‘এগজ়রসিজ়ম’ বা সাদা বাংলায় যাকে ‘ভূত তাড়ানো’ বলা হয়, তা সভ্যতার আদিকাল থেকে চলে আসা এক আচার। প্রাচীন সভ্যতাগুলিতে স্বাভাবিক আচরণের বাইরে কোনও মানুষকে যেতে দেখলে অনেক সময়েই মনে করা হত, তার উপরে কোনও অপশক্তি ভর করেছে। আদিম সমাজে এই অপশক্তি তাড়ানোর জন্যই আবির্ভাব হয় ওঝা তথা শামানদের। পরবর্তী কালে সংহত চেহারায় যখন ধর্মের প্রচলন শুরু হয়, তখনও থেকে যায় এই বিশ্বাস। খ্রিস্ট ধর্মে এগজ়রসিজ়ম প্রাতিষ্ঠানিক মর্যাদাপ্রাপ্ত। ক্যাথলিক খ্রিস্ট ধর্মে যাজকদের মধ্যে অনেকেই এগজ়রসিস্টের কাজ শুরু করেন। আজও টিকে রয়েছে এই প্রথা।
বিশ্বের এগজ়রসিজ়মের ইতিহাসে ভ্যাটিকানের যাজক গ্যাব্রিয়েল অ্যামর্থের (১৯২৫-২০১৬) নাম বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। ডেমনোলজি (দানবতত্ত্ব) ও এগজ়রসিজ়ম বিষয়ে তাঁর পাণ্ডিত্যের খ্যাতি ছিল বিশ্বজোড়া। কথিত, তিনি কয়েক হাজার মানুষকে ‘প্রেতাবেশ’ থেকে উদ্ধার করেন। অবশ্য এই দাবি ও তাঁর কাজ নিয়ে গির্জার ভিতরেই বিপুল বিতর্ক বহমান থেকেছে। আজ নতুন করে অ্যামর্থ চর্চায় উঠে এসেছেন ‘দ্য পোপ’স এগজ়রসিস্ট’ নামে এক হলিউডি ছবির সূত্রে।