Meet Russian Model and Wife of Telugu Superstar Pawan Kalyan Anna Lezhneva dgtl
Pawan Kalyan
তেলুগু সিনেমার ‘পাওয়ার স্টার’ থেকে অন্ধ্রপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী, পবনের কল্যাণের নেপথ্যে রুশ স্ত্রী?
জনপ্রিয় তেলুগু অভিনেতা থেকে পূর্ণ সময়ের রাজনীতিক হয়ে ওঠা পবনের জীবনে এক নারীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করেন তাঁর ঘনিষ্ঠজনেরা। তিনি আর কেউ নন, পবনের স্ত্রী আনা লেজ়নেভা।
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতাশেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০২৪ ১৫:১৬
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৮
প্রাজ্ঞজনেদের একাংশ বলে থাকেন, প্রত্যেক সফল পুরুষেরই নেপথ্যে এক জন নারী থাকেন। এই বক্তব্যই যেন সত্যি হয়েছে অভিনেতা-রাজনীতিক পবন কল্যাণের ব্যক্তিগত এবং রাজনৈতিক জীবনে।
০২১৮
সম্প্রতি অন্ধ্রপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন পবন। তাঁর দল জনসেনা পার্টি (জেএসপি) চন্দ্রবাবু নায়ডুর তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি) এবং বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে অন্ধ্রের বিধানসভা এবং লোকসভা ভোটে লড়েছিল।
০৩১৮
বিধানসভা ভোটে ২১টি আসনে লড়ে সব ক’টিতেই জয়ী হয়েছে পবনের দল। আর ছোট আঞ্চলিক দল হলেও এ বার লোকসভায় থাকছেন পবনের দলের দুই সদস্য।
০৪১৮
জনপ্রিয় তেলুগু অভিনেতা থেকে পূর্ণ সময়ের রাজনীতিক হয়ে ওঠা পবনের জীবনে এক নারীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করেন তাঁর ঘনিষ্ঠজনেরা। তিনি আর কেউ নন, পবনের স্ত্রী আনা লেজ়নেভা।
০৫১৮
২০১১ সালে একটি তেলুগু সিনেমার শুটিংয়ে রুশ মডেল আনার সঙ্গে প্রথম আলাপ হয় পবনের। আলাপ গড়ায় প্রেমে। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে সাত পাকে বাঁধা পড়েন দু’জন।
০৬১৮
আনা অবশ্য পবনের তৃতীয় স্ত্রী। আগের দুই স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায় এই অভিনেতা-রাজনীতিকের। রঙিন ব্যক্তিগত জীবনে একাধিক বার বিতর্কে জড়িয়েছেন পবন।
০৭১৮
১৯৯১ সালে সম্বন্ধ করে বছর উনিশের তরুণী নন্দিনীকে বিয়ে করেছিলেন পবন। ২০০১ সাল থেকে অভিনেত্রী রেণু দেশাইয়ের সঙ্গে একত্রবাস শুরু করেন তিনি। এক পুত্রসন্তানেরও জন্ম দেন তাঁরা।
০৮১৮
কিন্তু প্রথম স্ত্রী নন্দিনী পবনের বিরুদ্ধে তাঁকে ‘ডিভোর্স না দিয়ে’ অন্য সম্পর্কে জড়ানোর অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হন। ২০০৮ সালে আদালত অন্ধ্রের বর্তমান উপমুখ্যমন্ত্রীকে বিবাহবিচ্ছেদের অনুমতি দেয়। ২০০৯ সালে আইনসম্মত ভাবে রেণুকে বিয়ে করেন পবন।
০৯১৮
এই বিয়েও অবশ্য বেশি দিন টেকেনি। ২০১২ সালে পবন এবং রেণুর মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়। এই দম্পতির একটি সন্তান রয়েছে। তার পর পবনের জীবনে আসেন আনা।
১০১৮
প্রথম জীবনে রাশিয়ার রক্ষণশীল গির্জার অনুশাসন মেনে বড় হওয়া আনা অবশ্য ভারতে এসে খুব সহজেই এ দেশের রীতিনীতির সঙ্গে মানিয়ে নেন। ২০১৭ সালে আনা এবং পবনের শিশুসন্তানের নাম রাখা হয় মার্ক শঙ্কর পাওয়ানোভিচ।
১১১৮
পরে জানা যায়, এই নামের নেপথ্যেও রয়েছে দুই দেশের পৌরাণিক পরম্পরা। মার্ক নামটি রাখা হয় রোমান দেবতা মার্সের নামের অনুকরণে। শঙ্কর নামটি রাখা হয় পবনের দাদা, আর এক চিত্রতারকা চিরঞ্জীবীর আসল নাম শঙ্কর ভারা প্রসাদের অনুকরণে। আর পাওয়ানোভিচ নামটি নেওয়া হয় পবনের নাম থেকে। আনার একটি কন্যাসন্তানও রয়েছে।
১২১৮
চিরঞ্জীবীর রাজনৈতিক দল প্রজারাজ্যম (অধুনা লুপ্ত)-এর যুব সংগঠনের রাজ্য সভাপতি হিসাবে নিজের রাজনৈতিক ইনিংস শুরু করেছিলেন তেলুগু সিনেমার ‘পাওয়ার স্টার’ পবন। চিরঞ্জীবী পরে তাঁর দলকে কংগ্রেসে মিশিয়ে দিলে দাদার সেই সিদ্ধান্তে সায় দিতে পারেননি পবন।
১৩১৮
রাজনীতি থেকে কয়েক দিনের জন্য ‘বিশ্রাম’ নেন তিনি। ২০১৪ সালে পবন তৈরি করেন নিজের দল জনসেনা। ২০১৪ সালেও অন্ধ্রে টিডিপি এবং বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে লড়েছিলেন তিনি।
১৪১৮
২০১৯ সালে অবশ্য জোটে না গিয়ে একাই লড়েছিলেন পবন। কিন্তু সে বার অন্ধ্রের বিধানসভা ভোটে মাত্র একটি আসনে জেতে তাঁর দল। নিজেও পরাজয়ের মুখ দেখেন পবন।
১৫১৮
২০২০ সালে ফের বিজেপির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার কথা ঘোষণা করেন পবন। লোকসভা ভোটের আগে টিডিপির সঙ্গে জোটের বিষয়টি নিয়ে পাকা কথা হয়ে যায়। ভোটে লড়়ে বিপুল সাফল্য পায় চন্দ্রবাবু, পবন, বিজেপির জোট।
১৬১৮
গোটা নির্বাচনী প্রচারে অন্ধ্রের সাবেক শাসকদল ওয়াইএসআর কংগ্রেস এবং তার নেতা জগন্মোহন রেড্ডিকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন পবন। ভিড়ে ঠাসা রোড শো-তে অন্ধ্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে পবনকে হাত নাড়িয়ে বলতে শোনা যায়, ‘বাই বাই জগন’।
১৭১৮
পবন-ঘনিষ্ঠেরা বলে থাকেন যে, তাঁর অভিনয় থেকে রাজনীতিতে আসার সিদ্ধান্তের নেপথ্যেও ছিলেন আনা। নতুন দল গড়ে একাধিক বার ব্যর্থতার মুখ দেখলেও সর্বদাই স্বামীর পাশে থেকেছেন রুশ মডেল আনা। অন্ধ্রের উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে পবনের শপথগ্রহণের দিন ফুলস্লিভ ব্লাউজ় এবং সবজে শাড়িতে দেখা যায় আন্নাকে। গর্বিত স্ত্রী হিসাবে স্বামীর শপথগ্রহণের সময় হাততালি দিতে দেখা যায় তাঁকে।
১৮১৮
অভিনেতা হিসাবে পবন যেমন খ্যাতির শিখরে পৌঁছেছিলেন, তেমনই অর্থও উপার্জন করেছেন প্রচুর। কিন্তু মডেলিংকে প্রায় বিদায় জানানোর পর আনা কী করেন তা নিয়ে নানা গুঞ্জন রয়েছে। কারও কারও দাবি, সিঙ্গাপুরে একটি হোটেল সংস্থা চলে তাঁর নামে। পবনের স্ত্রীর মোট সম্পত্তির পরিমাণ নাকি প্রায় ১৫০০ কোটি টাকা!