১১’, ‘রেস’, ‘দে দনা দন’— সমীরার হিট ফিল্মের সংখ্যা কম নয়।
বলিউডের খ্যাতি সত্ত্বেও সমীরার কপাল খুলেছিল তেলুগু ফিল্মে। সালটা ২০০৬। দক্ষিণী ছবির সুপারস্টার জুনিয়র এনটিআর-এর পাশে ‘অশোক’-এ নায়িকার ভূমিকায় সমীরা। সুরেন্দ্র রেড্ডির পরিচালিত সে রোম্যান্টিক ফিল্মে সাড়া জাগিয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি এনটি রামা রাও (এনটিআর)-এর নাতির হৃদয়েও নাকি আলোড়ন তুলেছিলেন সমীরা। যদিও সমীরার দাবি, সে সবই রটনা। বাঁধাধরা বুলিও শোনা গিয়েছে সমীরার কণ্ঠে— ‘‘আমরা দু’জনে খুব ভাল বন্ধু!’’
জুনিয়র এনটিআর-এর সঙ্গে তাঁর ‘সম্পর্ক’ নিয়ে রটনা শুরু হল কেন? ফিল্মের সেটে কোনও নায়িকার সঙ্গে বসে গল্পগাছা করছেন, এমনটা নায়কের অতি বড় বন্ধুকেও বলতে শোনা যাননি। এমনকি, শ্যুটিং শেষ হওয়ামাত্র নিজের মধ্যে গুটিয়ে থাকতেন বলেই দাবি তাঁদের। তবে সমীরার সঙ্গে কাজের প্রথম দিন থেকেই নাকি তাঁর ‘মাখোমাখো সম্পর্ক’। তা সত্ত্বেও সমীরার কণ্ঠে চেনা বুলি— ‘‘আমরা দু’জনে খুব ভাল বন্ধু!’’
প্রেম না বন্ধুত্ব, তা নিয়ে তর্ক বরং থাক! তেলুগু ফিল্ম করা ছাড়লেন কেন? জবাবে সমীরার দাবি, ‘‘সত্যিটা হল, আমি খুবই সোজাসাপ্টা মেয়ে। সহজে বন্ধুত্বও করে ফেলি। কোনও কিছু লুকোছাপা করতে পারি না। তবে ফিল্মে যতই সাহসী চরিত্রে অভিনয় করি না কেন, আদতে তো তেলুগু রেড্ডি পরিবারের মেয়ে। ফলে এনটিআর-কে জড়িয়ে আমাকে নিয়ে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে রটনায় আমাদের পরিবার বহু অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্নের মুখোমুখি হতে শুরু করেছিল। বাবাকে এমন বহু প্রশ্নের জবাব দিতে হত, যা অস্বস্তিকর। তাঁর হয়ে আসলে আমাকে জবাব দিতে হত।’’
অন্য নায়িকাদের সঙ্গে তো জুনিয়র এনটিআর-কে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়নি? এ প্রশ্নেরও জবাব দিয়েছেন সমীরা। তিনি বলেন, ‘‘গোড়ায় আমাদের বন্ধুত্ব হতে সময় লেগেছিল। অনেকের কাছ থেকেই শুনেছিলাম, জুনিয়র এনটিআর নিজের মতো থাকতে ভালবাসেন। শট দেওয়ার পর বিশেষ কথাও বলতেন না। তবে আমাদের মধ্যে বেশ বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছিল। তবে সেই বন্ধুত্বকে বাড়িয়ে বলা হয়েছিল।’’
সমীরার দাবি, জুনিয়র এনটিআর-এর তাঁর ‘প্রেম’ নিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে গুজব অসহ্য হয়ে উঠেছিল। সমীরার কথায়, ‘‘ফ্যানদের প্রশ্নে প্রশ্নে জর্জরিত হয়ে গিয়েছিলাম। প্রশ্ন উঠেছিল, ‘জুনিয়র এনটিআর কি সমীরাকে বিয়ে করবেন? নাকি সমীরাকেই বিয়ে করতে হবে?’ আমার ফিল্ম নিয়ে নয়, লোকজন কেবলমাত্র আমাদের সম্পর্ক নিয়েই আলোচনা করতেন। অভিনেত্রী হিসেবে আমি কতটা যোগ্য, তা নিয়ে আলোচনা চাপা পড়ে গিয়েছিল। সমীরা রেড্ডি নয়, তাঁদের আলোচনার বিষয় নাকি ছিল, সমীরা-এনটিআর!
সমীরার দাবি, জুনিয়র এনটিআর-এর সঙ্গে তাঁর প্রেমের গুজবে তিতিবিরক্ত হয়ে গিয়েছিলেন। এতটাই যে, তা যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠেছিল। সে কারণেই তেলুগু ফিল্ম ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। সমীরার কথায়, ‘‘সোজাসাপ্টা মেয়ে বলেই হয়তো এ ধরনের গুজবে অভ্যস্ত ছিলাম না। বরং এ সব শুনে বেশ অবাকই হতাম। আরও বিরক্ত লাগত, আমি ভাল অভিনয় করতে পারি। নাচেও ভাল। সেগুলো নিয়ে আলোচনা হলে ভাল লাগত। জুনিয়র এনটিআর-এর প্রেমিকা হিসেবে পরিচিতি পেতে চাইনি! আমার মনে হয় যে তা কোনও ভাবে জুনিয়র এনটিআর-কেও ব্যথিত করেছিল। কারণ, গুজবের লক্ষ্য তো তিনিও ছিলেন!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy