স্বাধীন ভারতে কাশ্মীরের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলি
জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়া নিয়ে তুলকালাম দেশজুড়ে। সোমবার রাজ্যসভার মতোই মঙ্গলবার জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল ঝড় তুলেছে লোকসভায়। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক স্বাধীন ভারতে কাশ্মীরের পালাবদলের যাবতীয় দিনক্ষণ।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০১৯ ১৬:১৪
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৩
জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়া নিয়ে তুলকালাম দেশজুড়ে। সোমবার রাজ্যসভার মতোই মঙ্গলবার জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল ঝড় তুলেছে লোকসভায়। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক স্বাধীন ভারতে কাশ্মীরের পালাবদলের যাবতীয় দিনক্ষণ।
০২১৩
১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট ভারত স্বাধীন হওয়ার সময়ে জম্মু কাশ্মীর ভারতের অন্তর্ভুক্ত ছিল না। পাকিস্তানি সেনা অনুপ্রবেশের কারণে ওই বছর অক্টোবর মাসের ২৭ অক্টোবর রাজা হরি সিংহ কাশ্মীরের ভারতভুক্তির চুক্তি সই করেন।
০৩১৩
মহারাজা হরি সিংহের নেতৃত্বেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গড়ে ওঠে কাশ্মীরে। শেখ আবদুল্লাহ কাশ্মীরের শাসক নিযুক্ত হন।
০৪১৩
২৬ জানুয়ারি ১৯৫০: ভারতের সংবিধান কার্যকরী হল। সংবিধানের এক নম্বর ধারায় কাশ্মীরকে ভারতীয় রাজ্য হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হল। ৩৭০ ধারা অনুযায়ী বিশেষ সুবিধা পেতে শুরু করল কাশ্মীর। ১৯৫৬ নতুন সংবিধান পেল কাশ্মীর. এই সংবিধানে কাশ্মীরকে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলা হয়।
০৫১৩
১৯৫৭ কাশ্মীরের প্রথম বিধানসভা ভোট অনুষ্ঠিত হয় এই বছর। তদানীন্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গোবিন্দ বল্লভ পন্থ কাশ্মীরে যান। বলেন, কাশ্মীর সন্দেহাতীত ভাবে ভারতের অংশ, গণভোট দরকার নেই। ১৯৬২ ভারত চিন যুদ্ধের পরে আকসাই চিন দখল করে কাশ্মীর।
০৬১৩
১৯৬৫ সালের মে মাসে কাশ্মীরের দু'টি সাংবিধানিক পদ প্রধানমন্ত্রী ও সদর-ই-রিয়াসত নিষ্ক্রিয় করে মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপাল-এই দুটি পদ কাশ্মীরে চালু করা হয়। এই বছর ভারত পাক যুদ্ধ বাধে।
০৭১৩
১৯৭২-এ ভারত পাকিস্তানের মধ্যে সিমলা চুক্তি হয়। নিয়ন্ত্রণরেখা না ভাঙার বিষয়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয় দুই দেশ। ১৯৭৫ সালে কাশ্মীরে বিধানসভার নির্বাচনে শেখ আবদুল্লা পুনঃনির্বাচিত হন।
০৮১৩
১৯৯০- এই সময়ে কাশ্মীরে হিংসা বাড়তে বাড়তে থাকে। জম্মু কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের নেতৃত্বে কাশ্মীরি যুবকরা স্বাধীন কাশ্মীরের দাবি জানাতে থাকেন। গোটা নব্বইয়ের দশকেই কাশ্মীরি পণ্ডিতরা ভিটেছাড়া হন সন্ত্রাসের জেরে। দিল্লিতে আশ্রয় নেন তারা।
০৯১৩
১৯৯৫-২০০০- এই বছর জম্মু কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পিভি নরসিমা রাও বলেন ৩৭০ ধারা বলবতই থাকবে।
পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী কাশ্মীর পরিদর্শন করেন। কার্গিলে ভারত-পাক যুদ্ধ বাধে। মাসুদ আজাহার-সহ তিন জঙ্গির মুক্তির দাবিতে বিমান অপহরণ হল এই বছরে।
১০১৩
২০০১-২০১০
মনমোহন জমানায় কাশ্মীরে পরিস্থিতি একটু ঠাণ্ডা ছিল। তবে এই সময়েই কাশ্মীরকে কেন্দ্র করেই বারবার লস্কর-ই-তইবা হামলা চালায় দেশের নানা প্রান্তে। অন্য দিকে কাশ্মীরে জঙ্গি হত্যাকে ঘিরে প্রতিবাদও সংগঠিত হয় বারবার।
১১১৩
২০১৩-২০১৮— ২০০১ সালে সংসদ ভবনে হামলার দায়ে আফজল গুরুকে ফাঁসি দেওয়া হল। এই সময়ে ‘পেলেট বনাম পাথর’ চলছে কাশ্মীরে ভারতীয় সেনা ও বিচ্ছিন্নতাবাদী কাশ্মীরিদের মধ্যে। ২০১৫ সালে কাশ্মীরে প্রথম সরকার গড়ে বিজেপি। বুরহান ওয়ানির মৃত্যুকে ঘিরে কাশ্মীর উত্তাল হয়। ২০১৮ সালে কাশ্মীরে বিজেপি ও পিডিপি-এর জোট ছিন্ন হয়। এই বছর কাশ্মীরে বিধানসভা ভেঙে রাষ্ট্রীয় শাসন জারি করা হয়।
১২১৩
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯- পুলওয়ামায় ৪০ জন সেনার মৃত্যু হয় মর্মান্তিক জঙ্গিহানায়।
১৩১৩
মে ২০১৯- জনাদেশে দেশে ক্ষমতায় ফেরে বিজেপি, ক্ষমতায় এসেই বিজেপি ঘোষণা করেছিল ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়া হবে। ৪ অগস্ট, ২০১৯ মেহেবুবা মুফতি, ওমর আবদুল্লাকে গৃহবন্দি করা হয়। ৫ অগস্ট, ২০১৯ স্বরাষ্টমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যসভায় ৩৭০ ধারা রদ করার প্রস্তাব পেশ করেন।