Once winning Rs. 5 crore in KBC, Bihar Man Sushil Kuma is now running family by selling milk dgtl
kbc
Bihar: হতে চেয়েছিলেন আইএএস, কেবিসি-তে পাঁচ কোটি টাকা জেতা সুশীলের এখন সংসার চলে দুধ বিক্রি করে!
রাতারাতি বদলে গিয়েছিল সুশীলের দুনিয়া। কিন্তু সেই রঙিন দুনিয়ার আশেপাশে জায়গা হয়নি কাছের মানুষদের। প্রায় নিঃস্ব পাঁচ কোটি টাকা জেতা এই যুবক।
সংবাদ সংস্থা
পটনাশেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২২ ০৯:৪০
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৫
কথায় বলে, টাকায় টাকা আনে, মনের শান্তি আনে না। তবু বড়লোক হতে কে না চায়? বিহারের যুবক সুশীলও চেয়েছিলেন। মধ্যবিত্ত পরিবারের ঝকঝকে যুবক অল্প বয়সে কোটিপতিও হয়েছিলেন। কিন্তু সময়ের ফেরে তিনি আবার দুরবস্থায়। কেমন সেই কাহিনি?
কুইজ মাস্টার অমিতাভের একের পর এক প্রশ্নের জবাব দিয়ে পাঁচ কোটি টাকা পুরস্কার জিতেছিলেন সুশীল। রাতারাতি বদলে গেল সুশীলের ‘লাইফ স্টাইল’।
ছবি: সংগৃহীত।
০৪১৫
এলাকায় ‘সেলেব’ তকমা পেলেন সুশীল। দূরের গ্রামের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে ডাক পড়ত ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’ জেতা সুশীলের।
ছবি: সংগৃহীত।
০৫১৫
কী করলেন পাঁচ কোটি টাকা নিয়ে? সুশীলের কথায়, ‘‘রাতারাতি জীবন বদলে গেল। প্রচারে থাকতে ভালই লাগত।’’ কিন্তু এখন সেই সুশীলই প্রচারমাধ্যমের কাউকে দেখলে তিতিবিরক্ত হন। এড়িয়ে চলেন পরিচিতদের। হলটা কী?
ছবি: সংগৃহীত।
০৬১৫
২০২০ সালে একটি ফেসবুক পোস্টে নিজের অসহায়তার কথা জানান সুশীল কুমার। দীর্ঘ সেই পোস্টে সুশীল লেখেন, ‘এলাকায় আমি ‘সেলেব্রিটি’ হয়ে গিয়েছিলাম। ১০-১৫ দিন অন্তর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমার ডাক পড়ত। কিন্তু এর জন্য আমার পড়াশোনা প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার জোগাড় হয়।’
ছবি: সংগৃহীত।
০৭১৫
সেলেব তকমা পেয়ে প্রথমে পড়াশোনা নিয়ে অত ভাবনাই মাথায় আসেনি সুশীলের। প্রচার ভাল লাগতে শুরু করে। তার মধ্যে যে যেখানে বলতেন, সেখানেই অর্থ বিনিয়োগ করতে শুরু করেন পাঁচ কোটি টাকা জেতা সুশীল।
প্রতীকী চিত্র।
০৮১৫
নিজে অমিতাভ বচ্চনের বড় ভক্ত। তাঁরই অনুষ্ঠানে পুরস্কার জয়ের পর সুশীল ভেবেছিলেন জীবনটাই বদলে গিয়েছে। ফলস্বরূপ যে সুশীলের লক্ষ্য ছিল আইএএস অফিসার হবেন, তার প্রস্তুতি চলে যায় বিশ বাঁও জলে। তিনি বরং খেয়াল রাখতে শুরু করেন, কোন পত্রপত্রিকায় তাঁকে নিয়ে কী খবর পরিবেশিত হচ্ছে।
ছবি: সংগৃহীত।
০৯১৫
প্রায়শই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হাজির হতেন সুশীল। কোথাও কোথাও দান করতেন বড় অঙ্কের টাকা। সব সময় ব্যস্ত-ব্যস্ত ভাব। এ সবের মধ্যে পরিবার থেকে ক্রমশ দূরে সরে যান তিনি। কাছের মানুষের কাছে সুশীল যেন হঠাৎই অন্য গ্রহের মানুষ।
ছবি: সংগৃহীত।
১০১৫
সুশীলের স্বীকারোক্তি, ‘‘প্রচুর মানুষ আমাকে প্রতারণা করা শুরু করলেন। আর এ সবের মধ্যে স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক তলানিতে ঠেকল। ও আমাকে সাবধান করত, ভবিষ্যতের জন্য ভাবো। কিন্তু আমি পাত্তা দিইনি। বরং এ নিয়ে প্রায়শই ঝগড়া হত।’’
ছবি: সংগৃহীত।
১১১৫
এ ভাবেই ইতিউতি টাকা খরচ করে সর্বস্বান্ত হয়ে যান সুশীল। এত টাকা নিয়ে কী করলেন?
ছবি: সংগৃহীত।
১২১৫
বিভিন্ন অনুষ্ঠানে টাকা দেওয়া, যেখানে-সেখানে বিনিয়োগ শুরু করেন তিনি। প্রায় সব জায়গায় ঠকেন।
ছবি: সংগৃহীত।
১৩১৫
একটি সংবাদমাধ্যমকে সুশীল জানান, অবস্থা এমনই হয় যে, বাড়ির লোকের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয়। স্ত্রী রাগ করে বাড়ি ছেড়ে চলে যান।
ছবি: সংগৃহীত।
১৪১৫
যে আইএএস প্রত্যাশীর ব্যাঙ্কে ছিল কয়েক কোটি টাকা, তিনি এখন সর্বস্বান্ত! সংসার চালাতে দুটো গরুর দুধ বেচেন সুশীল।
ছবি: সংগৃহীত।
১৫১৫
এখন প্রচার থেকে দূরে থাকেন তিনি। কোনও রকমে সংসার চলে তাঁর। হঠাৎ বড়লোক হয়ে গেলে হয়তো এমনই হয়। নিজেই এ কথা বলেন সুশীল কুমার।