আমেরিকার নৌবাহিনীর গুপ্তচর লেফটেন্যান্ট জেনারেল চার্লস র্যাডক্লিফ হাফেনডেনের কানেও এই খবর আসে। তিনি বিশেষ সূত্রে জানতে পারেন লং আইল্যান্ডের পূর্ব দিকে কয়েক জন সন্দেহভাজন ঘোরাফেরা করছে। তিনি যদিও গতানুগতিক ভাবে নিজের কাজটা করতেন না। তাঁর খবর সংগ্রহের উৎসও ছিল অন্য রকম। হাফেনডেন খবরের জন্য ভরসা করতেন মাফিয়া এবং গুন্ডাদের উপর।
লং আইল্যান্ডে সন্দেহভাজনদের ঘোরাফেরা করতে দেখে এক সরাইখানায় বৈঠকে বসলেন হাফেনডেন। যে মাফিয়ারা তাঁকে খবর দিতেন, তাঁদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করলেন। মাফিয়াদের এই দলটি বড় ভূমিকা নিয়েছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়। অনেক দূতাবাসে ছলচাতুরি করে ঢুকে খবর নিয়ে আসতেন তাঁরা। আর বন্দরের খবর সংগ্রহ করতেন মৎস্যজীবীদের থেকে।
হাফেনডেনের নিউ ইয়র্ক বন্দর বাঁচানোর এই উদ্যোগ নিয়ে একটি বই লেখেন ম্যাথিউ ব্ল্যাক। বইয়ের নাম ‘অপারেশন আন্ডারওয়ার্ল্ড: হাউ দ্য মাফিয়া অ্যান্ড দ্য ইউএস গভর্নমেন্ট টিমড আপ টু উইন ওয়ার্ল্ড ওয়ার’। লেখক ম্যাথিউ জানান, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর আমেরিকান নৌবাহিনী বুঝতে পারে নিউ ইয়র্কের বন্দর রক্ষার মতো যথেষ্ট পরিকাঠামো নেই তাঁদের। গুপ্তচরবৃত্তির জন্য স্থানীয় দোকানি, মৎস্যজীবীদের উপর ভরসা করতে শুরু করে তারা। কিন্তু স্থানীয়রাই আমেরিকার নৌসেনাকে পছন্দ করতেন না।
১৯৪৩ সালে সিসিলি দখল করে মিত্রশক্তি। তাতে বড় ভূমিকা ছিল লুসিয়ানোর। সিসিলি দখলের পর আমেরিকার মাফিয়ারাই সেখানকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগসূত্র গড়ে তোলেন। স্থানীয় মাফিয়াদের সঙ্গেও যোগাযোগ গড়ে তোলেন। তাঁদের বোঝান, মিত্র শক্তি আসলে হিটলার-বিরোধী। সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাদের শত্রুতা নেই। সে দিন মাফিয়ারা সাহায্যে জন্য এগিয়ে না এলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ফল অন্য রকম হতে পারত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy