Mike Tyson, a legend in boxing ring lands in many controversy with his three wives dgtl
Mike Tyson
বৌয়ের সঙ্গে নিয়মিত মারামারি করতেন! অন্য পুরুষের সঙ্গে বিছানায় স্ত্রীকে ধরেও ফেলেন টাইসন
টাইসনের জীবনে বিতর্কের অভাব ছিল না। ধর্ষণের দায়ে ৬ বছরের জেল খেটেছেন। প্রথম স্ত্রীকে পেটানোয় অভিযুক্ত হয়েছেন। আবার রিংয়ের মধ্যে ইভান্ডার হোলিফিল্ডের কান কামড়ে মাংস ছিঁড়ে নিয়েছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতাশেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২২ ০৯:৫০
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৯
মাইক জেরার্ড টাইসন। বক্সিং রিংয়ে সর্বকালের সেরাদের মধ্যে তিনি অন্যতম। রেকর্ড বইয়ে লেখা, পেশাদার জীবনে ৫৮টির মধ্যে ৫০টিই জিতেছেন। হেরেছেন ৬টিতে। বাকি দু’টির ফলাফল হয়নি। এর সঙ্গে যোগ করুন ৪৪টি নকআউট। এ হেন মাইক টাইসনকে তো বক্সিংয়ের ইতিহাসে অন্যতম কিংবদন্তি বলাই হবে।
০২১৯
রিংয়ের অন্যতম কিংবদন্তিকে অনেকেই ‘আয়রন মাইক’ বা ‘কিড ডিনামাইট’ নাম দিয়ে ফেলেছিলেন। তবে কুড়ি বছরের পেশাদার জীবনের গোড়ায় এ সব তকমা পেলেও শেষের দিকে তিনি হয়ে গিয়েছিলেন ‘এ গ্রহের সবচেয়ে নিকৃষ্ট মানুষ’ (দ্য ব্যাডেস্ট ম্যান অন দ্য প্ল্যানেট)।
০৩১৯
কেচ্ছা হোক বা অপরাধ অথবা বিতর্ক— প্রাক্তন হেভিওয়েট বক্সিং চ্যাম্পিয়ন টাইসনের জীবনে কিছুরই অভাব ছিল না। ধর্ষণের দায়ে ৬ বছরের জেল খেটেছেন। প্রথম স্ত্রীকে পেটানোয় অভিযুক্ত হয়েছেন। আবার রিংয়ের মধ্যে যুযুধান প্রতিপক্ষ ইভান্ডার হোলিফিল্ডের কান কামড়ে মাংস ছিঁড়ে নিয়েছেন।
০৪১৯
আশির দশকে কেরিয়ারের তুঙ্গে থাকাকালীন টাইসনের ব্যক্তিগত জীবনও বার বার শিরোনামে উঠে আসত। এখনও পর্যন্ত ৩টি বিয়ে করেছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন হলিউড অভিনেত্রী থেকে জেলখাটা কয়েদি।
০৫১৯
তিন বারের দাম্পত্যজীবনে এবং এক বান্ধবীর সঙ্গে সম্পর্কে ৭ সন্তানের জনক হয়েছেন ৫৬ বছরের টাইসন। মাইকি লোরনা, রায়না, আমির, মিগুয়েল, মিলান এবং মরক্কো। তবে ২০০৯ সালে একটি দুর্ঘটনায় তাঁর ৪ বছরের শিশুকন্যা এক্সোডাস মারা যায়।
০৬১৯
পেশাদার হিসাবে ১৯৮৫ সালে রিংয়ে প্রবেশ করেছিলেন ১৮ বছরের টাইসন। তার তিন বছরের মধ্যেই কেরিয়ায়ের তুঙ্গে থাকাকালীন তড়িঘড়ি রবিন গিভেন্সের সঙ্গে সংসার পাতেন তিনি। গিভেন্স যে তাঁর সন্তানের মা হতে চলেছেন! যদিও গর্ভেই ওই সন্তান নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।
০৭১৯
টাইসনের প্রথম স্ত্রী গিভেন্স ছিলেন মডেল তথা হলিউড অভিনেত্রী। পরে অবশ্য ছবিও পরিচালনা করেছেন। লিখেছেন বইও। আশির দশকে হামেশাই ট্যাবলয়েডের পাতায় ভেসে উঠতেন টাইসন-গিভেন্স জুটি।
০৮১৯
যদিও গিভেন্সের সঙ্গে টাইসনের জুটি টিকেছিল মোটে ১১ মাস। ওই কয়েক মাসে গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হয়েছিলেন বলে অভিযোগ করে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা রুজু করেন গিভেন্স।
০৯১৯
গিভেন্সকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছিল টাইসনের বিরুদ্ধে। টাইসনের সঙ্গে তাঁর দাম্পত্য কেমন ছিল? ১৯৮৮ সালে একটি সাক্ষাৎকারে এ প্রশ্নের উত্তরে গিভেন্স বলেছিলেন, ‘‘অত্যাচার, পুরোপুরি নরক। কল্পনারও অতীত এমন খারাপ।’’
১০১৯
গিভেন্সের এই অভিযোগ কার্যত স্বীকার করেছিলেন টাইসন। যদিও ওপরা উইনফ্রের কাছে সাক্ষাৎকারে টাইসন বলেছিলেন, ‘‘আমি ওকে মারধর করেছি। এবং ও আমাকে মেরেছে। সেটা ওই রকমেরই সম্পর্ক ছিল।’’
১১১৯
গিভেন্সের সঙ্গে বিচ্ছেদের বহু বছর পর ‘আনডিসপিউটেড ট্রুথ দ্যাট’ নামে আত্মকথায় প্রাক্তন স্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করেছিলেন টাইসন। ২০১৩ সালে প্রকাশিত ওই বইয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, ব্র্যাড পিটের সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত থাকার সময় গিভেন্সকে ধরে ফেলেছিলেন তিনি।
১২১৯
টাইসনকে দেখে নাকি ভয়ে এতটাই সিঁটিয়ে গিয়েছিলেন ব্র্যাড পিট, যে তাঁকে বলেছিলেন, ‘‘ডুড, আমাকে মেরো না।’’ পরে টাইসন বলেছিলেন, ‘‘সে সময় ব্র্যাড পিটের মুখখানা দেখার মতো ছিল। যেন নিজের শেষকৃত্যের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন!’’ যদিও পরকীয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন গিভেন্স।
১৩১৯
গিভেন্সের সঙ্গে বিচ্ছেদের প্রায় দশক পরে মনিকা টার্নারকে বিয়ে করেছিলেন টাইসন। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ টার্নারের সঙ্গে টাইসনের আলাপ হয়েছিল অভিনেতা এডি মারফির দেওয়া একটি পার্টিতে। তার ৭ বছর পর বিয়ে করেন তাঁরা।
১৪১৯
টার্নারের সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীন ধর্ষণের অভিযোগ জেল হয়েছিল টাইসনের। ১৯৯২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি তাঁকে ৬ বছরের জন্য জেলে পাঠানো হয়েছিল। ’৯৫-এ জেল থেকে ছাড়া পান তিনি। জেলবন্দি টাইসনের পাশে ছিলেন টার্নার। প্রেমিককে দেখতে প্রতি সপ্তাহে দু’বার জেলে যেতেন তিনি।
১৫১৯
১৯৯৫ সালে জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর টার্নারের সঙ্গে মেরিল্যান্ডে থাকতে শুরু করেন টাইসন। বছর দুয়েক পর বিয়ে করেন তাঁরা। যদিও ২০০৩ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। সে সময় টাইসনের বিরুদ্ধে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ এনেছিলেন তিনি। যদিও টাইসনের সঙ্গে তাঁর দাম্পত্যজীবন নিয়ে প্রকাশ্যে বিশেষ মুখ খোলেননি টার্নার।
১৬১৯
২০০৭ সালে লেকিহা স্পাইসারকে বিয়ে করেন টাইসন। তৃতীয় স্ত্রীকে আদর করে ‘কিকি’ বলে ডাকেন তিনি। বক্সিংয়ের ভক্ত ১৮ বছরের লেকিহার সঙ্গে টাইসনের দেখা করিয়ে দিয়েছিলেন বক্সিং প্রোমোটার ডন কিং। বহু বছর পর ২০০৯ সালে লেকিহার সঙ্গে ঘর বাঁধেন টাইসন।
১৭১৯
বিয়ে না করলেও সল শোচির সঙ্গে দীর্ঘ দিন সম্পর্কে ছিলেন টাইসন। তাঁদের দু’টি সন্তানও হয়েছিল— মিগুয়েল লিয়োঁ এবং এক্সোডাস। তবে লাস ভেগাসে একটি জমকালো অনুষ্ঠানে স্পাইসারকে বিয়ে করার সপ্তাহ দুয়েক আগে এক্সোডাসের মৃত্যু হয়।
১৮১৯
৩ বারের দাম্পত্যে স্পাইসারের সঙ্গেই সবচেয়ে বেশি সময় কেটেছে টাইসনের। দু’জনের মিলান এবং মরক্কো নামে সন্তানও রয়েছে। তবে স্পাইসারের জীবনেও বিতর্ক কম নয়। বাবা ক্লেরেন্স ফাওলারের সংস্থা থেকে ৬০,০০০ পাউন্ড তছরুপের দায়ে ছ’মাসের জন্য জেলে যেতে হয়েছিল অন্তঃসত্ত্বা স্পাইসারকে।
১৯১৯
স্পাইসারের সঙ্গে দীর্ঘতম সম্পর্কে থাকলেও ২০২০ সালে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন টাইসন। তাঁর স্বীকারোক্তি ছিল, এই দাম্পত্যে মোটে গত বছর দুয়েক বিশ্বস্ত ছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে বলেছিলেন, ‘‘স্ত্রীকে ছাড়া আমি হিংস্র জন্তু... যদিও বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মহিলাদের অন্য ভাবে দেখতে শিখেছি।’’