Seema Haider writes petition to president Droupadi Murmu and cited names of bollywood stars dgtl
Seema Haider
এ বার রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন, আর্জিতে দুই বলি তারকার নাম লিখলেন ‘প্রেমের টানে ভারতে আসা’ সীমা
সীমা-সচিন জুটি বর্তমানে সারা দেশ জুড়ে চর্চায় রয়েছেন। কারণ পাকিস্তান থেকে নেপাল হয়ে চার সন্তান-সহ অবৈধ ভাবে ভারতে প্রবেশ করে সচিনের সঙ্গে সংসার গড়ে তুলেছেন সীমা।
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতাশেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২৩ ১৩:৩৭
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৫
অনলাইনে গেম খেলার মাধ্যমে পরিচয়, বার্তালাপ চালাচালি থেকে বন্ধুত্ব। বন্ধুত্ব থেকে প্রেম। তার পর নেপালে সাত পাকে বাঁধা পড়েন সীমা হায়দার এবং তাঁর প্রেমিক সচিন মিনা।
০২১৫
কিন্তু সীমা-সচিন জুটি বর্তমানে দেশ জুড়ে চর্চায় রয়েছেন। কারণ পাকিস্তান থেকে নেপাল হয়ে চার সন্তান-সহ ভারতে অবৈধ ভাবে প্রবেশ করে সচিনের সঙ্গে সংসার গড়ে তুলেছেন সীমা।
০৩১৫
পাকিস্তানে নয়, ভারতেই থাকতে চান। স্বামী, সন্তান, শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের কাছে শান্তি এবং ভালবাসা খুঁজে পেয়েছেন, এমনটাই দাবি করেছেন সীমা। ভারতের নাগরিকত্ব চেয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুমুর্র কাছে ক্ষমা চেয়ে আবেদনও করেছেন তিনি।
০৪১৫
রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদনে সীমা জানিয়েছেন, তিনি সচিনের সঙ্গে বিয়ের আগেই হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। তার পর নেপালের কাঠমান্ডুর পশুপতিনাথ মন্দিরে হিন্দু মতে সচিনের সঙ্গে বিয়ে করেছেন তিনি।
০৫১৫
আবেদনপত্রে রোমিও-জুলিয়েট এবং লয়লা-মজনুর মতো জুটির কথাও রাষ্ট্রপতির কাছে উল্লেখ করেছেন সীমা। সচিন এবং তাঁর প্রেমকাহিনি যে ‘অমর’, সীমা যেন তারই আভাস দিলেন।
০৬১৫
তবে আবেদনপত্রে শুধু নিজের কথাই উল্লেখ করেননি সীমা। চিঠিতে উঠে এসেছে বলিউড জগতের দুই তারকার নামও।
০৭১৫
আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে বলি অভিনেতা অক্ষয় কুমারের নাম। সীমার দাবি, কানাডার নাগরিকত্ব থাকা সত্ত্বেও অক্ষয় ভারতের নাগরিক।
০৮১৫
শুধু অক্ষয় নন, তাঁর পাশাপাশি আবেদনপত্রে সীমা এক বলি অভিনেত্রীর নামও উল্লেখ করেছেন।
০৯১৫
সীমা আবেদনপত্রে লিখে জানান, বলি অভিনেত্রী আলিয়া ভট্টের কাছেও নাকি দু’জায়গার নাগরিকত্ব রয়েছে। ভারতের নাগরিক হয়েও ব্রিটিশ নাগরিকত্ব রয়েছে আলিয়ার কাছে। এমনটাই দাবি সীমার।
১০১৫
সীমার দাবি, যদি অক্ষয় এবং আলিয়ার মতো তারকারা অন্য দেশের নাগরিক হয়েও ভারতে থাকতে পারেন তা হলে সীমার ক্ষেত্রেও কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
সীমাকে কেন্দ্র করে নানা বিতর্ক দানা বেঁধেছে। একাংশের অনুমান, প্রেমের টানে ভারতে আসেননি সীমা। তিনি আসলে পাকিস্তানের গুপ্তচর।
১৩১৫
এমনকি এ-ও সন্দেহ করা হচ্ছে যেসীমা কোনও সাধারণ মহিলা নন। তাঁর জীবনে অনেক রহস্যই গোপন রয়েছে। সেই রহস্যোদ্ঘাটনে তৎপর হয়েছেন তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা।
১৪১৫
তাই বলিপাড়ার এত তারকা থাকতে হঠাৎ অক্ষয় এবং আলিয়ার নাম উল্লেখ করার নেপথ্যে বিশেষ কোনও কারণ রয়েছে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তবে সীমার দাবি, ভারতের নাগরিকত্ব পেতে তদন্তকারী সংস্থাকে সব রকম ভাবে সহায়তা করতে রাজি তিনি।
১৫১৫
রাষ্ট্রপতিকে আবেদন জানানোর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন সীমা। তাঁকে যেন পাকিস্তানে ফেরত পাঠিয়ে না দেওয়া হয়, যেন ভারতেই তিনি থাকতে পারেন, সেই আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি।