NASA discovered an object moving 1 million miles per hour dgtl
Nasa discovers alien object
নাসার টেলিস্কোপে ধরা পড়ল রহস্যময় বস্তু, বিপুল বেগে ধেয়ে আসছে কক্ষ ছেড়ে! বিপদে পৃথিবী?
নাসার ‘ব্যাকইয়ার্ড ওয়ার্ল্ডস: প্ল্যানেট ৯’ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত একদল বিজ্ঞানী একটি রহস্যময় বস্তু আবিষ্কার করেছেন। এর নামকরণ করা হয়েছে বিশাল এক সংখ্যার দ্বারা।
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতাশেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০২৪ ১২:১৬
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৩
গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬ লক্ষ কিলোমিটারেরও বেশি। আকাশগঙ্গা ছায়াপথের কক্ষ থেকে যে কোনও সময় বেরিয়ে তা দু’টি ছায়াপথের মাঝের অংশে (ইন্টারগ্যালাকটিক স্পেস) চলে আসতে পারে।
০২১৩
দুর্দান্ত গতির একটি রহস্যময় বস্তুকে নাসার নাগরিক বিজ্ঞানীরা আকাশগঙ্গা থেকে বেরিয়ে আসতে দেখেছেন সম্প্রতি। নাসার ‘ব্যাকইয়ার্ড ওয়ার্ল্ডস: প্ল্যানেট ৯’ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত একদল বিজ্ঞানী এই রহস্যময় বস্তু আবিষ্কার করেছেন।
০৩১৩
এর নামকরণ করা হয়েছে বিশাল এক সংখ্যার দ্বারা। নাগরিক বিজ্ঞানীরা কয়েক বছর আগে একটি ক্ষীণ অথচ দ্রুত গতির বস্তু লক্ষ করেছিলেন। শক্তিশালী একটি টেলিস্কোপের সাহায্যে দীর্ঘ কয়েক বছর এর গতিবিধি লক্ষ্য করে তাঁরা নিশ্চিত হন যে বস্তুটি অস্বাভাবিক গতিবেগে ধাবমান।
০৪১৩
সিডব্লিউআইএসসিজে ১২৪৯ নামের এই রহস্যময় বস্তুটি প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ১৬ লক্ষ কিলোমিটারেরও বেশি পথ পেরোচ্ছে বলে নাসা জানিয়েছে।
০৫১৩
এই উল্লেখযোগ্য আবিষ্কারের জন্য নাসা তাদের প্রকল্পে যুক্ত নাগরিক বিজ্ঞানীদের বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছে। এই নাগরিক বিজ্ঞানী কারা? এঁরা সাধারণ নাগরিক। যে কোনও নাগরিক, গবেষক, বিজ্ঞানী অথবা বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করা যে কেউ এই প্রকল্পের আওতায় আবেদন করে অংশগ্রহণ করতে পারেন।
০৬১৩
নাসার আমন্ত্রণে সংস্থার সঙ্গে কাজ করতে প্রয়োজন মতো ডাক পড়ে নাগরিক বিজ্ঞানীদের। নাসার ব্যাকইয়ার্ড ওয়ার্ল্ডস: প্ল্যানেট নাইন প্রকল্পটিতে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে এই সমস্ত নাগরিক বিজ্ঞানী এক হয়ে সৌরজগতের নিকটতম প্রতিবেশী ও ছায়াপথের পশ্চাৎপটের নানা অজানা ক্ষীণ বস্তুগুলি আবিষ্কার করেন।
০৭১৩
নবম গ্রহ হিসাবে প্লুটো নিজের কৌলীন্য হারাবার পর ধারণা করা হয়েছিল সৌরজগতের বাইরের অঞ্চলে অন্য কোনও একটি কাল্পনিক গ্রহ থাকতে পারে, যাকে সাধারণত প্ল্যানেট নাইন নামে ডাকে নাসা। এই গ্রহটি কোথায় আছে সেটি খুঁজে বার করার জন্যই এই ব্যাকইয়ার্ড ওয়ার্ল্ডস: প্ল্যানেট নাইন প্রকল্প।
০৮১৩
ইনফ্রারেড আলোয় তোলা মহাকাশের যে ছবি নাসার হাতে ছিল, ব্যাকইয়ার্ড ওয়ার্ল্ডসের নাগরিক বিজ্ঞানী মার্টিন কাবাটনিক, থমাস পি বিকল এবং ড্যান ক্যাসেলডেন সেগুলি জুড়ে একটি ক্ষীণ, দ্রুত গতিশীল বস্তু দেখতে পান।
০৯১৩
বস্তুটির ভর কম থাকায় একে বাদামি বামন গ্রহের পর্যায় ফেলা সম্ভব হয়নি। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এটি সম্ভবত ছায়াপথের সবচেয়ে প্রাচীন বস্তু অথবা নক্ষত্রেরই প্রথম প্রজন্ম। নাসার পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য বলছে, বাদামি বামন গ্রহের তুলনায় অনেক কম লোহা এবং অন্যান্য ধাতু এতে রয়েছে।
১০১৩
সাধারণ বাদামি বামন গ্রহ বিরল নয়। ব্যাকইয়ার্ড ওয়ার্ল্ডস: প্ল্যানেট ৯ স্বেচ্ছাসেবকেরা ইতিমধ্যেই চার হাজারের বেশি বাদামি ‘বামন গ্রহ’ আবিষ্কার করেছেন। কিন্তু এদের মধ্যে কেউই ছায়াপথ থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেনি বলে নাসা জানিয়েছে। বেশির ভাগ পরিচিত গ্রহ-নক্ষত্রেরা শান্তিপূর্ণ ভাবে আকাশগঙ্গার কেন্দ্রকে প্রদক্ষিণ করে।
১১১৩
নাসা মনে করছে, মূলত শক্তিশালী সুপারনোভা বিস্ফোরণের ফলে আরও একটি সাদা বামন গ্রহের সঙ্গে জন্ম নিয়েছিল সিডব্লুউআইএসসিজে ১২৪৯। আর একটি সম্ভাবনার কথাও নাসা জানিয়েছে। নাসার মতে, ‘গ্লোবিউলার ক্লাস্টার’ নামের নক্ষত্রপুঞ্জের সঙ্গে একজোড়া কৃষ্ণগহ্বরের সংঘর্ষ থেকেও সৃষ্টি হতে পারে এটির।
১২১৩
নাসার জ্যোতির্বিদ্যা এবং জ্যোতির্পদার্থবিদ্যা বিভাগের গবেষক কাইল ক্রেমার জানিয়েছেন, একটি নক্ষত্র ও কৃষ্ণগহ্বর মুখোমুখি হলে তৈরি হয় জটিল গতিশীলতা। এটি নক্ষত্রটিকে ক্লাস্টারের বাইরে বার করে দিতে পারে। এই ভাবে প্রচণ্ড গতিতে ছায়াপথের বাইরে বেরিয়ে আসতে চাইছে এটি।
১৩১৩
এই প্রবল গতিবেগ নিয়ে সিডব্লিউআইএসসিজে ১২৪৯ কি পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসতে পারে? এমন কোনও আশঙ্কার কথা শোনায়নি নাসা। তবে নতুন আবিষ্কৃত বস্তু নিয়ে আরও নিবিড় গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছে নাসা।