Reserve Bank of India is launching Digital Rupee or E-Rupee, what are the features and how it will work dgtl
Digital Rupee
সরকারি নিয়ন্ত্রণ বাড়াতেই কি আসছে ডিজিটাল মুদ্রা? কী ভাবে কাজ করবে, নিরাপদই বা কতটা
দীর্ঘ দিন ধরে ডিজিটাল মুদ্রা চালু নিয়ে ভাবনাচিন্তা চালাচ্ছিল আরবিআই। দেশে ক্রিপ্টোর রমরমা কমাতে বিকল্প কোনও ব্যবস্থার কথা চিন্তা করছিল কেন্দ্রীয় এই ব্যাঙ্ক। তারই ফল ‘ডিজিটাল রুপি’।
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতাশেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২২ ১২:৫৮
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১২০
নোট এবং খুচরো কয়েনের বিকল্প হিসাবে ‘ডিজিটাল রুপি’ বা ‘ই-রুপি’ চালু করতে চলেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই)। আরবিআইয়ের তরফে মঙ্গলবার এই ঘোষণা করা হয়েছে।
ফাইল চিত্র ।
০২২০
১ ডিসেম্বর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকে পরীক্ষামূলক ভাবে ভারতে এই ডিজিটাল মুদ্রা চালু হতে চলেছে। এর আগে আরবিআইয়ের তরফে ডিজিটাল মুদ্রায় লেনদেনের কোনও ব্যবস্থা ছিল না।
প্রতীকী ছবি।
০৩২০
‘ডিজিটাল রুপি’ পরিষেবা চালু করার জন্য আপাতত চারটি ব্যাঙ্ক আরবিআইয়ের অংশীদার হচ্ছে। এই ব্যাঙ্কগুলি হল, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (এসবিআই), আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, ইয়েস ব্যাঙ্ক এবং আইডিএফসি ফার্স্ট ব্যাঙ্ক।
প্রতীকী ছবি।
০৪২০
প্রাথমিক ভাবে আরবিআইয়ের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল, শুধু মাত্র নির্দিষ্ট কিছু গ্রাহক এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে পরীক্ষামূলক ভাবে ই-রুপি লেনদেন চালু হবে। সফল হলে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে।
প্রতীকী ছবি।
০৫২০
‘ডিজিটাল রুপি’ বা ‘ই-রুপি’ চালুর বিষয়ে আরবিআইয়ের ঘোষণার পরেও অনেকের কাছেই পরিষ্কার নয় যে এই ডিজিটাল রুপি আসলে কী?
ফাইল চিত্র।
০৬২০
ক্রিপ্টোকারেন্সির মতোই ‘ই-রুপি’ একটি ডিজিটাল টোকেন। তবে ভারতে এই ডিজিটাল রুপিকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হবে।
প্রতীকী ছবি।
০৭২০
ক্রিপ্টোকারেন্সির মতো ডিজিটাল রুপির দর ওঠানামা করবে না। কাগজের নোট এবং খুচরো কয়েনের সমান দামেই চালু হবে ডিজিটাল রুপি।
প্রতীকী ছবি।
০৮২০
‘ডিজিটাল রুপি’ কী ভাবে কাজ করবে তা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে অনেকের মনে। বর্তমানে অনলাইন জালিয়াতি এবং টাকা তছরুপের ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় ডিজিটাল টাকা ব্যবহার কতটা নিরাপদ হবে তা নিয়েও উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
প্রতীকী ছবি।
০৯২০
আরবিআই ব্যাখ্যা করেছে, এই ডিজিটাল মুদ্রা গ্রাহক এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে ব্যাঙ্কের মাধ্যমে বিতরণ করা হবে। ব্যবহারকারীরা নির্দিষ্ট ব্যাঙ্কের দেওয়া ডিজিটাল ওয়ালেটের মাধ্যমে এবং মোবাইল ফোন বা ডিভাইসে রাখা ডিজিটাল মুদ্রার মাধ্যমে এই লেনদেন করতে পারবেন।
ফাইল চিত্র।
১০২০
আরবিআই আরও নিশ্চিত করেছে, ‘ডিজিটাল রুপি’তে লেনদেন দু’জন গ্রাহক এবং এক জন গ্রাহক ও ব্যবসায়ীর মধ্যে হতে পারে।
প্রতীকী ছবি।
১১২০
অনলাইনে বিভিন্ন অ্যাপের লেনদেনের মতোই সুবিধা রয়েছে ‘ডিজিটাল রুপি’র ব্যবহারেও। ব্যবসায়ীদের কাছে থাকা কিউআর কোড স্ক্যান করে এই ডিজিটাল মুদ্রা দিতে পারবেন সাধারণ মানুষ। ডিজিটাল এই মুদ্রা ব্যবহার করা যথেষ্ট নিরাপদ হবে বলেও আরবিআইয়ের দাবি।
প্রতীকী ছবি।
১২২০
আরবিআইয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে ‘নগদ টাকার যা যা বৈশিষ্ট্য রয়েছে, ‘ডিজিটাল রুপি’তেও একই বৈশিষ্ট্য রয়েছে। নগদ টাকার মতোই ‘ই-রুপি’ মানুষকে টাকার লেনদেনে সাহায্য করবে। তবে ব্যাঙ্কে নগদ জমা রাখলে যেমন সুদ পাওয়া যায়, এ ক্ষেত্রে সে রকম কোনও সুদ পাওয়া যাবে না। ব্যাঙ্কগুলি এই ডিজিটাল মুদ্রা আমানত রূপেও জমা রাখতে পারবে।
ফাইল চিত্র।
১৩২০
আরবিআই আরও জানিয়েছে ‘ডিজিটাল রুপি’ তৈরি, বিতরণ এবং ব্যবহারের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া সঠিক ভাবে পরীক্ষা করে দেখে নেওয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতেও ডিজিটাল রুপি বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে আরও উন্নত করার চেষ্টা চলবে। মানুষের যাতে খুব সহজে ই-রুপি ব্যবহার করতে পারে সে দিকেও বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি ‘ডিজিটাল রুপি’ ব্যবহারে নিরাপত্তার দিকও খতিয়ে দেখছে আরবিআই।
প্রতীকী ছবি।
১৪২০
এখনই সব জায়গায় ‘ডিজিটাল রুপি’ দিয়ে লেনদেনের সুযোগ মিলবে না। প্রথমে দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু এবং ভুবনেশ্বরে এই পরিষেবা শুরু করছে আরবিআই।
প্রতীকী ছবি।
১৫২০
আপাতত চারটি শহরে পরীক্ষামূলক ভাবে চালু হলেও পরে আমদাবাদ, ইনদওর, হায়দরাবাদ, লখনউ, কোচি, গ্যাংটক, পটনা, গুয়াহাটি এবং শিমলায় এই পরিষেবা চালু করা হবে। পরে ক্রমশ সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে এই পরিষেবা।
ফাইল চিত্র।
১৬২০
চারটি ব্যাঙ্ককে আপাতত ‘ডিজিটাল রুপি’ বিতরণে অংশীদার করা হয়েছে। তবে পরবর্তী কালে ব্যাঙ্ক অফ বরোদা, ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক এবং কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক থেকেও ডিজিটাল রুপি বিতরণের কথা ভাবছে আরবিআই।
ফাইল চিত্র।
১৭২০
প্রয়োজন এবং ব্যাবহারের পরিসর অনুযায়ী আরও ব্যাঙ্ককে এই পরিষেবা চালু করার অনুমতি দেওয়া হবে বলেও আরবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে।
ফাইল চিত্র।
১৮২০
দীর্ঘ দিন ধরে ডিজিটাল মুদ্রা চালু করার কথা চিন্তা করছে আরবিআই। দেশে ক্রিপ্টোর রমরমা কমাতে বিকল্প কোনও ব্যবস্থার কথা চিন্তা করছিল শীর্ষ ব্যাঙ্ক। তারই ফল এই ডিজিটাল মুদ্রা। প্রয়োজনে লেনদেনের উপর সরকার নজরও রাখতে পারবে সহজে। খুচরো টাকার লেনদেনে যা করা অসম্ভব।
প্রতীকী ছবি।
১৯২০
সরকার নিমরাজি থাকলেও ক্রিপ্টোকারেন্সিকে দেশে বৈধ করার সিদ্ধান্তকে বরাবর লাল পতাকাই দেখিয়ে আসছে আরবিআই। আরবিআইয়ের দাবি ছিল, ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবহার শুরু হলে ভারতীয় অর্থনীতিকে অনেক রকম অসুবিধার মুখোমুখি পড়তে হতে পারে।
প্রতীকী ছবি।
২০২০
আপাতত আরবিআইয়ের তরফে পরীক্ষামূলক ভাবে এই ডিজিটাল মুদ্রা চালু হলেও কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক খুব শীঘ্রই দেশ জুড়ে এই পরিষেবা ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হবে বলে আরবিআই আশা করছে।