অরোরা স্কাই ক্যাস্টনারের শিশু বয়সের লেখা পড়ে তাঁর পরামর্শদাতা মোনা হ্যাম্বির মনে হয়েছিল, ছোট্ট মেয়েটি অসাধারণ। সেই লেখাটি আজও নিজের সঙ্গে রেখে দিয়েছেন তিনি।
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
টেক্সাসশেষ আপডেট: ১১ জুন ২০২৩ ১২:১৮
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৮
হাই স্কুলে পড়ার সময় থেকেই হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢোকার আবেদনপত্র জমা দিয়েছিলেন। সেই আবেদনপত্রের সঙ্গে তাঁর লেখা প্রবন্ধের প্রথম লাইনটি ছিল, ‘আমার জন্ম জেলকুঠুরিতে’। না! কোনও কল্পকথা লেখেননি আমেরিকার ওই কিশোরী পড়ুয়াটি।
ছবি: সংগৃহীত।
০২১৮
ওই প্রবন্ধে নিজের জীবনকাহিনি শুনিয়েছিলেন টেক্সাসের মন্টগোমরি কাউন্টির বাসিন্দা অরোরা স্কাই ক্যাস্টনার। এর পর হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার টিকিট জুটে গিয়েছে তাঁর। পাতাঝরার আসন্ন মরসুমে হার্ভার্ডের ক্যাম্পাসে পাড়ি দেবেন তিনি।
ছবি: সংগৃহীত।
০৩১৮
অরোরার এ হেন ‘কীর্তির’ কথা নিয়ে হইচই শুরু হয়েছে তাবড় সংবাদমাধ্যমে। আমেরিকার ‘পিপল’ থেকে ‘নিউ ইয়র্ক পোস্ট’-এ তাঁর কাহিনি ফলাও করে প্রকাশিত হয়েছে।
ছবি: সংগৃহীত।
০৪১৮
১৮ বছর আগে নিজের অপরাধের সাজা কাটানোর সময় এক কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন টেক্সাসের জেলবন্দি এক কয়েদি। তবে সদ্যোজাতকে বেশি দিন জেলে কাটাতে হয়নি। জন্মের কয়েক দিন পরেই তাঁকে জেল থেকে বাড়ি নিয়ে যান ওই কয়েদির স্বামী। নিজের জীবনের গোড়ার এ কথা প্রবন্ধে লিখেছেন অরোরা।
প্রতীকী ছবি।
০৫১৮
মন্টগোমরির গ্যালভেস্টন কাউন্টি জেলে অরোরার জন্ম হয়েছিল ১৮ বছর আগে। তবে জন্মের কয়েক দিন পর থেকে তাঁকে বাড়িতে এনে প্রায় একার হাতে মানুষ করে তুলেছেন বাবা। বাবার সঙ্গেই নানা জায়গায় বেরিয়েছেন বলে জানিয়েছেন অরোরা। তবে মন্টগোমরিতে তাঁর নিজের এলাকা কনরো ছেড়ে কোথাও বেশি দিন থাকেননি।
প্রতীকী ছবি।
০৬১৮
হার্ভার্ডে পড়াশোনার স্বপ্নপূরণে কনরোর বাসিন্দাদেরও অবদান রয়েছে বলে জানিয়েছেন অরোরা। এবং অবশ্যই রয়েছে তাঁর পরামর্শদাতা মোনা হ্যাম্বির অবদান।
ছবি: সংগৃহীত।
০৭১৮
মে মাসের শেষ দিকে কনরো হাই স্কুলের রেজাল্ট বেরিয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, হাই স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষায় তৃতীয় হয়েছেন অরোরা। এর পর আরও একটি সুখবর আসে তাঁর কাছে। হার্ভার্ডের স্কলারশিপ জুটে গিয়েছে।
প্রতীকী ছবি।
০৮১৮
ছোট থেকেই পড়াশোনায় ঝোঁক অরোরার। তাঁর প্রতিভা নজরে পড়েছিল স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে স্কুলকর্মীদেরও। মূলত তাঁদের প্রচেষ্টায় কনরো ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্কুল ডিস্ট্রিক্ট (সিআইএসডি) ‘প্রজেক্ট মেন্টর’ নামে একটি প্রকল্পের আওতায় অরোরার ঠাঁই হয়।
প্রতীকী ছবি।
০৯১৮
‘প্রজেক্ট মেন্টর’ প্রকল্প অনুযায়ী, কনরোর বাসিন্দাদের সঙ্গে এলাকার বাছাই করা পড়ুয়াদের নানা ভাবে সাহায্যের জন্য এক মেন্টর বা পরামর্শদাতা নিযুক্ত করা হয়। যাতে ওই পড়ুয়াদের সার্বিক উন্নতি করতে পারেন তিনি।
প্রতীকী ছবি।
১০১৮
এই প্রকল্পের শর্ত মেনে হাই স্কুলের পড়াশোনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত পড়ুয়াদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন তাঁদের পরামর্শদাতা। প্রতি সপ্তাহে আধ ঘণ্টার জন্য পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করা বা একসঙ্গে দুপুরে খাওয়াদাওয়াও প্রকল্পের অঙ্গ।
প্রতীকী ছবি।
১১১৮
পরামর্শদাতা হিসাবে শিশু বয়সেই মোনা হ্যাম্বির সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল অরোরার। হার্ভার্ডের টিকিট পাওয়ার ক্ষেত্রে মোনার অবদানও অনস্বীকার্য বলে মত তাঁর। সংবাদমাধ্যমের কাছে অরোরা বলেন, ‘‘মোনার কাছ থেকে যে শিক্ষা পেয়েছি, তার মূল্য অপরিসীম। একই ভাবে বলতে গেলে মোনার সঙ্গে দেখা হওয়ার আগে যা কিছু শিখেছি, তা-ও অমূল্য।’’
ছবি: সংগৃহীত।
১২১৮
অরোরার প্রতিভা নিয়ে বিন্দুমাত্র সন্দিহান নন মোনা। আমেরিকার সংবাদমাধ্যম ‘ক্যুরিয়র’-এর কাছে তিনি বলেন, ‘‘অরোরার সম্পর্কে একটা লেখা পড়েছিলাম। সেখান থেকে জানতে পারি, ওঁর আদর্শ হল রোজ়া পার্কস। ট্যাকো খেতে খুব ভালবাসে। এবং পড়তে অত্যন্ত আগ্রহী।’’
ছবি: সংগৃহীত।
১৩১৮
অরোরার সম্পর্কে তাঁর শিশু বয়সের ওই লেখা পড়ে খুঁটিনাটি জানার পর মোনার মনে হয়েছিল, ‘‘এই ছোট্ট মেয়েটি সাধারণ হতে পারে না। ওই লেখাটা এখনও আমার কাছে রয়েছে।’’
ছবি: সংগৃহীত।
১৪১৮
বেড়ে ওঠার প্রতিটি বাঁকেই মোনার উপস্থিতি ছিল বলে জানিয়েছেন অরোরা। তা সে স্যালোঁতে গিয়ে প্রথম বার চুলের কেতা করা হোক বা দাঁতের চিকিৎসকের কাছে যাওয়া।
ছবি: সংগৃহীত।
১৫১৮
হার্ভার্ডে ভর্তির সুযোগ পাওয়ায় অনেকে আগে থেকেই অরোরাকে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ঘুরতে নিয়ে গিয়েছিলেন মোনা। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্বামী র্যান্ডি হ্যাম্বি। বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবন কেমন হয়, তা অরোরাকে চাক্ষুষ করানোই উদ্দেশ্য ছিল।
ছবি: সংগৃহীত।
১৬১৮
গত বছরের মার্চে অরোরাকে নিয়ে হার্ভার্ডের সফরে বেরিয়ে পড়েছিলেন হ্যাম্বি দম্পতি। মোনা বলেন, ‘‘ওই সফরের শেষে পড়াশোনায় ডুবে গিয়েছিল অরোরা।’’
প্রতীকী ছবি।
১৭১৮
হার্ভার্ডের টিকিট পেতে বস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জেমস ওয়ালেশের সাহায্যও কাজে এসেছে বলে মত অরোরার। তিনি বলেন, ‘‘হার্ভার্ডের কাছে জমা দেওয়ার জন্য আবেদনপত্র তৈরিতে খুবই সাহায্য করেছিলেন ওয়ালেশ। আবেদনপত্রের প্রবন্ধে নিজের কাহিনি যতটা সম্ভব গুছিয়ে লেখার কথাও বলেছিলেন তিনি।’’
ছবি: সংগৃহীত।
১৮১৮
মোনার সঙ্গ থেকে ওয়ালেশের পরামর্শ, সবই কাজে এসেছে। আজকাল হার্ভার্ডের ক্যাম্পাসে যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন অরোরা। তিনি বলেন, ‘‘হার্ভার্ডের কলেজে পড়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছি।’’