ক্যাথরিন এবং কেনের সম্পর্কের গাথা ছোট্ট রক্ষণশীল শহর টেনটারফিল্ডে অচিরেই ছড়িয়ে পড়েছিল। বারবারা গর্ভবতী হতেই তাঁকে ছেড়ে চলে যান কেন। তাঁর স্বামী বারবারা এবং ক্যাথরিন দু’জনকেই আশ্রয় দেন। মুখে মেয়ে হিসাবে মেনে নিলেও মন থেকে ক্যাথরিনকে মেয়ে হিসাবে মানতে পারেননি বারবারার স্বামী এবং পরিবারের বাকি সদস্যরা।
নিজের উপর হওয়া নির্যাতনের ‘ঝাল’ স্কুলে অন্য বাচ্চাদের উপর মেটাতেন ক্যাথরিন। বাকি বাচ্চাদের মারধর করা এবং ভয় দেখানোর অপরাধে ক্যাথরিনকে স্কুল থেকে বার করে দেওয়া হয়। পরিবার থেকে তাঁকে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেই কাজ ছেড়ে মাত্র ১৬ বছর বয়সে ক্যাথরিন একটি কসাইখানায় কাজ করতে শুরু করেন।
বিয়ের পরের রাতে ক্যাথরিন এবং ডেভিড তিন বার যৌনসঙ্গম করেন। এর পর ডেভিড হাঁফিয়ে যান। কিন্তু ক্যাথরিন তাঁকে আরও এক বার যৌনসঙ্গম করার জন্য জোর করতে থাকেন। ডেভিড ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়লে ক্যাথরিন তাঁকে গলা টিপে খুন করার চেষ্টা করেন। ডেভিডের ঘুম ভেঙে যাওয়ায় তিনি ক্যাথরিনকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেন। এর পরও সেই সম্পর্ক ১২ বছর চলেছিল।
এক দিন সন্ডার্সের সামনেই তাঁর পোষা কুকুর ডিঙ্গোর গলা কেটে খুন করেন ক্যাথরিন। এর পর থেকে ক্যাথরিনকে রীতিমতো ভয় পেতে শুরু করেন সন্ডার্স। আরও এক বছর একসঙ্গে থাকেন যুগল। এক কন্যাসন্তানেরও জন্ম দেন ক্যাথরিন। মেয়ের জন্মের পর পরই এক দিন ঝামেলার সময় সন্ডার্সকে কাঁচি দিয়ে খুন করার চেষ্টা করেন ক্যাথরিন। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে সন্ডার্স বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান।
এর পর জন চিলিংওয়ার্থ নামে এক জনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন ক্যাথরিন। তাঁরা একসঙ্গে ৩ বছর ছিলেন এবং সেই সময় ক্যাথরিন প্রথম পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। ক্যাথরিন এবং জনের সম্পর্ক ভালই ছিল। এর পর চার্লস থমাস প্রাইস নামে এক খনি শ্রমিকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ক্যাথরিন। আস্তে আস্তে ক্যাথরিনের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে আলাদা থাকতে শুরু করেন জন।
চার্লসকে খুনের পর দেহ টানতে টানতে ঘরের বাইরে নিয়ে যান ক্যাথরিন। মৃতদেহের শরীর থেকে চামড়া ছাড়িয়ে তা মাংস ঝুলিয়ে রাখার হুকে আটকে দেন। দেহ থেকে মুন্ডু কেটে নিয়ে টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলা হয় বাকি দেহাংশ। শুধু তা-ই নয়, শরীরের টুকরোগুলি আলু, কুমড়ো, পেঁয়াজ, বিট, বাঁধাকপি, স্কোয়াশের সঙ্গে রান্না করে একটি স্যুপ তৈরি করেন। তৃপ্তি করে সেই স্যুপের অনেকটা খেয়েও ফেলেন ক্যাথরিন। ওষুধ খেয়ে বাকি দেহাবশেষের পাশেই ঘুমিয়ে পড়েন।
চার্লস কাজে আসা বন্ধ করার কয়েক দিনের মধ্যে তাঁর সহকর্মীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ক্যাথরিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আদালতে ক্যাথরিনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়। পুলিশ আদালতে জানায়, চার্লসের শরীরের অঙ্গগুলি তাঁর সন্তানদেরও রান্না করে খাওয়ানোর পরিকল্পনা করেছিলেন ক্যাথরিন। খুন করার নৃশংসতা হতবাক করেছিল বিচারককে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy