মুর্শিদাবাদের বেশ কয়েকটি স্টেশনেও রেল অবরোধ করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের নেতৃত্বেও বন্ধ সমর্থকেরা একাধিক রেলস্টেশনে অবরোধ করেন। এক তৃণমূল কর্মীকে চড় মারার অভিযোগ উঠেছে রানাঘাটের বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে। কৃষ্ণনগরেও রেল অবরোধ হয়। বিজেপির ডাকা বাংলা বন্ধকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় হুগলির মানকুণ্ডু স্টেশনেও।
কোন্নগরে পুলিশের সামনেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল-বিজেপি কর্মীরা। বন্ধের সমর্থনে বিজেপি কর্মীরা কোন্নগর চলচ্চিত্র মোড়ে জড়ো হন। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দোকান বন্ধ রাখার জন্য হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পাল্টা বন্ধের বিরোধিতা করে ওই এলাকায় পৌঁছন তৃণমূল কর্মীরা। দুই পক্ষের মধ্যে বচসা, ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পরে পুলিশ এসে তাঁদের নিরস্ত করে।
বন্ধের সকালে উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ায় গুলিও চলে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় ভাটপাড়ার ঘোষপাড়া এলাকায়। ঘটনায় এক জন আহত হয়েছেন বলে খবর। তাঁকে প্রথমে ব্যারাকপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল ও পরে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি নেতা অর্জুন সিংহ। তৃণমূলের বিরুদ্ধে বোমা-গুলি চালানোর অভিযোগ তোলেন তিনি।
বন্ধের সকালে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালেও উত্তেজনা ছড়ায়। ঘাটালের সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় বন্ধের সমর্থনে বিজেপি একটি মিছিল বার করেছিল। তবে সেই মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। পুলিশি বাধা পেয়ে রাস্তায় শুয়ে পড়েন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। বিধায়ক-সহ কয়েক জন বিজেপি কর্মী-সমর্থককে আটক করে পুলিশ।
বন্ধ সফল করতে বুধবার সকাল থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন জায়গায় পথে নামেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। মিছিল হয় দিকে দিকে। পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলে স্কুলে যাওয়া ছাত্রীদের চোখরাঙানোর অভিযোগ ওঠে এক বিজেপি নেত্রীর বিরুদ্ধে। আবার মেদিনীপুর সদর শহরে টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তায় বিক্ষোভ দেখান বিজেপি সমর্থকেরা।
বন্ধের দিনে অশান্তি ছড়ায় বসিরহাটেও। বিজেপির রাস্তা অবরোধকে কেন্দ্র করে বচসা হয়। মহিলা কাউন্সিলর সোমা দাস এবং তাঁর অনুগামীরা সেই অবরোধ হটাতে মাঠে নামেন। অভিযোগ, লাথি মেরে সরিয়ে দেওয়া হয় বিজেপির রাখা চেয়ার। সোমা বসিরহাট পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
জেলায় জেলায় বিজেপির ডাকা বন্ধকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখা গেলেও কলকাতায় পরিস্থিতি তুলনামূলক ভাবে শান্ত ছিল। দু’-এক জায়গায় বিক্ষিপ্ত ভাবে অশান্তি ছড়ালেও যান চলাচল ছিল মোটামুটি স্বাভাবিক। মেট্রোও চলছে নিয়ম মেনে। অফিস-কাছারি, দোকানপাটও মোটামুটি খোলাই রয়েছে। রাস্তায় মোতায়েন রয়েছে পর্যাপ্ত পুলিশ। তবে বাসের সংখ্যা কিছুটা কম।
শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে মুখোমুখি হন তৃণমূল ও বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা সেখানে অবস্থান শুরু করলে তৃণমূলের কর্মীরা আপত্তি জানান। সেখানে উপস্থিত পুলিশকর্মীরা দু’পক্ষকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরিস্থিতি সামলাতে ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েক জন বন্ধ সমর্থনকারীকে প্রিজ়ন ভ্যানে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। টালা সেতুতে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy