Scientists explained the possible cause of gravity hole inside the Indian Ocean dgtl
Gravity Hole in Indian Ocean
ভারত মহাসাগরের নীচে বিশাল গর্ত, মাধ্যাকর্ষণের টানে কি বসে যাচ্ছে সমুদ্র?
শ্রীলঙ্কার ঠিক দক্ষিণে ভারত মহাসাগরের নীচে অনেকটা অংশ জুড়ে গর্ত রয়েছে। এর বিস্তৃতি প্রায় ৩০ লক্ষ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে। দীর্ঘ দিন ধরেই এই গর্ত বিজ্ঞানীদের কৌতূহলের কেন্দ্রে।
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতাশেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৩ ০৮:৪৫
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৫
ভারত মহাসাগরের নীচে বিশাল গর্ত। সমুদ্রের মেঝেতে অনেকটা এলাকা জুড়ে তার বিস্তৃতি। দীর্ঘ দিন ধরেই এই গর্তটি বিজ্ঞানীদের কৌতূহলের কেন্দ্রে।
০২১৫
শ্রীলঙ্কার ঠিক দক্ষিণে ভারত মহাসাগরের নীচে এই গর্তটিকে ‘গ্র্যাভিটি হোল’ বা মাধ্যাকর্ষণজাত গর্ত বলা হয়ে থাকে। পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ টানের কারণে গর্তটি তৈরি হয়েছে বলে দাবি বিজ্ঞানীদের।
০৩১৫
ভারত মহাসাগরের ‘গ্র্যাভিটি হোল’-এর বিস্তৃতি বিশাল। প্রায় ৩০ লক্ষ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই গর্তটি তৈরি হয়েছে। সমুদ্রের সবচেয়ে নীচের স্তরটির চেয়েও এই অঞ্চলটি গভীর।
০৪১৫
গর্তটিকে ঘিরে রহস্যের গন্ধ পাচ্ছেন অনেকে। সমুদ্রের নীচে বিশাল অংশ জুড়ে এই গর্তের কারণে অনেকের ধারণা, সমুদ্রের তলদেশ হয়তো নীচের দিকে বসে যাচ্ছে।
০৫১৫
এই গর্ত থেকে আগামী দিনে পৃথিবীর উপরিভাগের কোনও ক্ষতি হতে পারে কি না, বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে এই গর্তের কোনও সম্পর্ক আছে কি না, তা নিয়েও জল্পনা তৈরি হয়েছিল।
০৬১৫
পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্বল মহাকর্ষ বলের টানে সমুদ্রতলের কোনও অংশ নীচের দিকে বসে গেলে ‘গ্র্যাভিটি হোল’-এর সৃষ্টি হয়। ভারত মহাসাগরের নীচেও তা হয়েছে।
০৭১৫
কেন ভারত মহাসাগরের নীচে এই বিশাল গর্ত তৈরি হল, তার সম্ভাব্য কারণ আবিষ্কার করেছেন দুই ভারতীয় বিজ্ঞানী। তাঁরা বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের গবেষক দেবাঞ্জন পাল এবং আত্রেয়ী ঘোষ।
০৮১৫
‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটারস্’ নামক জার্নালে দেবাঞ্জন এবং আত্রেয়ীর গবেষণামূলক তত্ত্ব প্রকাশিত হয়েছে। কেন ভারত মহাসাগরের মাঝে ‘গ্র্যাভিটি হোল’ তৈরি হল, তা ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন তাঁরা।
০৯১৫
গবেষকদের দাবি, পৃথিবীর আকার একটি নিখুঁত গোলকের মতো বলে মনে করা হলেও আসলে পৃথিবী তেমন নয়। পৃথিবীপৃষ্ঠ কোথাও উঁচু, কোথাও নিচু, কোনও অংশ একটু বেশি সমতল।
১০১৫
ভারত মহাসাগরে তৈরি ‘গ্র্যাভিটি হোল’ আক্ষরিক অর্থে তেমন ‘গর্ত’ নয়, যা সমুদ্রের জল কমিয়ে দেয় বা শুষে নেয়। বরং এটি ভূত্বকের একটি অসঙ্গতিপূর্ণ স্থান, যেখানে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ টান অপেক্ষাকৃত দুর্বল।
১১১৫
গবেষকেরা কম্পিউটার মডেলের মাধ্যমে পৃথিবীপৃষ্ঠটিকে বিশ্লেষণ করেছেন। মাধ্যাকর্ষণজাত এই গর্তকে গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন তাঁরা।
১২১৫
১৪ কোটি বছর ধরে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভূপ্রকৃতিগত পরিবর্তন বিবেচনা করে দেখেছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের দাবি, এই ‘গ্র্যাভিটি হোল’-এর কারণে পৃথিবীর মহাদেশীয় এবং মহাসাগরীয় পাতগুলি বেশ কিছুটা সরে গিয়েছে।
১৩১৫
ভারত মহাসাগরের কেন্দ্রস্থলে দুর্বল মাধ্যাকর্ষ টানের কারণ হিসাবে ভূত্বকের নীচে পৃথিবীর ম্যান্টেল স্তরের গলিত ম্যাগমাকে দায়ী করা হচ্ছে। এই ম্যাগমাই দু’কোটি বছর আগে পৃথিবীর আকৃতি গড়ে দিয়েছিল।
১৪১৫
ভূত্বকের নীচ দিয়ে দু’কোটি বছর ধরে বয়ে চলেছে এই তরল তপ্ত ম্যাগমা। বিজ্ঞানীদের ধারণা, ম্যাগমার স্রোত যদি কখনও থমকে যায়, ভারত মহাসাগরের তলদেশে তৈরি হওয়া গর্তটিও মিলিয়ে যাবে।
১৫১৫
বাইরে থেকে দেখে ভারত মহাসাগরের তলদেশে গর্তের উপস্থিতি বোঝা সম্ভব নয়। তবে এই ‘গ্র্যাভিটি হোল’ নিয়ে আরও বিস্তারিত গবেষণা চলছে। আগামী দিনে এ বিষয়ে আরও নতুন তথ্য, নতুন ভাবনা উঠে আসতে পারে।