মুম্বইয়ে বাণিজ্যিক গাড়ি একটানা ২০ বছর ব্যবহার করা যায়। তার পর তা চলে যায় বাতিলের খাতায়। পরিবহণ দফতরের এক কর্তা জানাচ্ছেন, শেষ প্রিমিয়ার পদ্মিনী কালো-হলুদ ট্যাক্সিটি নথিভুক্ত হয়েছিল তারদেও আরটিও-তে। তারিখ ছিল ২০০৩ সালের ২৯ অক্টোবর। ক্যালেন্ডার গুনে রবিবারই শেষ হচ্ছে সেই ২০ বছরের সময়সীমা। ফলে কালের নিয়মেই তা বাতিল হয়ে যাচ্ছে।
মুম্বইয়ের গাড়িপ্রেমী ড্যানিয়েল সিক্যুয়েরারও মনখারাপ। ছেলেবেলা থেকে যে সঙ্গী, সে এ ভাবে ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই পাচ্ছে দেখে মাথায় ভিড় করছে কত শত স্মৃতি। তিনি সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন, যাতে অন্তত একটি প্রিমিয়ার পদ্মিনী কালি-পিলি ট্যাক্সি সংরক্ষণ করা হয়। যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম মুম্বইয়ের বিখ্যাত অভিজ্ঞানকে ছুঁয়ে দেখার সুযোগটুকু অন্তত পায়।
তাহলে কি মুম্বইয়ের রাস্তায় আর দেখাই মিলবে না কালি-পিলির? উত্তর হল, না। প্রিমিয়ার পদ্মিনী কালো-হলুদ ট্যাক্সিই কেবল তামাদি হয়েছে। বাণিজ্যনগরীর রাস্তায় বহাল তবিয়তেই ছুটে চলবে ‘ওয়াগন-আর’ বা ‘স্যান্ট্রো’ কালি-পিলি ট্যাক্সি। তবে বিখ্যাত অভিজ্ঞান প্রিমিয়ার পদ্মিনী কালো-হলুদ ট্যাক্সি আর দৌড়বে না মায়ানগরীর সরণিতে।
মুম্বই যেমন অ্যাম্বাসাডরকে আদর করে কোলে বসায়নি, তেমনই কলকাতার রাস্তায় হলুদ ফিয়াট ট্যাক্সির দেখাও মেলেনি। অথচ, এ নিয়ে কোথাও কোনও বোঝাপড়াও ছিল না। তা হলে কেন দুই শহরের দুই ধরনের ট্যাক্সির মিশ্রণ ঘটল না? উত্তর মেলার আগেই মায়ানগরীর মায়া কাটিয়ে মুম্বইয়ের রাস্তাকে আলবিদা জানাচ্ছে অতিপ্রিয় কালি-পিলি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy