মাথার উপরে মা-বাবার ছায়া থাকলেও অনাথের মতো মানুষ হয়েছেন। মেয়ে বলে জুটেছে গঞ্জনাও। এমনকি, ছাড়তে হয়েছে স্কুলের পড়াশোনা। ‘দুশ্চরিত্রা’ অপবাদে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় তাড়িয়ে দিয়েছিলেন স্বামী। তবে শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও হার মানেননি সিন্ধুতাই। সারা জীবন ধরে তিল তিল করে জমানো সাহস আর জেদে ভর করেই আশ্রয় দিয়েছিলেন হাজার অনাথ শিশুকে। হয়ে উঠেছিলেন ‘অনাথের মা’!
চলতি মাসের ৪ তারিখ পুণের একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রয়াত হন সিন্ধুতাই। বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। তাঁর মৃত্যুসংবাদে শোকজ্ঞাপন করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে থেকে শুরু করে সমাজের বহু বিশিষ্ট। তবে এক দিনে সমাজের ‘বিশিষ্টদের’ মাঝে জায়গা করে নেননি সিন্ধুতাই।