Oxygen Atom found in Venus, what scientists are saying about this dgtl
Oxygen Found in Venus
অক্সিজেনের সন্ধান মিলল পৃথিবীর ‘যমজ ভাই’-এর ঘরেও! অবাসযোগ্য গ্রহ শ্বাসযোগ্য হবে কি?
আকার-আকৃতিতে একই রকম হওয়ার কারণে শুক্রকে পৃথিবীর ‘যমজ গ্রহ’ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। দু’টি গ্রহের ভরও প্রায় একই।
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতাশেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৩ ১৫:০৭
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৭
আকার-আকৃতিতে একই রকম হওয়ার কারণে শুক্রকে পৃথিবীর ‘যমজ গ্রহ’ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। দু’টি গ্রহের ভরও প্রায় একই।
০২১৭
আতিথ্যহীন রুক্ষ পরিবেশ এবং ঘন বায়ুমণ্ডলযুক্ত শুক্র মানুষের বাসযোগ্য নয় বলেই দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা।
০৩১৭
তবে সেই শুক্রেই এ বার পৃথিবীর প্রাণবায়ু অক্সিজেনের খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানীরা!
০৪১৭
বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর প্রতিবেশী গ্রহ শুক্রের বায়ুমণ্ডলে পারমাণবিক অক্সিজেন শনাক্ত করেছেন।
০৫১৭
বায়ুতে ভাসমান ‘সোফিয়া’ মানমন্দিরে থাকা একটি যন্ত্র ব্যবহার করে শুক্রের বুকে অক্সিজেনের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে বলে বিজ্ঞানীদের দাবি।
০৬১৭
‘সোফিয়া’ একটি বোয়িং ৭৪৭এসপি বিমান, যা একটি ইনফ্রারেড টেলিস্কোপ বহন করে।
০৭১৭
নাসা এবং জার্মান এরোস্পেস সেন্টারের যৌথ উদ্যোগে শুক্রের বায়ুমণ্ডলীয় গঠন বোঝার জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হচ্ছিল। সেই সময়ই এই নতুন পথ খুলে যায় বিজ্ঞানীদের কাছে।
০৮১৭
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ২১ শতাংশ অক্সিজেন দিয়ে তৈরি। তবে শুক্রের ক্ষেত্রে তেমনটা নয়। শুক্রের একটি ঘন এবং ক্ষতিকারক বায়ুমণ্ডল রয়েছে, যা ৯৬.৫ শতাংশ কার্বন-ডাই-অক্সাইড দিয়ে ঘেরা।
০৯১৭
বিজ্ঞানীদের দাবি, শুক্রের সেই ঘন বায়ুমণ্ডলের মধ্যেই রয়েছে খুব স্বল্প পরিমাণ অক্সিজেন। প্রায় নেই বললেই চলে।
১০১৭
প্রচুর কার্বন ডাই অক্সাইড এবং স্বল্পমাত্রার অক্সিজেন ছাড়াও নাইট্রোজেন এবং অন্যান্য কয়েকটি গ্যাস অল্পমাত্রায় শুক্রের বায়ুমণ্ডলে রয়েছে।
১১১৭
এত দিন বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল, শুক্রের বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেনের একটি কণা পর্যন্ত নেই। তাই এই নয়া আবিষ্কারকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
১২১৭
তবে পৃথিবীতে আণবিক অক্সিজেন দেখতে পাওয়া যায়। যা দু’টি অক্সিজেন পরমাণু নিয়ে গঠিত এবং শ্বাসযোগ্য।
১৩১৭
অন্য দিকে, শুক্রে অক্সিজেনের একক পরমাণুর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। বিজ্ঞানীরা শুক্রের উভয় মেরুতেই সেই অক্সিজেনের খোঁজ পেয়েছেন। যদিও সেই অক্সিজেন শ্বাস নেওয়ার যোগ্য নয়।
১৪১৭
জার্মান অ্যারোস্পেস সেন্টারের পদার্থবিদ তথা গবেষক হেইঞ্জ-উইলহেলম হ্যাবার্স এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘শুক্র গ্রহের বায়ুমণ্ডল খুব ঘন। গঠনও পৃথিবীর থেকে অনেক আলাদা। শুক্র বাসযোগ্য নয়। অন্তত মানুষের জন্য নয়।’’
১৫১৭
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শুক্রের যে দিকে যখন সূর্য থাকে, সে দিকে অক্সিজেন উৎপন্ন হয়। জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউটের জ্যোতির্পদার্থবিদ হেলমুট উইসেমেয়ার জানিয়েছেন, সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি বায়ুমণ্ডলীয় কার্বন ডাই অক্সাইড এবং কার্বন মনোক্সাইডকে ভেঙে অক্সিজেন পরমাণু তৈরি করে।
১৬১৭
বিজ্ঞানীরা আরও জানিয়েছেন, শুক্রে যে অক্সিজেন পরমাণু খুঁজে পাওয়া গিয়েছে, তা সেই গ্রহের বায়ুমণ্ডলের দু’টি স্তরের মধ্যে ঘনীভূত অবস্থায় ছিল। ভূমি থেকে প্রায় ১০০ কিমি উচ্চতায়।
১৭১৭
এই প্রসঙ্গে হ্যাবার্স বলেন, ‘‘আমরা শুক্রের বিবর্তন বোঝার চেষ্টা করছি। এখনও সেই বোঝা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তার মধ্যেই এই আবিষ্কার শুক্র এবং এর বায়ুমণ্ডলীয় গঠনের অনুসন্ধানে একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় হয়ে উঠতে পারে।’’