Saudi Arabia is All set for creating new record in Mass execution dgtl
Saudi Arabia
Mass execution in Saudi: গণকোতলের নতুন রেকর্ড! এক দিনে ৮১, এ বছরে কি ২০০ পার করবে আরব?
২০২১ সালে ১৮৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় সৌদি আরব। যুবরাজ সলমন কথা দিয়েছিলেন, এ বছর সংখ্যা কমবে। অথচ ২০২২-এর প্রথমার্ধে ১২০ জনের প্রাণ গিয়েছে।
সংবাদ সংস্থা
দুবাইশেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০২২ ১৩:৪৩
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৫
গত বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে ১৮৬ জন অপরাধীকে কোতল করেছিল সৌদি আরব। এ বছর সবে অর্ধেক ঘুরেছে। অথচ এরই মধ্যে সৌদি আরবে মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা ১২০ পেরিয়ে গিয়েছে।
০২১৫
সংখ্যা দেখে আঁতকে উঠেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলি। তাদের প্রশ্ন, বছর শেষে কি তবে গণকোতলের সংখ্যা ২০০ ছাড়াবে আরবে? নির্বিচারে দেওয়া হবে মৃত্যুদণ্ড?
০৩১৫
অবশ্য চিন্তার আরও বিষয় আছে। পরিসংখ্যান এবং পুরনো রেকর্ড বলছে, যাঁদের কোতল করা হয়েছে, তাঁদের অনেকের অপরাধ আদপে অপরাধ হিসেবেই গণ্য করার মতো নয়।
০৪১৫
স্রেফ গণতন্ত্রের দাবি দাওয়া নিয়ে পথে নেমে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ দেখানোর জন্যও অনেকের মাথা কাটা গিয়েছে। অথচ বহু দেশে এমন প্রতিবাদ সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকারের মধ্যেই পড়ে। সেদিক থেকে দেখলে আরবের মানুষ তাঁদের মৌলিক অধিকার বুঝে নেওয়ার অপরাধে রাষ্ট্রের হাতে নিহত হয়েছেন।
০৫১৫
গত ১২ মার্চই এক সঙ্গে ৮১ জনকে গণকোতল করে সৌদি সরকার। যাঁদের শিরশ্ছেদ করা হয়, তাঁদের মধ্যে ৪১ জন পুরুষই ছিলেন সরকারবিরোধী গণবিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী।
০৬১৫
যদিও তাঁদের শাস্তি দেওয়ার আগে সৌদি সরকার অপরাধীদের পরিচয় বদলে দেয়। ‘বিক্ষোভকারী’র বদলে সরকার তাদের নাম দেয় ‘সন্ত্রাসবাদী’। তার পর দেওয়া হয় মৃত্যুদণ্ড।
০৭১৫
বাকি ৩৭ জনের অপরাধ ঠিক কী ছিল, তা জানাই যায়নি। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন গুলি প্রশ্ন তুলেছে, সৌদি আরবের এই গণকোতলের কি আদৌ কোনও স্বচ্ছতা আছে। না কি ক্ষমতা আর একাধিপত্যের খাঁড়া ইচ্ছামতোই নেমে আসে আমজনতার ঘাড়ে?
০৮১৫
পরিসংখ্যান বলছে এ যাবৎ যে ১২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে ১০১ জনই সৌদির নাগরিক।
০৯১৫
বাকি ১৯ জনের মধ্যে ছিলেন ন’জন ইয়েমেনের বাসিন্দা, তিন জন মিশরীয়, দু’জন ইন্দোনেশিয়ার বাসিন্দা এবং ইথিওপিয়া, মায়ানমার, জর্ডন, প্যালেস্তানিয়া এবং সিরিয়ার একজন করে।
১০১৫
সৌদি আরবের সমালোচকেরা বলছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সাধারণ অপরাধে দোষী সাব্যস্তদেরও কোতল করেই শাস্তি দেওয়া হয়েছে আরবে।
১১১৫
এমনকি, অনেক ক্ষেত্রে অপরাধীদের উপর অমানুষিক অত্যাচারের জন্যও তাঁরা অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন সৌদি সরকারের সমালোচকেরা। তার পর কোতল করা হয়েছে তাঁদের। বন্দিদের উপর অত্যাচার চালানোর এই ধারা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছিল সৌদি।
১২১৫
গত বছর সৌদিতে ১৮৬ জনকে মৃত্যু দেওয়া হয়েছে শুনে দেশটির শাস্তি প্রদানের নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল আন্তর্জাতিক মহল। যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন আল সাউদ তখন আশ্বস্ত করেছিলেন বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।
১৩১৫
এমনকি, অপরাধের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার প্রবণতাও কমানো হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বছর ঘুরতেই সেই প্রতিশ্রুতি ভোলে সৌদি সরকার।
১৪১৫
জুলাই মাস পর্যন্ত অর্থাৎ বছরের প্রথম সাত মাসের হিসেব বলছে মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা ১২০ ছাড়িয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। গত বছরের থেকে ৭০ শতাংশ বেড়েছে এই সংখ্যা। সামনে এখনও আরও পাঁচ মাস বাকি। সৌদিতে আরও অন্তত ১০ জনের মৃত্যুদণ্ডের খবর মিলেছে বিভিন্ন সূত্রে।
১৫১৫
দেখে শুনে মানবাধিকার সংগঠনগুলি প্রশ্ন তুলেছে, গণকোতলের রেকর্ডই কি সৌদি আরবের লক্ষ্য? তাতে কি তারা কৃতিত্ব অনুভব করছে? তা না হলে নির্বিচার এই মৃত্যুদণ্ড প্রদানে মানবিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও সরকারের এত উদাসীনতা কেন!