MEA spokesperson Randheer Jaiswal commented on the issue of Indians forced to fight Russia-Ukraine war dgtl
Russia-Ukrain War
চাকরির নামে ভারতীয় তরুণদের রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেনে যুদ্ধে পাঠানো হচ্ছে! বিদেশ মন্ত্রক বলল ‘অবহিত’
ভারতীয়দের মুক্তির জন্য রাশিয়ার সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত বেশ কিছু রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসে।
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতাশেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:২৪
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১২০
চাকরির দেওয়ার নাম করে ইউক্রেনে যুদ্ধ করতে পাঠানো হয়েছে ভারতীয় তরুণদের। সমাজমাধ্যমে ভাইরাল ভিডিয়ো নিয়ে মুখ খুললেন ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। কী বললেন তিনি?
০২২০
ইচ্ছার বিরুদ্ধে কয়েক জন ভারতীয়কে রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেনে যুদ্ধ করতে পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই কেন্দ্রীয় সরকার জানাল, এই বিষয়ে তারা অবহিত।
০৩২০
ওই ভারতীয়দের মুক্তির জন্য রাশিয়ার সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত বেশ কিছু রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসে।
০৪২০
তাতে অভিযোগ করা হয়, বেশ কয়েক জন ভারতীয়কে তাঁদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে রাশিয়ার ভাড়াটে ওয়াগনার বাহিনীতে নিযুক্ত করা হয়েছে।
০৫২০
তাঁদের এখন ইউক্রেনে পাঠানো হয়েছে। চাকরি দেওয়ার নাম করে ‘প্রতারণা’ করা হয়েছে। এই নিয়ে শুক্রবার একটি বিবৃতি দিল বিদেশ মন্ত্রক।
০৬২০
তাদের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘‘আমরা অবহিত রয়েছি যে, রুশ বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য নিয়োগপত্রে সই করেছেন কয়েক জন ভারতীয়। ওই ব্যক্তিদের ছাড়ানোর জন্য ভারতীয় দূতাবাস নিয়মিত রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। আমরা সকল ভারতীয়কে সতর্ক এবং এই সংঘাত থেকে দূরে থাকতে অনুরোধ করছি।’’
০৭২০
বৃহস্পতিবার সুফিয়ান নামে এক ভারতীয়ের পরিবারকে পাঠানো ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে তিনি পরিবারকে অনুরোধ করেন, দ্রুত যেন তাঁদের দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়।
০৮২০
সুফিয়ান হায়দরাবাদের বাসিন্দা। এর পরে সুফিয়ানের পরিবার এবং এআইএমআইএম নেতা আসাদউদ্দিন ওয়েইসি কেন্দ্রীয় সরকারকে হস্তক্ষেপ করার আর্জি জানান।
০৯২০
বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে এই নিয়ে সরকারি ভাবে চিঠিও দেন সাংসদ ওয়েইসি। তিনি চিঠিতে জানান, ইউক্রেনে ন’জন ভারতীয় আটকে রয়েছেন।
১০২০
তাঁরা আহত, বিপদে রয়েছেন। ফিরে আসতে চাইছেন। এ বিষয়ে কেন্দ্র যাতে দ্রুত হস্তক্ষেপ করে, সেই আর্জিও জানিয়েছেন তিনি।
১১২০
সুফিয়ান নিজের বাড়িতে একটি ভিডিয়ো পাঠিয়ে বলেন, ‘‘দয়া করে আমাদের বাঁচান। আমরা হাই-টেক জালিয়াতির শিকার।’
১২২০
ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, সুফিয়ান সেনার উর্দি পরে রয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, জোর করে রাশিয়ার হয়ে তাঁদের যুদ্ধ করতে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে।
১৩২০
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে তাঁদের রাশিয়া পাঠানো হয়েছিল। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, সেনার নিরাপত্তা সহায়ক হিসাবে কাজ করবেন তাঁরা।
১৪২০
যদিও তা হয়নি বলে অভিযোগ। আরও তিন যুবকের কথা প্রকাশিত হয়েছিল সুফিয়ানের কথায়, যাঁরা কর্নাটকের কালবুর্গির বাসিন্দা।
১৫২০
চাকরির ‘এজেন্ট’-এর সঙ্গে দুবাইয়ে প্রথম সাক্ষাৎ হয়েছিল চার জনের। সেখানে তাঁদের মোটা বেতনের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।
১৬২০
২০২৩ সালের নভেম্বরে তাঁরা দুবাই থেকে দেশে ফিরে আসেন। এর পর ডিসেম্বরে তাঁদের রাশিয়া পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
১৭২০
চেন্নাই থেকে রাশিয়ার বিমান ধরেন তাঁরা। ভিজিটরস’ ভিসায় পাঠানো হয় তাঁদের। ওই চার জন দুবাইয়ে কাজ করতেন।
১৮২০
সেখানে ৩০-৪০ হাজার টাকা বেতন পেতেন মাসে। চাকরির ‘এজেন্ট’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, রাশিয়ায় কাজে গিয়ে মাসে দু’লক্ষ টাকা পাবেন তাঁরা।
১৯২০
চার জনের পরিবারের অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার নামে প্রত্যেকের কাছ থেকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন সেই ‘এজেন্ট’।
২০২০
শেষে দেখা গিয়েছে, রাশিয়ায় কাজ দেওয়ার নামে ভাড়াটে সেনাবাহিনীতে নিয়োগ করা হয়েছে তাঁদের। বিষয়টি যে তাদের জানা রয়েছে, শুক্রবার তা জানিয়ে দিল কেন্দ্র। জানানো হয়েছে, ব্যবস্থা নেওয়া হবে।