সোমবার ভোরের ভূমিকম্প ঝাঁকিয়ে দিয়ে গিয়েছে তুরস্ক দেশটার দক্ষিণ ভাগ এবং সীমান্ত সংলগ্ন সিরিয়ার কিছু অংশকে। তার পর থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় লাফ দিয়ে দিয়ে বেড়েছে মৃতের সংখ্যা। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত পাওয়া হিসাব— তুরস্ক এবং সিরিয়ায় সোমবারের ভূমিকম্পে মারা গিয়েছেন পাঁচ হাজার মানুষ। চারপাশ থেকে বেরিয়ে আসছে একের পর এক মৃতদেহ। তবু তার পাশেই ধ্বংসস্তূপে জীবনের খোঁজ চলছে সমান্তারাল ভাবে।
সে ভাবেই এলবিস্তানের বহুতলের নীচে খুঁজে পাওয়া গেল ১৪ বছরের এই কিশোরকে। তার বাবা-মা বা কোনও আত্মীয়েরই খোঁজ আপাতত পাওয়া যায়নি। জানা যায়নি নাম। কারণ কংক্রিটের আঘাতে গুরুতর জখম ওই কিশোরের নিজের নাম বলার ক্ষমতাও নেই। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে উদ্ধারকারী দল। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত কেউ খোঁজও করেনি ওই কিশোরের।
দুঃস্বপ্নময় ঝাঁকুনি খেয়ে শুরু হয়েছিল যে সোমবার, তার রাতটা খোলা আকাশের নীচেই কাটিয়েছে তুরস্ক-সিরিয়ার একটা বড় অংশ। পদে পদে কেঁপে উঠেছে মাটি। আতঙ্কের জেরে ছাদ রয়েছে এমন কিছুর নীচে আশ্রয় নিতেই ভয় পেয়েছেন সাধারণ মানুষ। ফলে তুষারপাতের রাত কেটেছে বাইরেই। আগুন জ্বেলে রাস্তার ধার ঘেঁষে বসেছেন মানুষ। জমে যাওয়া শরীর আর বিভ্রান্ত মন নিয়ে আগুনের পাশে ভিড় জমিয়েছেন।
সোমবারের ভূমিকম্পের পর সিরিয়া এবং তুরস্কের জন্য প্রার্থনা করেছে গোটা বিশ্ব। সত্যিই এই দুই দেশের জন্য প্রার্থনা দরকার। কিন্তু তার পাশাপাশি দরকার সাহায্য। ধ্বংসস্তূপে একের পর এক চাঙড় ভেঙে দেহ খুঁজছিলেন ইসমাইল আল আবদুল্লা। সিরিয়ার মানবতাবাদী সংগঠনের সদস্য তিনি। দুর্যোগে তাঁরাও উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছেন। ইসমাইলের কথায়, ‘‘আমাদের জন্য প্রার্থনা জরুরি। তবে তারও আগে দরকার সাহায্য। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলিকে বলব দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy