২০০১ সালের ১ জুন ঘটেছিল ওই ঘটনা। নেপালের সরকারি তথ্য বলছে, রাজপ্রাসাদে সে দিন গুলি চালিয়েছিলেন নেপালের সেই সময়ের যুবরাজ, তৎকালীন রাজা বীরেন্দ্রের বড় ছেলে দীপেন্দ্র। নেপালের জনতার আদরের ‘দিপ্পি’। যদিও নেপালের বহু সংবাদ সংস্থা এমনকি, রাজপরিবার বিশেষজ্ঞদের অনেকেও সেই তথ্য মেনে নিতে চাননি। বদলে ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব খাড়া করেছিলেন তাঁরা।
আবার আরও একটি সূত্রে জানা গিয়েছিল, রাজা বীরেন্দ্র ক্রমেই সাংবিধানিক রাজতন্ত্রের নীতি নিচ্ছিলেন। যেখানে রাজপরিবারের ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ হবে। ফলে কমবে রাজার ক্ষমতা। এই বিষয় নিয়েও নাকি সিংহাসনের পরবর্তী দাবিদার দীপেন্দ্র বাবার উপর রেগে গিয়েছিলেন। যদিও এই কারণগুলি তাঁকে পরিবারকে হত্যা করার মতো চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছিল কি না তা জানা যায়নি।
তিন দিন পর মৃত্যু হয় দীপেন্দ্রের। নতুন রাজা হন দীপেন্দ্রের কাকা জ্ঞানেন্দ্র। তার পরেই শুরু হয় নেপালের রাজপরিবারের বিরুদ্ধে নেপালের জনগণের বিক্ষোভ। সম্ভবত নেপালের রাজতন্ত্রের শেষের সেটাই শুরু। একদা নেপালের রাজবাড়ির সদস্যদের ‘দেবতার দূত’ ভাবা নেপালের জনতা রাজপরিবারকে ১৫ দিন সময় দেয় রাজপ্রাসাদ ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য।
যে দেবযানীকে নিয়ে এই ঘটনার সূত্রপাত বলে বোঝাতে চেয়েছিল রাজপরিবার, তিনি জানিয়েছিলেন, দীপেন্দ্র সে দিন মত্ত অবস্থায় ছিলেন। এমনকি, রাজবাড়িতে তাঁর নিজের ঘরের ফোন নম্বর থেকে তিন বার ফোনও করেছিলেন তাঁকে। কিন্তু মদ্যপান করায় ঠিক করে কথাই বলতে পারছিলেন না দীপেন্দ্র। যদিও শেষ বার ফোনে তাঁকে জানিয়েছিলেন, তিনি ঘুমোতে যাচ্ছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy