সে গ্রামের বাতাসে নাকি সব সময় ভেসে বেড়ায় কারও আর্তনাদ। কেউ যদি ভুল করেও সেই গ্রামে ঢুকে পড়ে, তা হলে তার বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা খুবই কম। প্রায়শই সেই গ্রামকে নিয়ে লেখালিখি হয় পত্রপত্রিকায়। কিন্তু, সেই গ্রামটিকে খুঁজে পাওয়া দুরূহ। কারণ দেশের মানচিত্রে কোথাও সেই গ্রামটিকে দেখতে পাওয়া যায় না। জাপানের ইনুনাকি নামের গ্রামটিকে তাই ‘ভূতুড়ে গ্রাম’ বলে ডাকেন অনেকে। কিন্তু অতিপ্রাকৃত বিষয়ের বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, গ্রামটি নিজেই একটা প্রহেলিকা। সে নিজেই যেন এক ‘প্রেত’।
জাপানের মানচিত্রে খোঁজ পাওয়া না গেলেও কিংবদন্তিতে রীতিমতো ‘জীবন্ত’ ইনুনাকি গ্রাম। লোক পরম্পরায় জানা যায়, ফুকুয়োকা প্রিফেকচারে নাকি এই গ্রাম অবস্থিত। এর এক দিকে ইনুনাকি পর্বত, অন্য দিকে ইনুনাকি গাওয়া নামে এক নদী। জনশ্রুতি, এই গ্রামের বাসিন্দারা দেশের সংবিধান একেবারেই মানতে রাজি নন। গ্রামের বাইরে নাকি একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া রয়েছে যে— “এই গ্রামে জাপানের সংবিধান কার্যকর নয়।”