Russia launches secret military spacecraft into orbit to use in the Ukraine war dgtl
Russia
Russia Space: পৃথিবীর কক্ষপথের চার পাশে গোপন সামরিক মহাকাশ অভিযান রাশিয়ার! লক্ষ্য কোন দেশ?
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যবহারের জন্যই এই গোপন সামরিক উপগ্রহটি পাঠানো হয়েছে বলেও একাংশের ধারণা।
সংবাদ সংস্থা
মস্কোশেষ আপডেট: ০৪ মে ২০২২ ১২:৫৪
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৬
নতুন আঙ্গারা ১.২ রকেট ব্যবহার করে পৃথিবীর কক্ষপথের চার পাশে এক গোপন সামরিক মহাকাশ অভিযান শুরু করেছে ক্রেমলিনের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র। উঠে এল এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য।
০২১৬
২৯ এপ্রিল উত্তর-পশ্চিম রাশিয়ার আরখানগেলস্ক ওব্লাস্টের মিরনি শহরের প্লেসেটস্ক কসমোড্রোমে এই মহাকাশযান নিক্ষেপ করা হয়েছিল বলেই দাবি করেছে বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা।
০৩১৬
একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি সশস্ত্র দল এই বিশেষ মহাকাশযানের সময় উপস্থিত ছিল।
০৪১৬
সম্ভবত ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যবহারের জন্যই এই গোপন সামরিক উপগ্রহটি পাঠানো হয়েছে বলেও একাংশের ধারণা।
০৫১৬
রাতের বেলা রকেট উৎক্ষেপণের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। এই রকেটটি রাশিয়ার একটি নির্জন জায়গা থেকে মহাকাশের দিকে পাড়ি দিচ্ছে বলেও এই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে।
০৬১৬
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ৩০ এপ্রিল এক বিবৃতিতে রকেট উৎক্ষেপণের সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছে। তবে তাদের দাবি, পরীক্ষামূলক ভাবেই এই রকেটটি মহাকাশে পাঠানো হয়েছে।
০৭১৬
মহাকাশযান-সহ রকেটের উৎক্ষেপণ খুব স্বাভাবিক ভাবে হয়েছিল বলেও রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি।
০৮১৬
যদিও এই মহাকাশযানে করে কী পাঠানো হয়েছে, তা অজানা। ২০১৮ এবং ২০২১ সালে এমকা-১ এবং এমকা-২ নামে দু’টি একই রকমের যান মহাকাশে পাঠিয়েছিল রাশিয়া। তেমনই কোনও যান এ বারও পাঠানো হয়েছে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। যেমন প্রশ্ন থাকছে এর উদ্দেশ্য নিয়েও।
০৯১৬
উৎক্ষেপণের পর এই মহাকাশযান স্বাভাবিক ভাবে কাজ করছে এবং এর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে বলেও ক্রেমলিনের তরফে জানানো হয়েছে।
১০১৬
প্লেসেটস্ক কসমোড্রোম ১৯৫৭ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি বিশেষ সেনা পরিচালিত এলাকা। মূলত আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করার জন্য এই এলাকা তৈরি করা হয়েছে।
১১১৬
আঙ্গারা ছাড়াও সুয়োজ, রোকোট, সাইক্লোনের মতো রকেটও কসমোড্রোম থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল।
১২১৬
তবে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত সেনা পরিচালিত এই এলাকার অস্তিত্বের কথা স্বীকার করেনি রাশিয়া।
১৩১৬
চলতি বছরে এই আঙ্গারা রকেট ছাড়াও আরও দু’টি আঙ্গারা রকেট নিক্ষেপ করার কথা রয়েছে।
১৪১৬
রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রসকসমোস ঘোষণা করে যে এটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে নিজেদের উপগ্রহ ফিরিয়ে নেবে।
১৫১৬
যদিও কবে এই উপগ্রহ ফিরিয়ে আনা হবে, তা এখনও নিশ্চিত করে জানানো হয়নি রাশিয়ার তরফে।
১৬১৬
সম্প্রতি আমেরিকার সরকারি মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ‘নাসা’ ব্যক্তিগত বাণিজ্যিক মহাকাশ সংস্থাগুলির সঙ্গে মিলে কাজ করেছে। আমেরিকার ধনকুবের ইলন মাস্কের স্পেসএক্স-এর সঙ্গেও জুটি বেঁধে কাজ শুরু করেছে নাসা। তার প্রত্যুত্তরই রাশিয়া দিচ্ছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন থাকছে।