Story of Mexican village where every human and animals are blind dgtl
Tiltepec Village in Mexico
দেখতে পায় না একটি প্রাণীও, জন্মের পর দৃষ্টিশক্তি হারায় শিশুরা! রহস্যময় গ্রাম ‘টিলটেপেক’
জন্মলগ্ন থেকেই পৃথিবী নানা রহস্যে ঘেরা। সে রকমই এক রহস্য ‘টিলটেপেক’ গ্রাম। রহস্যে মোড়া মেক্সিকোর এই গ্রামের অপর নাম ‘ভিলেজ অফ ব্লাইন্ড’।
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতাশেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৩ ১২:২১
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৯
জন্মলগ্ন থেকেই পৃথিবী নানা রকমের রহস্যে ঘেরা। এমনও কিছু রহস্য পৃথিবীর বুকে রয়েছে যার উত্তর আজ পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। সে রকমই এক রহস্য ‘টিলটেপেক’ গ্রাম।
০২১৯
রহস্যে মোড়া মেক্সিকোর এই গ্রামের অপর নাম ‘ভিলেজ অফ ব্লাইন্ড’। অর্থাৎ, ‘অন্ধদের গ্রাম’।
০৩১৯
‘টিলটেপেক’ গ্রামের মানুষ থেকে শুরু করে গবাদি পশু, বন্য প্রাণী অর্থাৎ, এই গ্রামে বসবাসকারী প্রতিটি জীবন্ত প্রাণী চোখে দেখতে পায় না।
০৪১৯
বিশ্বাস করতে কষ্ট হলেও সত্যি সত্যিই ‘টিলটেপেক’ গ্রামের অস্তিত্ব রয়েছে। এবং সত্যিই এই গ্রামের প্রতিটি মানুষ এবং প্রাণী অন্ধ।
০৫১৯
মেক্সিকোর গভীর অরণ্যে থাকা ছোট্ট এই গ্রামে ‘জাপোটেক’ প্রজাতির বাস। ৩০০-রও বেশি জাপোটেক পরিবার এই গ্রামে বাস করেন।
০৬১৯
‘টিলটেপেক’ গ্রামটি মেক্সিকোর গভীর জঙ্গলে। সভ্যতা ও উন্নয়ন থেকে বহু ক্রোশ দূরে।
০৭১৯
এই গ্রামের বাসিন্দারা মূলত, বাজরা, শিম এবং লঙ্কা খেয়ে দিন গুজরান করেv। প্রচুর পরিমাণে মদও পান করেন ‘জাপোটেক’ প্রজাতির মানুষেরা। মদ খেয়ে আগুনের চারপাশে নাচ করা এই গ্রামের অন্যতম উৎসব।
০৮১৯
টিলটেপেক গ্রামে প্রায় ৭০টি কুঁড়ে ঘর রয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে কোনও ঘরেই দরজা-জানালা নেই।
০৯১৯
এই গ্রামে জন্ম নেওয়া সব শিশুই প্রাথমিক ভাবে আর পাঁচটা শিশুর মতো সুস্থ ও সবল হয়। কিন্তু কালের নিয়মে অদ্ভুত ভাবে এক সপ্তাহের মধ্যেই তারা দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলে।
১০১৯
এই এলাকার বাসিন্দাদের মতে, এই গ্রামে পাখি উড়ে না। তাঁদের দাবি, এই গ্রামের উপর দিয়ে ওড়ার সময় তারা অন্ধ হয়ে যায় এবং বড় বড় গাছে গিয়ে ধাক্কা মেরে সেখানেই মারা যায়।
১১১৯
কিন্তু কেন এই গ্রামের প্রাণীরা চোখে দেখতে পায় না? টিলটেপেকের বাসিন্দারা কেন দৃষ্টিশক্তি হারাচ্ছেন তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছিল মেক্সিকোর স্থানীয় প্রশাসন এবং বিজ্ঞানীরা। গ্রামের বাসিন্দাদের বিশ্বাস, একটি অভিশপ্ত গাছের কারণেই এই গ্রামের সব প্রাণী অন্ধ।
১২১৯
স্থানীয়দের মতে, টিলটেপেকের বাসিন্দাদের অন্ধ হওয়ার কারণ ‘লাভজুয়েলা’ নামের একটি গাছ। যদিও বিজ্ঞানীরা এখনও পর্যন্ত এই গাছের অস্তিত্ব খুঁজে পাননি।
১৩১৯
তবে স্থানীয়দের দাবি, ওই গাছ গ্রামের মধ্যেই রয়েছে। সেই গাছের অভিশাপেই নাকি গ্রামবাসীদের এই অবস্থা।
১৪১৯
বিজ্ঞানীদের ধারণা, টিলটেপেক গ্রামের বাসিন্দাদের অন্ধ হওয়ার নেপথ্যে রয়েছে ‘ব্ল্যাক ফ্লাই’ নামের এক বিষাক্ত মাছি।
১৫১৯
বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন, মেক্সিকোর ওই ঘন জঙ্গলে প্রচুর পরিমাণে ব্ল্যাক ফ্লাই মাছি রয়েছে। যা প্রচুর পরিমাণে দেখতে পাওয়া যায় টিলটেপেক গ্রামেও।
১৬১৯
এই বিষাক্ত মাছির কামড়ে সারা শরীরে জীবাণু ছড়ায়। জীবাণুর অভিঘাত এতটাই বেশি যে, এর সরাসরি প্রভাব পড়ে চোখের স্নায়ুর ওপর। তবে এর বিপক্ষ মতও রয়েছে।
১৭১৯
আর সেই কারণেই এই গ্রামের শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ এবং পশুপাখি ধীরে ধীরে দৃষ্টিশক্তি হারাতে থাকে।
১৮১৯
মেক্সিকোর সরকার যখন প্রথম টিলটেপেকের সম্পর্কে জানতে পারে, তখন এই গ্রামের বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
১৯১৯
কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে গ্রামবাসীদের অনেকে অসুস্থ হয়ে যান। বেশ কয়েক জন মারাও যান। এর পর তাঁদের আবার টিলটেপেকে ফিরিয়ে দিয়ে আসা হয়।