অ্যাপ্লের যাত্রা শুরুর দিকে ওয়েনের হাতে ছিল সংস্থার ১০ শতাংশ মালিকানা। সেই অংশ যদি তিনি বিক্রি না করে দিতেন, তা হলে জীবনের গতিপথটাই পাল্টে যেত ওয়েনের। বিশ্বের তাবড় ধনকুবেরের সঙ্গে উচ্চারিত হত তাঁর নাম। একদা ওয়েনের হাতে থাকা সেই দশ শতাংশের বর্তমান মূল্য প্রায় সাড়ে ৩২ লক্ষ কোটি টাকা। সেই সম্পদ হাতে থাকলে তাঁর জায়গা হত ইলন মাস্কের ঠিক পরেই। ইলনের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩৬ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি।
ওহাইয়োর ক্লিভল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন ওয়েন। ছোট থেকেই কৌতূহলী ছাত্র হিসাবে পরিচিত ছিলেন তিনি। ১৯৫৩ সালে তিনি নিউ ইয়র্কের স্কুল অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল আর্টস থেকে স্নাতক হন। পরে তিনি ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করেন। ১৯৭১ সালে ওয়েন সায়ান নামে নিজস্ব ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্ম শুরু করেন তিনি। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মেধা থাকা সত্ত্বেও তাঁর ব্যবসায়িক দক্ষতা তেমন ছিল না।
প্রাথমিক সাফল্য সত্ত্বেও, অ্যাপ্লের প্রতি ওয়েন আস্থা হারাতে থাকেন। সংস্থাটি তৈরির মাত্র ১২ দিন পর ওয়েন পদত্যাগ করেন। তাঁর আশঙ্কা ছিল, ব্যবসা শুরুর জন্য যে টাকা তাঁরা ধার নিয়েছেন তার দায় বর্তাবে ওয়েনের উপর। কারণ বাকি দুই অংশীদারের সম্পত্তি বলতে কিছুই ছিল না। উল্টে ওয়েনের ছিল একটি বাড়ি ও কিছু ব্যক্তিগত সম্পত্তি।
অ্যাপ্ল থেকে তাঁর প্রস্থানের পর ওয়েন ক্যালিফোর্নিয়ায় চলে যান। তিনি ‘লরেন্স লিভারমোর ন্যাশনাল ল্যাবরেটরিতে’ কাজ করেন এবং পরে ‘এলডিএফ সেমিকন্ডাক্টরস’ নামে একটি সংস্থায় যোগ দেন। স্ট্যাম্প এবং দুর্লভ মুদ্রা সংগ্রহের ঝোঁক ছিল ওয়েনের। পরে তিনি একটি দোকান খোলেন। সেটিও এক সময় লোকসানের মুখ দেখে ও বন্ধ হয়ে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy