কথায় বলে খদ্দেরই লক্ষ্মী। সেই লক্ষ্মীকে টানতে দোকানিরা কত কী করেন!
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতাশেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৪:২২
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১২
ব্যবসা চালাতে খদ্দেরদের কথা মাথায় না রাখলে চলে! কথায় বলে খদ্দেরই লক্ষ্মী। সেই লক্ষ্মীকে টানতে দোকানিরা কত কী করেন! সাধারণত দোকান সাফসুতরো রাখা বা তাতে রকমারি মালপত্র মজুত করেই খালাস অনেকে। তবে খদ্দের টানতে পুণের একটি সেলুনের মালিক অভিনব পন্থা বেছে নিয়েছেন।
ছবি: সংগৃহীত।
০২১২
পুণে সংলগ্ন পিম্পরি চিঞ্চওয়াড় শহরের ওই সেলুনে প্রত্যেক খদ্দেরই ‘স্পেশাল’! অন্তত ওই সেলুনের মালিক অবিনাশ বরুন্ডিয়ার তেমনই দাবি। তাঁর সেলুনে আসা লোকজনের গোঁফদাড়ি কামানোর জন্য আস্ত একটি সোনার ক্ষুর কিনে ফেলেছেন অবিনাশ!
ছবি: সংগৃহীত।
০৩১২
ব্যবসা বাড়াতে প্রচার যে অন্যতম হাতিয়ার, তা ফের বোঝাচ্ছেন পুণের ওই নাপিত। খদ্দেরদের গোঁফদাড়ি ছাঁটা বা কামানোর কাজে আট তোলা ওজনের সোনার ক্ষুর ব্যবহার করছেন তিনি।
ছবি: সংগৃহীত।
০৪১২
অবিনাশের এই অভিনব ভাবনা বেশ হইচই ফেলে দিয়েছে নেটপাড়ায়। আচমকাই প্রচারের আলোয় উঠে এসেছেন তিনি। দেশের নানা সংবাদমাধ্যমে তা শিরোনাম!
হঠাৎ করে সোনার ক্ষুরই বা কিনতে গেলেন কেন? অবিনাশের দাবি, তাঁর সেলুনে আসা প্রতিটি খদ্দেরই ‘স্পেশাল’। তাঁদের তেমন মনে করাতেই সোনার ক্ষুর ব্যবহার করা শুরু করেছেন।
ছবি: সংগৃহীত।
০৭১২
তাঁর সেলুনে যে সোনার ক্ষুরে গোঁফদা়ড়ি কাটা যায়, সে কথা ঘটা করে প্রচারও করছেন অবিনাশ। এমনকি, সম্প্রতি সেলুনের উদ্বোধনে স্থানীয় এক বিজেপি বিধায়ক গোপীনাথ পডবলকরকেও আমন্ত্রণ জানান তিনি। এমন প্রচারে হাতেনাতে ফলও পাচ্ছেন অবিনাশ। ধীরে ধীরে হলেও পসার বাড়ছে।
প্রতীকী ছবি।
০৮১২
তবে করোনাকালে পসার বাড়ানো তো দূরের কথা, ব্যবসা লোপাট হওয়ার দায় হয়েছিল অবিনাশদের মতো ছোট দোকানিদের। করোনার সংক্রমণ রুখতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ থেকে দফায় দফায় দেশ জুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। বন্ধ রাখতে হয়েছে দোকানপাট-হাটবাজার, সেলুন-স্পা-জিম-রেস্তরাঁ বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তার জেরে বেজায় লোকসান হয়েছে অবিনাশ-সহ দেশের অগণিত ছোটখাটো ব্যবসাদারদের। কাজ হারিয়েছেন বহু পরিযায়ী শ্রমিক-সহ অংগঠিত ক্ষেত্রে বহু কর্মরত।
ছবি: সংগৃহীত।
০৯১২
ধীরে ধীরে লকডাউন শিথিল হওয়ার পর সব কিছুর মতো খুলেছে দোকান-বাজার, রেস্তরাঁ-সেলুনও। তার পর থেকে খদ্দের টানতে উঠেপড়ে লেগেছেন অবিনাশের মতো দোকানিরা।
ছবি: সংগৃহীত।
১০১২
অবিনাশের দাবি, সোনার ক্ষুরে গোঁফদাড়ি কামানোয় প্রত্যেক খদ্দেরই নিজেকে ‘স্পেশাল’ বলে মনে করবেন। তাই এমন উপায় বার করেছেন তিনি। এতে তাঁর সেলুনে লোকজনও ভিড় করবেন বলে মনে করেন অবিনাশ।
ছবি: সংগৃহীত।
১১১২
সেলুনে লোকজনের ভিড়ের পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমের নজরেও পড়েছেন অবিনাশ। সাংবাদিকদের কাছে তিনি বলেছেন, ‘‘সোনার ক্ষুর দিয়ে গোঁফদাড়ি কামানোয় সাধারণ মানুষজন নিজেকে ‘স্পেশাল’ বলে মনে করবেন। যাঁদের বেশি টাকাপয়সা নেই, তাঁরাও সোনার ক্ষুর দিয়ে গোঁফদা়ড়ি কামাতে পারবেন।’’
ছবি: সংগৃহীত।
১২১২
তা অবিনাশের চার লাখি ক্ষুরে গোঁফদাড়ি কামাতে খদ্দেরদের কত রেস্ত লাগবে? সংবাদমাধ্যমের কাছে সে কথাও জানিয়েছেন তিনি। অবিনাশ বলেন, ‘‘আমার সেলুনে সোনার ক্ষুর দিয়ে দাড়ি কাটার খরচ মাত্র ১০০ টাকা!’’