গত ২০০ বছরে অনেক চেষ্টা হয়েছে। অনেক ইতিহাসবিদ মনে করেন টমাস বিল নামে কেউ কখনও ছিলেন না। অনেক অভিযানকারী মনে করেন, বিলের রেখে যাওয়া সম্পদ বহু যুগ আগেই লোকজন মাটি খুঁড়ে হাতিয়ে নিয়েছে। সঙ্কেতের পাঠোদ্ধারও হয়ে গিয়েছে। অনেকে আবার হাল ছেড়ে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, সঙ্কেতের ধাঁধার পাঠোদ্ধার সম্ভব নয়। কিন্তু আসল সত্যিটা আজও অধরা।
১৮২২ সালে আবার পশ্চিমে অভিযানের ডাক পড়ে বিলের। বুঝতে পারেন নিজের ধনসম্পদ নিয়ে আর পশ্চিমে পাড়ি দিতে পারবেন না তিনি। তাই লুকিয়ে রাখা সম্পদের হদিস জানিয়ে তিনটি সঙ্কেত তৈরি করেন। প্রথমটিতে রয়েছে সম্পদ লুকিয়ে রাখার ঠিকানা। দ্বিতীয় সঙ্কেতে লেখা রয়েছে, সম্পদের হিসাব। তৃতীয় সঙ্কেতে বলা হয়েছে, ওই সম্পদ উদ্ধার হলে তার মালিক কে হবেন।
সঙ্কেতের মানে বোঝার দায়িত্ব নেন গবেষক জেমস বি ওয়ার্ড। তিনিও বুঝতে পারেননি প্রথম সঙ্কেতের মানে। ১৮৮৫ সালে সেই সঙ্কেত লিখে প্রচারপুস্তিকা ছাপান জেমস। তার পর সেই প্রচারপুস্তিকা গোটা ভার্জিনিয়ায় বিলি করে দেন তিনি। জানান, কেউ যদি সঙ্কেতের পাঠোদ্ধার করে সোনা-রুপোর হদিস দিতে পারেন, তা হলে সম্পদের মালিক হবেন তিনিই।
এর পর বহু বছর কেটে গিয়েছে। কম্পিউটারের কোড ব্রেকিং প্রোগ্রামের মাধ্যমে সঙ্কেত ভাঙার চেষ্টা হয়েছে। লাভ হয়নি। দ্বিতীয় সঙ্কেত, যার পাঠোদ্ধার প্রায় ১৮০ বছর আগেই হয়ে গিয়েছে, সেটিরও ব্যাখ্যা দিতে পারেনি যন্ত্র। গবেষকদের মতে, দ্বিতীয় সঙ্কেত এত সহজ হলে প্রথম দু’টি এত কঠিন কেন হবে? তাঁদের দাবি, আসলে কোনও গুপ্তধনই ছিল না। আবার অন্য একটি পক্ষ মনে করে, সঙ্কেত দু’টি খুবই সহজ। সে কারণে তার পাঠোদ্ধার আগেই হয়ে গিয়েছে। বাকিরা অকারণে তা জটিল করে দেখছে আর গোলকধাঁধা তৈরি করছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy