Navanna appointed Nandini Chakraborty as the WB Home secretary of the state, Who is this Nandini dgtl
Nandini Chakraborty
কে তিনি নন্দিনী? উত্থান-পতন-উত্থান
রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, নন্দিনীর ‘উত্থান-পতন’ বরাবরই শিরোনামে উঠে এসেছে। এ বারও তাই হল। রাজ্যপালের সচিব থেকে পর্যটন সচিব। সেখান থেকে রাজ্য প্রশাসনের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদে এখন নন্দিনী।
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতাশেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৬:২৩
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৫
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের প্রধান সচিব ছিলেন। বিস্তর বিতর্কের পরে সেই পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এ বার তিনি পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্রসচিব হলেন।
০২১৫
রবিবার প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রসচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিকের জায়গায় তাঁর নাম ঘোষণা করল নবান্ন। আইএএস অফিসার নন্দিনী চক্রবর্তী। তিনিই রাজ্যের নয়া স্বরাষ্ট্রসচিব।
০৩১৫
রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, নন্দিনীর ‘উত্থান-পতন’ বরাবরই শিরোনামে থেকেছে। এ বারও তাই হল। রাজ্যপালের সচিব থেকে পর্যটন সচিব। সেখান থেকে রাজ্য প্রশাসনের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদে এখন নন্দিনী। কিন্তু কে এই নন্দিনী?
০৪১৫
জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রী নন্দিনী। ১৯৯৪ ব্যাচের আইএএস অফিসার। বাম আমলে রাজ্য প্রশাসনের পদে যোগ দেন তিনি। ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে মমতার ‘প্রিয় পাত্রী’ হয়ে ওঠেন নন্দিনী।
০৫১৫
নন্দিনীকে শিল্পোন্নয়ন নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর করে তৃণমূল সরকার। পাশাপাশি তাঁকে তথ্য এবং সংস্কৃতি দফতরের ভারও দেওয়া হয়। ১৯৯০ ব্যাচের আইএএস সুব্রত গুপ্ত দিল্লি চলে গেলে নন্দিনীর উপর শিল্পোন্নয়ন নিগমের পুরোপুরি দায়িত্ব পড়ে।
০৬১৫
প্রশাসন সূত্রে খবর, ২০১২ সালে একটি ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর রোষের মুখে পড়েন নন্দিনী। তখন বারাসতে যাত্রা উৎসব চলাকালীন নন্দিনীর কাছে খবর আসে, তাঁর মেয়ে অসুস্থ। উৎসব মঞ্চেই মমতাকে জানান, পরের দিন পানাগড়ে মাটি উৎসবে তিনি যেতে পারবেন না।
০৭১৫
মাটি উৎসবে উপস্থিত না থাকায় ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী। গুরুত্বহীন পদে বদলি করা হয় নন্দিনীকে। শিল্পোন্নয়ন নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও তথ্য এবং সংস্কৃতি দফতর থেকে সরিয়ে তাঁকে বদলি করা হয় স্টেট গেজেটিয়ারের সম্পাদক পদে।
০৮১৫
ওই বদলির আট-ন’মাস পরে আবার সচিব পদে উত্থান হয় নন্দিনীর। তাঁকে সুন্দরবন বিষয়ক সচিব করা হয়। রাজ্য সরকারের কাছাকাছি আসতে শুরু করেন ওই আইএএস অফিসার। তবে ওই দফতরে গিয়েও বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি।
০৯১৫
নবান্নে সূত্রে খবর, তৎকালীন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরার কয়েকটি কাজ নিয়ে সরব হন রাজ্যপালের প্রাক্তন প্রধান সচিব। সে বারও মন্ত্রীর সঙ্গে সচিবের ওই দ্বন্দ্ব ভাল ভাবে নেননি মুখ্যমন্ত্রী। আবার ডানা ছাঁটা হয় নন্দিনীর।
১০১৫
তুলনামূলক কম গুরুত্বপূর্ণ পদে পাঠানো হয় নন্দিনীকে। তাঁকে প্রেসিডেন্সি রেঞ্জের কমিশনার করা হয়। এমতাবস্থায় দ্বন্দ্ব এড়াতে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারে পদে যেতে চেয়েছিলেন।
১১১৫
নবান্ন সূত্রের খবর, দু’বছরে বার তিনেক নন্দিনী ওই আর্জি করেন। কিন্তু প্রতি বারই মুখ্যমন্ত্রী তা খারিজ করে দেন। আবার পদোন্নতি হয় নন্দিনীর। পর্যটন দফতরের সচিব হন ওই আইএএস।
১২১৫
প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় উপরাষ্ট্রপতি হলে এ রাজ্যের অন্তর্বর্তী রাজ্যপাল হন মণিপুরের তৎকালীন রাজ্যপাল লা গণেশন। সেই সময়ই রাজভবনের অন্দরে প্রবেশ করেন নন্দিনী।
১৩১৫
স্থায়ী রাজ্যপাল হয়ে সিভি আনন্দ বোস এলে নন্দিনী তাঁর প্রধান সচিব হন। বিতর্ক তৈরি হয় সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে। রাজভবন সূত্রে খবর, নন্দিনীর লেখা ভাষণ সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বলেন রাজ্যপাল। যেখানে মমতার ভূয়সী প্রশংসা করা হয়। যা নিয়ে বিজেপি সরব হয়।
১৪১৫
নন্দিনীর ওই কাজে ক্ষুব্ধ হন বোসও। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি রাজ্যপাল তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেন। রাজভবন থেকে বেরিয়ে আবার পর্যটন দফতরে ফিরে যান নন্দিনী।
১৫১৫
রবিবার সেখান থেকে নবান্নে সরকারের শীর্ষস্থানীয় আমলাদের মধ্যে জায়গা করে নিলেন নন্দিনী। স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী। যা দেখে অনেকেই বলছেন, নন্দিনীর উত্থান-পতন সত্যিই শিরোনাম।