মহাকুম্ভের মেলা প্রতি ১২ বছর অন্তর বসে ভারতের চারটি স্থানে— হরিদ্বার, নাসিক, উজ্জয়িনী এবং প্রয়াগরাজে (পূর্বতন ইলাহাবাদ)। এর আগে ২০১৩ সালে প্রয়াগরাজের কুম্ভমেলায় গিয়েছিলেন মমতা। তার আগের বছর গঙ্গাস্নান সেরেছিলেন হরিদ্বারে, জানিয়েছিলেন নিজেই। চলতি মাসে প্রয়াগরাজের কুম্ভমেলায় সন্ন্যাস গ্রহণ করলেন তিনি।
মডেলিংয়ের সূত্রে ১৯৯১ সালে ‘নানবারগাল’ নামে একটি তামিল ছবিতে প্রথম অভিনয় করেছিলেন মমতা। কেরিয়ারের প্রথম ছবি হিট হওয়ার পর ‘মেরা দিল তেরে লিয়ে’ এবং ‘তিরঙ্গা’ ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি। তার পর মমতাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। নব্বইয়ের দশকে ‘করণ অর্জুন’, ‘ঘাতক’-এর মতো একের পর এক হিন্দি ছবিতে অভিনয় করে গিয়েছিলেন তিনি।
কখনও শুধুমাত্র নাচের দৃশ্যে, কখনও বা নায়কের প্রেমিকার চরিত্রে, কখনও মুখ্যচরিত্রে অভিনয় করেছিলেন মমতা। হিন্দি ছবির পাশাপাশি তামিল, তেলুগু, মালয়ালম এবং কন্নড় ভাষার ছবিতে কাজ করেছিলেন তিনি। মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে ‘ভাগ্য দেবতা’ নামের একটি বাংলা ছবিতে অতিথিশিল্পী হিসাবে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠান করতেন মমতা।
কানাঘুষো শোনা যায়, এক রাজনৈতিক নেতার আমন্ত্রণে রাঁচীতে অনুষ্ঠান করতে গিয়েছিলেন মমতা। সেখানে অনুষ্ঠান করে সওয়া কোটি টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন তিনি। কোনও হিন্দি ছবিতে কাজ করেও সেই সময় বলিউড অভিনেতারা এত পারিশ্রমিক পেতেন না, যা মমতা একটি অনুষ্ঠানে পারফর্ম করে পেয়েছিলেন। বলিপাড়ার গুঞ্জন, পরে নাকি ওই নেতার সঙ্গে পটনায় কিছুটা সময় কাটিয়েছিলেন মমতা।
পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে জনসমক্ষে ক্ষমাপ্রার্থনা করেছিলেন মমতা। এমনকি, আদালতে ১৬ হাজার টাকা জরিমানাও দিয়েছিলেন তিনি। কটাক্ষের শিকার হলেও মমতার ছবি প্রকাশ পাওয়ায় পত্রিকাটি বেশি দামে বিক্রি হতে থাকে। অভিনেত্রী জনসমক্ষে ক্ষমা চাওয়ায় সকলে তাঁকে ক্ষমাও করে দিয়েছিলেন। এই ঘটনার পর ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আবার চুটিয়ে কাজ করতে শুরু করেছিলেন তিনি।
রাজকুমারের দাবি ছিল, মমতা মিথ্যা বলছেন। সকলে রাজকুমারের কথাই বিশ্বাস করেছিলেন। কিন্তু এই ঘটনার পর ইন্ডাস্ট্রিতে মমতা সম্পর্কে ধারণা বদলে গিয়েছিল।‘চায়না গেট’ ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর মমতা দাবি করেছিলেন যে, তাঁর অভিনীত দৃশ্যগুলির উপর কাঁচি চালিয়ে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। ছবিতে যেন বেশি গুরুত্ব পেয়ে যায় ঊর্মিলা মাতন্ডকরের ‘ছম্মা ছম্মা’ নাচটি। তাই এই ছবি মুক্তির পর মমতার চেয়ে ঊর্মিলার জনপ্রিয়তা বেড়ে গিয়েছিল।
কিন্তু মমতা এবং তিনুর সম্পর্কে হঠাৎ চিড় ধরে। নিত্য অশান্তি হত দু’জনের। তিনুর স্ত্রী তাঁদের সম্পর্কের কথা জানতে পারলে মমতার সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করেন তিনুও। তিনুর সঙ্গে সম্পর্কের কথা কোনও দিন স্বীকার করেননি মমতা। কিন্তু তিনু পুরনো এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন যে, মমতার জন্য তিনি নিজের স্ত্রীকে ছেড়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়ে খুব ভুল করেছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy