Prime minister Narendra Modi lays foundation stone of Sikkim’s first railway station, know the details about it dgtl
Sikkim’s First Railway Station
চিন সীমান্ত পর্যন্ত রেলপথ! কেমন দেখতে হবে, কোথায় তৈরি হবে সিকিমের প্রথম স্টেশন?
নিউ জলপাইগুড়ি থেকে বাস অথবা গাড়ি ভাড়া করে যেতে হবে না সিকিমে। ট্রেনে করে সরাসরি যাওয়া যাবে রংপো হয়ে গ্যাংটক। এমনকি চিন সীমান্তের কাছে নাথু লাতেও ট্রেনে করে পৌঁছে যাওয়া যাবে।
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতাশেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৪:২৯
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৬
সড়কপথ বা আকাশপথে নয়, এর পর রেলপথেই সিকিম যেতে পারবেন পাহাড়প্রেমীরা। সোমবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে সিকিমের প্রথম রেলস্টেশনের শিলান্যাস করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কোথায় তৈরি হতে চলেছে এই স্টেশন? এই নতুন প্রকল্পের বিশেষত্বই বা কী?
০২১৬
সাধারণত পশ্চিমবঙ্গ থেকে সিকিম যেতে গেলে পর্যটকেরা সড়কপথে যাওয়াই বেশি পছন্দ করেন। বিকল্প পরিবহণ ব্যবস্থা হিসাবে কেউ কেউ আকাশপথেও সফর করেন। তবে ভবিষ্যতে রেলপথ চালু হওয়ার ফলে বাঙালির অন্যতম প্রিয় পর্যটনকেন্দ্রে যাওয়ার ধকল অনেকটাই কমে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
০৩১৬
নিউ জলপাইগুড়ি থেকে বাস অথবা গাড়ি ভাড়া করে সিকিম যেতে হবে না। ট্রেনে করে সরাসরি যাওয়া যাবে রংপো হয়ে গ্যাংটক। এমনকি চিন সীমান্তের কাছে নাথু লাতেও ট্রেনে করে পৌঁছে যাওয়া যাবে।
০৪১৬
ভারতের রেল মানচিত্রে প্রবেশ করল সিকিম। সোমবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে সিকিমের প্রথম রেলস্টেশনের উদ্বোধন করেন মোদী। তার পাশাপাশি আরও দু’হাজারটি রেল প্রকল্পের ঘোষণাও করলেন তিনি। সব প্রকল্প মিলিয়ে কেন্দ্রের তরফে ৪১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
০৫১৬
সিকিমের প্রথম রেলস্টেশন তৈরি করা হবে রংপোয়। ২০২২ সালের বাজেটেই সিকিমের রেল প্রকল্পে আড়াই হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করে কেন্দ্র।
০৬১৬
নিউ জলপাইগুড়ি রেলস্টেশন থেকে ২৬ কিলোমিটার দূরে সেবক রেলস্টেশনে পুননির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। সেবক স্টেশন থেকেই রংপোর উদ্দেশে ট্রেন চলাচল করবে।
০৭১৬
৪৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেবক-রংপো রেলপথের ৪১.৫ কিলোমিটার রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। মাত্র সাড়ে তিন কিলোমিটার রয়েছে সিকিমে।
০৮১৬
এএনআই সূত্রে খবর, সেবক-রংপো রেলপথে মোট ১৪টি সুড়ঙ্গ, ১৩টি বড় সেতু এবং ন’টি ছোট সেতু পড়বে। ইতিমধ্যেই ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে।
০৯১৬
মার্চ মাসে রেললাইন সংক্রান্ত খুঁটিনাটি কাজ শুরু হবে বলে এএনআই সূত্রে জানা গিয়েছে। পাহাড়ের গা কেটে রেলপথ তৈরি সহজ ছিল না। ধস নামার ভয় সর্বদাই লেগে থাকত। প্রতি মাসে রেলপথ তৈরিতে ১৫ মিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গ খোঁড়া হয়েছে।
১০১৬
২০২৪ সালের শেষে সেবক-রংপো রেলপথ নির্মাণের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ধস এবং বন্যার কারণে সেই কাজ পিছিয়ে যায়। মনে করা হচ্ছে ২০২৫ সালের মধ্যে রেলপথ নির্মাণের কাজ শেষ হবে।
১১১৬
রেলের তরফে জানানো হয়েছে, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলপথের অন্তর্ভুক্ত সেবক-রংপো রেললাইনের উপর দিয়ে প্রতি ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন ছুটতে পারবে। প্রায় ২৩ হাজার কিলোগ্রাম ওজন নিতে সক্ষম লাইনটি।
১২১৬
তিন ধাপে পশ্চিমবঙ্গ থেকে সিকিম রেলপথ নির্মাণ করা হবে। প্রথম ধাপে সেবক থেকে রংপো পর্যন্ত রেললাইন তৈরি করা হবে।
১৩১৬
রংপো পর্যন্ত রেললাইন তৈরি হলে শুরু হবে দ্বিতীয় ধাপের কাজ। দ্বিতীয় ধাপে রংপো থেকে গ্যাংটক রেলপথের মাধ্যমে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
১৪১৬
রেল সূত্রে খবর, তৃতীয় ধাপে গ্যাংটক থেকে না থুলা পর্যন্ত রেলপথের মাধ্যমে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
১৫১৬
রেল জানিয়েছে, রংপো-গ্যাংটক পর্যন্ত সমীক্ষার কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। শীঘ্রই শুরু হবে পরের ধাপে নাথু লা পর্যন্ত সমীক্ষা।
১৬১৬
কেন্দ্রীয় সরকারের নজরে রয়েছে চিন সীমান্ত পর্যন্ত উত্তর-পূর্বের রাস্তা এবং রেলপথ সম্প্রসারণ। সেই কাজেরই প্রথম ধাপ ছিল সেবক-রংপো রেল প্রকল্প। এ বারে নাথু লা পর্যন্ত রেলপথও দ্রুত শেষ করার ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। যা একই সঙ্গে সেনাবাহিনী এবং পর্যটকদের সুবিধা দেবে।