Result of the Lok Sabha election for all 42 constituencies in West Bengal, along with the list of candidates dgtl
West Bengal Lok Sabha Election Result 2024
বাংলায় কারা হারতে হারতে জিতলেন, কারা জিততে জিততে হারলেন, দেখে নিন এক নজরে
লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হয়েছে। বাংলার ৪২টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৯টিই নিজেদের দখলে রেখেছে তৃণমূল। বিজেপি পেয়েছে ১২টি আসন। একটি আসন পেয়েছে কংগ্রেস। দিনভর হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখেছে বাংলা।
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতাশেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০২৪ ১১:৪৪
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১৪৩
লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হয়েছে মঙ্গলবার। বাংলার ৪২টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৯টি নিজেদের দখলে রেখেছে তৃণমূল। বিজেপি পেয়েছে ১২টি আসন। এ ছাড়া, কংগ্রেস একটি আসন পেয়েছে। মালদহ দক্ষিণ আসনটি দখলে রেখেছেন ইশা খান চৌধুরী।
০২৪৩
কোচবিহার কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী জগদীশচন্দ্র বসুনিয়া। বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক। এই কেন্দ্রে ফরোয়ার্ড ব্লকের প্রার্থীর নাম নীতিশচন্দ্র রায়। প্রার্থী দিয়েছিল কংগ্রেসও। পিয়া রায়চৌধুরী লড়েছেন তাদের টিকিটে। গণনার শেষে শেষ হাসি হাসল তৃণমূলই। বাসুনিয়া জিতলেন ৩৯২৫০ ভোটে।
০৩৪৩
জঙ্গিপুরে তৃণমূল প্রার্থী খলিলুর রহমান, বিজেপি প্রার্থী ধনঞ্জয় ঘোষ। কংগ্রেসের হয়ে সেখানে লড়েছেন মহম্মদ মোর্তাজা হোসেন। শেষ হাসি হাসলেন খলিলুর। তিনি জিতেছেন ১১৬৬৩৭ ভোটে।
০৪৪৩
মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের প্রার্থী বিদায়ী সাংসদ আবু তাহের খান। সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম এবং বিজেপি প্রার্থী গৌরীশঙ্কর ঘোষ। শেষ হাসি হাসলেন আবু তাহের। তিনি জিতেছেন ১৬৪২১৫ ভোটে। এই কেন্দ্রে দ্বিতীয় স্থানে সেলিম।
০৫৪৩
ব্যারাকপুর কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী করেছে পার্থ ভৌমিককে। অর্জুন সিংহ দাঁড়িয়েছেন বিজেপির টিকিটে। এ ছাড়া, ওই কেন্দ্রে সিপিএম প্রার্থীর নাম দেবদূত ঘোষ। শেষ হাসি হাসলেন পার্থই। তিনি ৬৪৪৩৮ ভোটে জিতেছেন।
০৬৪৩
বারাসতে তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদারের বিপরীতে বিজেপি প্রার্থীর নাম স্বপন মজুমদার। ফরোয়ার্ড ব্লক ওই কেন্দ্রে সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়কে প্রার্থী করে। শেষ হাসি হাসলেন কাকলি। তিনি ১১৪১৮৯ ভোটে জিতেছেন।
০৭৪৩
জয়নগরে তৃণমূল প্রার্থীর নাম প্রতিমা মণ্ডল। বিজেপি প্রার্থীর নাম অশোক কান্ডারি। সিপিএম ওই কেন্দ্রে সমরেন্দ্রনাথ মণ্ডলকে প্রার্থী করেছিল। এই কেন্দ্রে শেষ হাসি হাসল তৃণমূলই। প্রতিমা জিতলেন ৪৭০২১৯ ভোটে।
০৮৪৩
ডায়মন্ড হারবার তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সেখানে বিজেপি প্রার্থী করেছিল অভিজিৎ দাসকে। সিপিএম প্রার্থীর নাম প্রতীক-উর রহমান। হাসতে হাসতে জিতলেন অভিষেকই। ৭১০৯৩০ ভোটে জিতেছেন তিনি।
মেদিনীপুর কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়া। বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল। সিপিএম সেখানে বিপ্লব ভট্টকে প্রার্থী করেছিল। শেষ হাসি হাসলেন জুনই। তিনি জিতলেন ২৭১৯১ ভোটে।
১২৪৩
বাঁকুড়ায় অরূপ চক্রবর্তীকে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপির বিদায়ী সাংসদ সুভাষ সরকার দাঁড়িয়েছিলেন। সিপিএম প্রার্থী করে নীলাঞ্জন দাশগুপ্তকে। শেষ হাসি হাসলেন অরূপই। তিনি ৩২৭৭৮ ভোটে জিতেছেন।
১৩৪৩
বর্ধমান পূর্বে তৃণমূল প্রার্থীর নাম শর্মিলা সরকার। বিজেপি প্রার্থীর নাম অসীমকুমার সরকার। সিপিএম প্রার্থীর করেছিল নীরব খাঁকে। হাসতে হাসতে জিতল তৃণমূল। শর্মিলা জয়ী ১৬০৫৭২ ভোটে।
১৪৪৩
বর্ধমান-দুর্গাপুরে বিজেপি প্রার্থী করেছিল দিলীপ ঘোষকে। তাঁর বিপরীতে লড়েছেন তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ। ওই কেন্দ্রে সিপিএম প্রার্থীর নাম সুকৃতি ঘোষাল। প্রাক্তন ক্রিকেটারই জয়ী। ১৩৭৯৮১ ভোটে।
দার্জিলিং কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী বিদায়ী সাংসদ রাজু বিস্তা। সেখানে তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়িয়েছিলেন গোপাল লামা। কংগ্রেস সেখানে প্রার্থী করেছিল মুনীশ তামাংকে। জেতা আসন ধরে রেখেছেন রাজু। ১৭৮৫২৫ ভোটে জিতেছেন তিনি।
২৫৪৩
বালুরঘাটে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। সেখানে বিজেপির প্রার্থী দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তৃণমূল তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী করেছিল বিপ্লব মিত্রকে। এ ছাড়া, আরএসপি প্রার্থী করেছে জয়দেব সিদ্ধান্তকে। দিনের দীর্ঘ সময় অনেক ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন বিপ্লব। তবে শেষ হাসি হাসলেন সুকান্তই। ১০৩৮৬ ভোটে জিতেছেন তিনি।
২৬৪৩
মালদহ উত্তরে তৃণমূল প্রার্থী প্রাক্তন আইপিএস প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির প্রার্থী এবং বিদায়ী সাংসদ খগেন মুর্মু। সেখানে কংগ্রেস প্রার্থী মোস্তাক আলম। জয়ের হাসি খগেনেরই। ৭৭৭০৮ ভোটে জয়ী তিনি।
২৭৪৩
বহরমপুরেও প্রথম দিকে লড়াই হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি। কংগ্রেস প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে সেখানে প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানকে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। বিজেপির প্রার্থীর নাম নির্মল সাহা। সকাল থেকে কখনও অধীর এগিয়ে ছিলেন, কখনও ইউসুফ, কখনও নির্মল। শেষ হাসি হাসলেন পাঠানই। জিতলেন ৮৫০২২ ভোটে।
২৮৪৩
কৃষ্ণনগর কেন্দ্রটি নিয়ে প্রথম থেকেই বাড়তি আগ্রহ ছিল সকলের। সেখানে তৃণমূল প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ মহুয়া মৈত্র। বিজেপির প্রার্থী কৃষ্ণনগরের রাজ পরিবারের সদস্য অমৃতা রায়। সিপিএম ওই কেন্দ্রে প্রার্থী করেছিল এসএম সাদিকে। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে শেষ হাসি মহুয়ারাই। জিততে জিততেও হেরে গেলেন অমৃতা। মহুয়া জিতলেন ৫৬৭০৫ ভোটে।
দমদমে সৌগত রায়কেই প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। সিপিএম ওই কেন্দ্রে প্রার্থী করে সুজন চক্রবর্তীকে। এ ছাড়া, দমদমে বিজেপির টিকিটে লড়েছেন শীলভদ্র দত্ত। শেষ হাসি হাসলেন সৌগত। তবে বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে তাঁরও যথেষ্ট লড়াই চলেছে। শেষ পর্যন্ত ৭০৬৬০ ভোটে জিতেছেন তিনি।
৩২৪৩
বসিরহাট কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থীর নাম হাজি নুরুল ইসলাম। বিজেপি প্রার্থীর নাম রেখা পাত্র। সিপিএম ওই কেন্দ্রে নিরাপদ সর্দারকে প্রার্থী করেছিল। সন্দেশখালিকাণ্ডের পর এই কেন্দ্রের ফলের দিকে আলাদা করে নজর ছিল। এই কেন্দ্রেও হাসতে হাসতে জিতল তৃণমূলই। ৩৩৩৫৪৭ ভোটে জয় পেয়েছেন হাজি নুরুল।
৩৩৪৩
মথুরাপুরে তৃণমূল প্রার্থীর নাম বাপি হালদার। বিজেপি প্রার্থীর নাম অশোক পুরকায়েত। সিপিএম ওই কেন্দ্রে প্রার্থী করেছিল শরৎচন্দ্র হালদারকে। শেষ হাসি হাসলেন বাপি। ২০১০৫৭ ভোটে জিতেছেন তিনি।
৩৪৪৩
কলকাতা দক্ষিণ কেন্দ্রে তৃণমূলের হয়ে লড়েছেন বিদায়ী সাংসদ মালা রায়। ওই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করেছিল দেবশ্রী চৌধুরীকে। সিপিএমের টিকিটে দাঁড়িয়েছিলেন সায়রা শাহ হালিম। হাসি মুখে জিতলেন মালা। ১৮৭২৩১ ভোটে।
৩৫৪৩
কলকাতা উত্তর কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির টিকিটে সেখানে দাঁড়ান তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া তাপস রায়। কংগ্রেস ওই কেন্দ্রে প্রদীপ ভট্টাচার্যকে প্রার্থী করেছিল। শেষ হাসি সুদীপের। জিতলেন ৯২৫৬০ ভোটে।
৩৬৪৩
শ্রীরামপুর কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপরীতে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁরই প্রাক্তন জামাই বিজেপির কবীরশঙ্কর বসু। সিপিএম ওই কেন্দ্রে দীপ্সিতা ধরকে প্রার্থী করেছিল। শেষ হাসি হাসলেন কল্যাণ। জিতেছেন ১৭৪৮৩০ ভোটে।
৩৭৪৩
হুগলি থেকে তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি প্রার্থী বিদায়ী সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। সিপিএম ওই কেন্দ্রে প্রার্থী করেছিল মনোদীপ ঘোষকে। এই কেন্দ্রেও তৃণমূল এবং বিজেপি প্রার্থীর মধ্যে জোরদার লড়াই হয়েছে। হাসতে হাসতে জিতলেন ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ রচনাই। তিনি জিতেছেন ৭৬৮৫৩ ভোটে।
৩৮৪৩
আরামবাগে তৃণমূল প্রার্থীর নাম মিতালি বাগ। ওই কেন্দ্রে অরূপকান্তি দিগরকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। সিপিএমের প্রার্থীর নাম বিক্রম মৈত্র। শেষ হাসি মিতালিরই। জিতেছেন ৬৩৯৯ ভোটে।
৩৯৪৩
তমলুক কেন্দ্রের দিকে শুরু থেকেই নজর ছিল। সেখানে বিজেপির টিকিটে দাঁড়িয়েছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এ ছাড়া, তৃণমূল ওই কেন্দ্রে তরুণ নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যকে টিকিট দিয়েছিল। সিপিএমের হয়ে দাঁড়ান সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। শেষ হাসি প্রাক্তন বিচারপতিরই। জিতলেন ৭৭৭৩৩ ভোটে।
৪০৪৩
ঘাটালে তৃণমূলের বিদায়ী সাংসদ দেবের বিপরীতে বিজেপি প্রার্থী করেছিল হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে। ওই কেন্দ্রের সিপিআই প্রার্থীর নাম তপন গঙ্গোপাধ্যায়। দুই অভিনেতার লড়াইয়ে শেষ হাসি দেবের। জিতলেন ১৮২৮৬৮ ভোটে।