সূত্রের খবর, পাঁচ বছরের মেয়াদে ওই ঋণ নিতে চায় স্টেট ব্যাঙ্ক। এর জন্য সিটিবিসি ব্যাঙ্ক, এইচএসবিসি হোল্ডিংস এবং তাইপেই ফুবন ব্যাঙ্কের দ্বারস্থ হয়েছে এসবিআই। সংবাদমাধ্যম ‘ব্লুমবার্গ’-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ৯২.৫ বেসিস পয়েন্ট সুদের মার্জিনে ঋণ পেতে চলেছে এসবিআই। এই সুদের হার ঝুঁকিমুক্ত সুরক্ষিত এবং রাতারাতি অর্থায়নের হারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে জানা গিয়েছে।
১২৫ কোটি ডলারের ঋণ নেওয়ার ব্যাপারে অবশ্য সরকারি ভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি এসবিআই। তবে সূত্রের খবর, তিনটি বিদেশি ব্যাঙ্কের থেকে ওই অর্থ হাতে পেলে তা ‘গুজরাট ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্সিয়াল টেক সিটি’-এর (গিফ্ট সিটি) শাখায় ব্যবহার করবে স্টেট ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। অহমেদাবাদের কাছে ৮৮৬ একর জমির উপরে অত্যাধুনিক বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে যা ধীরে ধীরে আত্মপ্রকাশ করছে।
কেন হঠাৎ আরবিআইকে বাদ দিয়ে বিদেশি ব্যাঙ্ক থেকে ডলারে ঋণ নিচ্ছে এসবিআই? আর্থিক বিশ্লেষকদের দাবি, এর নেপথ্যে রয়েছে একাধিক কারণ। প্রথমত, গত কয়েক দিন ধরেই ডলারের তুলনায় ভারতীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন হচ্ছে। বর্তমানে ডলারের দাম বাড়তে বাড়তে প্রায় ৮৫ টাকায় পৌঁছে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে স্টেট ব্যাঙ্ক ডলারে ঋণ নিলে সেই পরিস্থিতি কিছুটা সামলানো যাবে বলে মনে করছেন তাঁরা।
দ্বিতীয়ত, তথ্য বলছে, চলতি বছরে দেশে ডলারে ঋণের পরিমাণ প্রায় ২৭ শতাংশ কমে গিয়েছে। ওই ঋণ কমে ১ হাজার ৪২০ কোটি ডলারে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। বড় সংস্থাগুলি ডলারে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে অনীহা দেখানোয় এটা তৈরি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতীয় অর্থনীতির জন্য ডলারে ঋণ কমে যাওয়াকে একেবারেই ভাল ভাবে দেখছেন না আর্থিক বিশ্লেষকেরা।
চলতি বছরের ১৩ নভেম্বর দেশের বড় ব্যাঙ্কগুলির মধ্যে এসবিআই, এইচডিএফসি এবং আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ককে ‘ঘরোয়া পদ্ধতিগত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাঙ্ক’-এর (ডোমেস্টিক সিস্টেমেটিক্যালি ইম্পর্টেন্ট ব্যাঙ্ক বা ডি-এসআইবি) তকমা দিয়েছে আরবিআই। আগামী বছরের (পড়ুন ২০২৫) ১ এপ্রিল থেকে স্টেট ব্যাঙ্ক এবং এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক উচ্চ বাফার প্রয়োজনীয়তাগুলি রিপোর্ট করবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy